সম্পাদকীয়
দেবেশ রায় একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পাবনার বাগমারা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ১৯৪৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি চলে যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতির সূত্রে শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা।
দেবেশ রায়ের লেখায় বারবার ফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গ—কখনো পটভূমি হয়ে, কখনো চরিত্র হয়ে। জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষার পাট শেষ করে তিনি ভর্তি হন ওই শহরের আনন্দচন্দ্র কলেজে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি এ কলেজেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কলকাতা ‘সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস’-এ ফেলো হিসেবে ছিলেন এক দশকের বেশি সময়।
কলকাতায় এসে তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে এক দশক ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘প্রতিক্ষণ’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি।
দেবেশের প্রথম ছোটগল্প ‘হাড়কাটা’ যখন দেশ পত্রিকায় বের হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯, তিনি তখন জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এরপর প্রথম গল্প বের হওয়ার ১৫ বছর পরে প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস—মানুষ খুন করে কেন, মফস্বলী বৃত্তান্ত, সময় অসময়ের বৃত্তান্ত, তিস্তাপারের বৃত্তান্ত, লগন গান্ধার ও বরিশালের যোগেন মণ্ডল ইত্যাদি। অনুবাদ গ্রন্থ লিখেছেন—রোমিও জুলিয়েট ও ট্রয়ের মেয়েরা। তাঁর অন্যতম প্রবন্ধের বই—রবীন্দ্রনাথ ও তার আদি গদ্য, সময় সমকাল, উপন্যাস নিয়ে, উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে, শিল্পের প্রত্যহে, উপনিবেশের সমাজ ও বাংলা সাংবাদিক গদ্য, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: নিরন্তর মানুষ।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ‘সেতুবন্ধন’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ২০২০ সালের ১৪ মে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
দেবেশ রায় একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পাবনার বাগমারা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার ১৯৪৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি চলে যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতির সূত্রে শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা।
দেবেশ রায়ের লেখায় বারবার ফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গ—কখনো পটভূমি হয়ে, কখনো চরিত্র হয়ে। জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষার পাট শেষ করে তিনি ভর্তি হন ওই শহরের আনন্দচন্দ্র কলেজে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি এ কলেজেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কলকাতা ‘সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস’-এ ফেলো হিসেবে ছিলেন এক দশকের বেশি সময়।
কলকাতায় এসে তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে এক দশক ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘প্রতিক্ষণ’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি।
দেবেশের প্রথম ছোটগল্প ‘হাড়কাটা’ যখন দেশ পত্রিকায় বের হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯, তিনি তখন জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এরপর প্রথম গল্প বের হওয়ার ১৫ বছর পরে প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘যযাতি’। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস—মানুষ খুন করে কেন, মফস্বলী বৃত্তান্ত, সময় অসময়ের বৃত্তান্ত, তিস্তাপারের বৃত্তান্ত, লগন গান্ধার ও বরিশালের যোগেন মণ্ডল ইত্যাদি। অনুবাদ গ্রন্থ লিখেছেন—রোমিও জুলিয়েট ও ট্রয়ের মেয়েরা। তাঁর অন্যতম প্রবন্ধের বই—রবীন্দ্রনাথ ও তার আদি গদ্য, সময় সমকাল, উপন্যাস নিয়ে, উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে, শিল্পের প্রত্যহে, উপনিবেশের সমাজ ও বাংলা সাংবাদিক গদ্য, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: নিরন্তর মানুষ।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ‘সেতুবন্ধন’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ২০২০ সালের ১৪ মে তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫