Ajker Patrika

বান্দার হক নষ্ট করার পরিণতি

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
বান্দার হক নষ্ট করার পরিণতি

ইসলামি শরিয়তে হক বা অধিকার দুই প্রকার। একটি হক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক; যা ইমান, সালাত, জাকাত, সাওম, হজ ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অন্যটি হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক, যা বান্দার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন পারস্পরিক আর্থিক লেনদেন, আমানত গ্রহণ ও ফেরত, অন্যের মানসম্মান রক্ষা করা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সদাচরণ ইত্যাদি।

উভয় প্রকার হক অনাদায়ে মানুষ পাপী হয়। আল্লাহর হক আদায় না করলে আল্লাহ ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন না। তাই পার্থিব জীবনে বান্দার হক আদায় করতে হবে। বান্দার হক বিনষ্টকারীরা কিয়ামতের দিন সর্বাধিক অসহায় ও নিঃস্ব হবে। তাদের সালাত, সাওম, জাকাত, হজ ইত্যাদি ইবাদত কবুল হলেও সেগুলোর সওয়াব যাদের হক নষ্ট করেছে, তাদের দিয়ে দেওয়া হবে।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়া থেকে সালাত-সাওম-জাকাত আদায় করে আসবে এবং সঙ্গে ওই লোকেরাও আসবে, যাদের কাউকে সে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, কারও সম্পদ গ্রাস করেছে, কাউকে হত্যা করেছে বা প্রহার করেছে। তখন ওই সব পাওনাদারকে এই ব্যক্তির নেকি থেকে পরিশোধ করা হবে। এভাবে পরিশোধ করতে করতে যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তখন ওই লোকজনের পাপসমূহ এই ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম)

মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর অত্যাচার করেছে, সে যেন তার নেকি কর্তনের আগেই মাফ চেয়ে নেয়। কারণ হাশরের মাঠে কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। নেকি না থাকলে ওই ভাইয়ের পাপসমূহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি)

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত