ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি
জমিদার আমলে ময়মনসিংহে ‘পরগনা’ আর ‘তালুক’ দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়েছিল ‘হুম গুটি’ খেলা দিয়ে। মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ও বৈলরের জমিদার হেম চন্দ্র রায়ের মধ্যে জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তালুক ও পরগনার জমির পরিমাপ নিয়ে দুই জমিদারের এই বিরোধের মীমাংসা হয়েছিল ৪০ কেজি ওজনের পিতল বল (হুম গুটি) দিয়ে।
প্রতিযোগিতা হয়েছিল এখনকার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়ই আটা গ্রামে। শক্তির লড়াইয়ে জিতে যায় মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর প্রজারা। সেই থেকে বড়ই আটা গ্রামের পৌষ মাসের শেষ দিনে এই খেলার আয়োজন হয়ে আসছে। এখনো ‘হুম গুটি’ খেলাটি ময়মনসিংহ অঞ্চলে তুমুল জনপ্রিয় একটি খেলা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দল বেঁধে ‘হুম গুটি’ খেলতে খেলোয়াড়েরা আসেন। সঙ্গে যোগ দেন আশপাশের কয়েক গ্রামের দর্শনার্থী। বিকেল গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলা খেলা ঘিরে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
খেলা ঘিরে বড়ই আটা গ্রামে বসে পৌষ মেলা। এই গ্রাম ছাড়াও আশপাশের দেওখোলা, লক্ষ্মীপুর, তেলিগ্রাম, ভাটিপাড়া, বালাশ্বর, শুভরিয়া, কালিবাজাইল, দশমাইল, কুকরাইল, কাটাখালি, মোহাম্মদনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। প্রতিটি বাড়িতেই বেড়াতে আসেন আত্মীয়স্বজন।
গতকাল স্থানীয় হুম গুটি পরিষদের সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে, দেওখোলা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাবলু ও বালিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পলাশ আনুষ্ঠানিকভাবে গুটি খেলোয়াড়ের মাঝে ছেড়ে দেন। ৪০ কেজি ওজনের পিতলের তৈরি বল (হুম গুটি) তাঁরা খেলা শুরু করেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, হুম গুটি খেলার শর্ত ছিল নির্দিষ্ট ওজনের পিতলের গুটি (বল আকৃতির) যে জমিদারের প্রজারা নিতে পারবে তাঁরাই বিজয়ী হবে। সেই এলাকা হবে পরগনা আর পরাজিত অংশের নাম হবে তালুক। মুক্তাগাছা জমিদার শশীকান্তের প্রজারা গুটি খেলায় বিজয়ী হয়। সেই থেকে পরগনা এলাকার জমির পরিমাপ সাড়ে ৬ শতাংশে এক কাঠা এবং তালুক এলাকার জমির পরিমাপ ১০ শতাংশে এক কাঠা।
প্রতিযোগিতার বর্ণনা দিয়ে আবু বক্কর বলেন, খেলা শুরুর পর পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ-চার ভাগে ভাগ হয়ে যান খেলোয়াড়েরা। খেলায় কোনো রেফারি নেই, নির্দিষ্ট কোনো সময় ও খেলোয়াড়ের সংখ্যা নেই। খেলাটিতে কোনো মারামারি কাটাকাটি হয়নি কখনো। খেলাটি এক দিনেরও বেশি চলছে একাধিকবার। একটানা পাঁচ দিনও খেলাটি চলার রেকর্ড রয়েছে।
জমিদার আমলে ময়মনসিংহে ‘পরগনা’ আর ‘তালুক’ দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়েছিল ‘হুম গুটি’ খেলা দিয়ে। মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ও বৈলরের জমিদার হেম চন্দ্র রায়ের মধ্যে জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তালুক ও পরগনার জমির পরিমাপ নিয়ে দুই জমিদারের এই বিরোধের মীমাংসা হয়েছিল ৪০ কেজি ওজনের পিতল বল (হুম গুটি) দিয়ে।
প্রতিযোগিতা হয়েছিল এখনকার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়ই আটা গ্রামে। শক্তির লড়াইয়ে জিতে যায় মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর প্রজারা। সেই থেকে বড়ই আটা গ্রামের পৌষ মাসের শেষ দিনে এই খেলার আয়োজন হয়ে আসছে। এখনো ‘হুম গুটি’ খেলাটি ময়মনসিংহ অঞ্চলে তুমুল জনপ্রিয় একটি খেলা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দল বেঁধে ‘হুম গুটি’ খেলতে খেলোয়াড়েরা আসেন। সঙ্গে যোগ দেন আশপাশের কয়েক গ্রামের দর্শনার্থী। বিকেল গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলা খেলা ঘিরে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
খেলা ঘিরে বড়ই আটা গ্রামে বসে পৌষ মেলা। এই গ্রাম ছাড়াও আশপাশের দেওখোলা, লক্ষ্মীপুর, তেলিগ্রাম, ভাটিপাড়া, বালাশ্বর, শুভরিয়া, কালিবাজাইল, দশমাইল, কুকরাইল, কাটাখালি, মোহাম্মদনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। প্রতিটি বাড়িতেই বেড়াতে আসেন আত্মীয়স্বজন।
গতকাল স্থানীয় হুম গুটি পরিষদের সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে, দেওখোলা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাবলু ও বালিয়ান ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পলাশ আনুষ্ঠানিকভাবে গুটি খেলোয়াড়ের মাঝে ছেড়ে দেন। ৪০ কেজি ওজনের পিতলের তৈরি বল (হুম গুটি) তাঁরা খেলা শুরু করেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, হুম গুটি খেলার শর্ত ছিল নির্দিষ্ট ওজনের পিতলের গুটি (বল আকৃতির) যে জমিদারের প্রজারা নিতে পারবে তাঁরাই বিজয়ী হবে। সেই এলাকা হবে পরগনা আর পরাজিত অংশের নাম হবে তালুক। মুক্তাগাছা জমিদার শশীকান্তের প্রজারা গুটি খেলায় বিজয়ী হয়। সেই থেকে পরগনা এলাকার জমির পরিমাপ সাড়ে ৬ শতাংশে এক কাঠা এবং তালুক এলাকার জমির পরিমাপ ১০ শতাংশে এক কাঠা।
প্রতিযোগিতার বর্ণনা দিয়ে আবু বক্কর বলেন, খেলা শুরুর পর পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ-চার ভাগে ভাগ হয়ে যান খেলোয়াড়েরা। খেলায় কোনো রেফারি নেই, নির্দিষ্ট কোনো সময় ও খেলোয়াড়ের সংখ্যা নেই। খেলাটিতে কোনো মারামারি কাটাকাটি হয়নি কখনো। খেলাটি এক দিনেরও বেশি চলছে একাধিকবার। একটানা পাঁচ দিনও খেলাটি চলার রেকর্ড রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪