Ajker Patrika

বই বাঁধাইয়ে ব্যস্ত কারিগর

দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ২৩
বই বাঁধাইয়ে ব্যস্ত কারিগর

বছরের প্রথম দিন সারা দেশের মতো কুমিল্লা নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা উৎসবে মেতেছে। তাদের সঙ্গে খুশি নগরীর বই বাঁধাইয়ের কারিগরেরা।

সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন বাঁধাইয়ের দোকানে শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ব্যস্ততায় দিন পার করছেন কারিগররা। সারা বছর বাঁধাই পেশার সঙ্গে জড়িত এসব কারিগররা রেজিস্ট্রার খাতা, বাঁধাই খাতা, ব্যবহারিক খাতা, বিশেষ গ্রন্থসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক খাতাপত্র বাঁধাই করেন।

তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল শিক্ষার্থীদের বই বাঁধাই কাজে ব্যস্ত থাকেন কারিগররা। কাজ বেশি তাই একটুও দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। নিজের প্রিয় বইগুলো অনেক দিন যত্নে রাখা, যেন ছিঁড়ে না যায়, সে জন্য বই বাধাঁর দোকানে ভিড় করছে শিক্ষার্থীরা। আর এ ফাঁকে বাঁধাই কারিগরদের সুযোগ হয় বাড়তি আয়ের। তবে বই বাঁধাইয়ে নিরুৎসাহিত করার কথা বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৪৪৩টি বিদ্যালয়, ৩৮৯টি মাদ্রাসা ও ৪৬টি কারিগরি স্কুলে ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯১টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিতরণ করছে ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪টি বই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৫ বই। পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে এসব বই।

নগরীর নিউমার্কেটের পূর্ব গেটে তিন দশকেরও বেশি সময় বই বাঁধাই করেন সাজেদা বেগম। তিনি জানান, জানুয়ারি মাসে খুব ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। যথা সময়ে কাজ করে দিয়ে গ্রাহকের মন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ কাজে যুক্ত করেছেন মেয়ে ও পুত্রবধূকে। তাঁর দুই মাসে লাখ টাকা আয় করার ইচ্ছা।

নিউমার্কেটের মাহবুব বুক বাইন্ডার্সের মালিক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি বই ২০ টাকা। নবম শ্রেণির বই ২০-২৫ টাকায় বাঁধাই করি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বই বাঁধাইয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করে থাকি। বই বাঁধাই না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেলাই করা যেতে পারে। এর কারণ হলো বইয়ের মোড়কের সামনের পাতা ও পেছনের পাতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও নীতি বাক্য রয়েছে। যা শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য সহায়ক।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুস ফারুকী বলেন, ‘বছরের শুরুতে আমরা শিক্ষার্থীদের বই দিয়ে থাকি। সেগুলো যত্নে রাখার দায়িত্ব তাদের। আমরা তো এ বইগুলো আর ফেরত নেই না। তাই তারা বই সুরক্ষিত রাখতে বাঁধাই করে নেন। বই বাঁধাইয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত