Ajker Patrika

ঘাস চাষে কৃষকের ভাগ্যবদল

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৭
ঘাস চাষে কৃষকের ভাগ্যবদল

ফকিরহাটে ঘাস চাষ করে কৃষকদের ভাগ্যবদল হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পতিত জমিতে কৃষকেরা এখন বিদেশি নেপিয়ারসহ নানা প্রজাতির ঘাস চাষ করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে প্রথম ৫ মাসে ১০৫ জন চাষি উপজেলার ১০ একর জমিতে নেপিয়ার, পাকচং, রেড পাকচং, পারা ও জাম্বু নামের উন্নত জাতের ঘাস চাষ করেন।

উপজেলার শিংগাতি গ্রামের ঘাস চাষি শাহ আলমের স্ত্রী রেহানা রিনা (৪৮) আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি আগে গার্মেন্টসে কাজ করতেন। স্বামীসহ নিজ গ্রামে এসে সাত আট বছর ধরে দুগ্ধ গাভির খামার তৈরি করেছেন। খড় ও কাঁচা ঘাসের দাম বেশি হওয়ায় নিজের ও রেলের পরিত্যক্ত জমি লিজ নিয়ে ঘাস চাষ শুরু করেন। প্রথমে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ শুরু করেন।

ফকিরহাটে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে বড় ঘাস চাষের খেত রয়েছে রাজপাট এলাকার তানজির হাসান অনিমের। প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমিতে তিনি বিভিন্ন ধরনের ঘাস চাষ করেন। তিনি জানান, বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে কয়েক বছর আগে প্রথমে ঘাস চাষ শুরু করেন। লাভজনক ও চাহিদাসম্পন্ন কৃষি হওয়ায় আবাদ বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে তার খেতে গাভির জন্য সুইট জাম্বু, ষাঁড়ের জন্য লাল পাকচং, নেপিয়ার, পাকচং-১ জাতের উন্নত ঘাস চাষ করেন।

নিজের খামারের চাহিদা পূরণের পর প্রতিবছর খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রক্রিয়াজাত ঘাস (সাইলেস) বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদিত ঘাস বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্যাকেটজাত করে গুদামে সংরক্ষণ করেন। বছরের জুলাই, আগস্ট মাসে তিনি এ ঘাস তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি করেন। তবে ঘাস বিপণন কেন্দ্র না থাকায় স্থানীয়ভাবে ভালো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। ফকিরহাটে উৎপাদিত অন্যান্য কৃষির মতো ঘাসের বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

মানসা এলাকার কৃষক প্রদীপ পাল বলেন, গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প জাতীয় মাছের বিকল্প খাদ্য ও গবাদিপশু জন্য তিনি নেপিয়ার ঘাসের চাষ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে ঘাসের কাটিং সংগ্রহ করে ১ বিঘা জমিতে রোপণ করেছেন। ১ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ঘাস উৎপাদন হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার। ছয় সপ্তাহ পরে ঘাস কাটার উপযোগী হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভ্যাটেরনারী সার্জন ডা. পুস্পেন কুমার শিকদার বলেন, উপজেলায় চারণভূমি কমে যাওয়ায় খামারিদের যে পরিমাণ ঘাসের প্রয়োজন তা পূরণে উন্নত জাতের ঘাস চাষের বিকল্প নাই। এ বাস্তবতায় আমরা কৃষকদের বিনা মূল্যে উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং সরবরাহ করি। এ ছাড়া ঘাস চাষে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘাসের বাণিজ্যিক মূল্য অনুধাবন করে আমরা একটি বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে শিগগিরই একটি বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত