পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ধরলা নদীর অভয়াশ্রমে গভীরতা কমে যাওয়ায় মাছের বংশবৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটছে। অভিযোগ উঠেছে, সংস্কার ও নিয়মিত তদারকি করা হয় না অভয়াশ্রমটিতে।
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা ইসলামপুর গ্রাম হয়ে প্রবাহিত ধরলা নদীর কোলঘেঁষা শূন্য দশমিক ৫০ হেক্টর অংশজুড়ে অভয়াশ্রমটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাসজমিতে দেশীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করে মৎস্য অধিদপ্তর। অভয়াশ্রমটির মূল আয়তন ছাড়াও নদী অংশের আশপাশের ৩০০ গজের মধ্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। এই অভয়াশ্রমটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের সমারোহ ঘটে এবং হারিয়ে যেতে থাকা দেশীয় বেশ কয়েক জাতের মাছ ধরলা নদীতে প্রজনন হয়েছে বলে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়।
জানা গেছে, অভয়াশ্রমটিতে বোয়াল, আইড়, শোল, বাইলা, শাল বাইন, বাটা, পুঁটি, ট্যাংরা, কই, কাতল, মাগুর, সরপুঁটি, সিলভারকার্প, টাকি, পিরেলা, বৈরালি, বাগাড় ও কার্প জাতীয় মাছের উপস্থিতি রয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে অভয়াশ্রমটির উত্তর পাশের বাঁধটি নদীর পানির তোড়ে ধসে যায়। এতে নদীর পলি ও বালি পড়ে গভীরতা ভরাট হয়ে যায়। মাছের অবাধ চলাফেরায় দক্ষিণ অংশের গভীরতা সংকীর্ণ হওয়ায় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানায় মৎস্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিস্তার হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী, মৎস্যচাষি ও জেলেরা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নদীর দখল ও দূষণ বেড়েছে। এসব কারণে নদীতে মাছের আশ্রয়স্থল কমে গেছে। পাটগ্রাম উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এ মৎস্য অভয়াশ্রমটির গুরুত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি নদীর কিছু অংশের জলাশয়ও রক্ষা করা জরুরি। তা না হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের শুধু নাম শোনা যাবে, মাছ পাওয়া যাবে না।
অভয়াশ্রমটি দেখভালের জন্য ৫০ সদস্যের অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজনীয় দেখভাল করে না এই ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, দেশীয় জাতের মাছ বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রমটি পাটগ্রাম উপজেলা ও এ এলাকার একটি মূল্যবান সম্পদ। এটি রক্ষায় নজরদারি ও সবার সচেতনতা, আন্তরিকতা প্রয়োজন। প্রায় সময় দেখা যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন এসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। কেউ কোনো কিছু বলে না। অভয়াশ্রমটি দেখাশোনার জন্য লোকজন আছে। তাঁদের তৎপরতা কম। সরকারিভাবে এটির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা বলেন, দিনে-রাতে অভয়াশ্রমটি দেখাশোনা করা হয়। গত বছর বর্ষায় অভয়াশ্রমটির উত্তর দিকের বাঁধটি ভেঙে বালি পড়ে গভীরতা কমে গেছে। এটির সংস্কারের জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদপ্তরে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হয়েছে। ঠিক করা হবে কি না, কেউ কিছু বলেন না।
পাটগ্রাম উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দীন মো. আসাদুল্লাহ বলেন, অধিদপ্তর থেকে অভয়াশ্রমটি সংস্কারের জন্য বছরে যা বরাদ্দ আসে তা দিয়ে ছোট ও প্রয়োজনীয় দিকগুলো মেরামত সম্ভব হয়। তবে ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামতে মোটা অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, বরাদ্দ পেলে শিগগিরই মেরামত করা হবে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ধরলা নদীর অভয়াশ্রমে গভীরতা কমে যাওয়ায় মাছের বংশবৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটছে। অভিযোগ উঠেছে, সংস্কার ও নিয়মিত তদারকি করা হয় না অভয়াশ্রমটিতে।
উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা ইসলামপুর গ্রাম হয়ে প্রবাহিত ধরলা নদীর কোলঘেঁষা শূন্য দশমিক ৫০ হেক্টর অংশজুড়ে অভয়াশ্রমটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাসজমিতে দেশীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করে মৎস্য অধিদপ্তর। অভয়াশ্রমটির মূল আয়তন ছাড়াও নদী অংশের আশপাশের ৩০০ গজের মধ্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। এই অভয়াশ্রমটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছের সমারোহ ঘটে এবং হারিয়ে যেতে থাকা দেশীয় বেশ কয়েক জাতের মাছ ধরলা নদীতে প্রজনন হয়েছে বলে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানায়।
জানা গেছে, অভয়াশ্রমটিতে বোয়াল, আইড়, শোল, বাইলা, শাল বাইন, বাটা, পুঁটি, ট্যাংরা, কই, কাতল, মাগুর, সরপুঁটি, সিলভারকার্প, টাকি, পিরেলা, বৈরালি, বাগাড় ও কার্প জাতীয় মাছের উপস্থিতি রয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে অভয়াশ্রমটির উত্তর পাশের বাঁধটি নদীর পানির তোড়ে ধসে যায়। এতে নদীর পলি ও বালি পড়ে গভীরতা ভরাট হয়ে যায়। মাছের অবাধ চলাফেরায় দক্ষিণ অংশের গভীরতা সংকীর্ণ হওয়ায় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানায় মৎস্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিস্তার হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী, মৎস্যচাষি ও জেলেরা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নদীর দখল ও দূষণ বেড়েছে। এসব কারণে নদীতে মাছের আশ্রয়স্থল কমে গেছে। পাটগ্রাম উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এ মৎস্য অভয়াশ্রমটির গুরুত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি নদীর কিছু অংশের জলাশয়ও রক্ষা করা জরুরি। তা না হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের শুধু নাম শোনা যাবে, মাছ পাওয়া যাবে না।
অভয়াশ্রমটি দেখভালের জন্য ৫০ সদস্যের অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজনীয় দেখভাল করে না এই ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, দেশীয় জাতের মাছ বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রমটি পাটগ্রাম উপজেলা ও এ এলাকার একটি মূল্যবান সম্পদ। এটি রক্ষায় নজরদারি ও সবার সচেতনতা, আন্তরিকতা প্রয়োজন। প্রায় সময় দেখা যায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন এসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। কেউ কোনো কিছু বলে না। অভয়াশ্রমটি দেখাশোনার জন্য লোকজন আছে। তাঁদের তৎপরতা কম। সরকারিভাবে এটির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা বলেন, দিনে-রাতে অভয়াশ্রমটি দেখাশোনা করা হয়। গত বছর বর্ষায় অভয়াশ্রমটির উত্তর দিকের বাঁধটি ভেঙে বালি পড়ে গভীরতা কমে গেছে। এটির সংস্কারের জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদপ্তরে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হয়েছে। ঠিক করা হবে কি না, কেউ কিছু বলেন না।
পাটগ্রাম উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দীন মো. আসাদুল্লাহ বলেন, অধিদপ্তর থেকে অভয়াশ্রমটি সংস্কারের জন্য বছরে যা বরাদ্দ আসে তা দিয়ে ছোট ও প্রয়োজনীয় দিকগুলো মেরামত সম্ভব হয়। তবে ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামতে মোটা অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, বরাদ্দ পেলে শিগগিরই মেরামত করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪