Ajker Patrika

প্রতিকূলতায়ও বাম্পার ফলন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০৮
প্রতিকূলতায়ও বাম্পার ফলন

জলবায়ুর প্রভাবে মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও অতিবর্ষণে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকেরা। বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকের খুশি আরও বেড়ে গেছে। ২ উপজেলায় ১ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা উপজেলা কৃষি বিভাগের। ভালো ফলন হওয়ায় এ লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আশা করেন কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম।

জানা গেছে, জলবায়ুর প্রভাবে আমনের মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে কৃষক চাষাবাদ করতে পারেননি। এরপর শ্রাবণের অতিবর্ষণে আমনের বীজতলা পচে যায়। কৃষকেরা আবার বীজতলা তৈরি করেন। বীজতলার সেই চারা খেতে রোপণ করেন। এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে পুরোদমে চলছে ধান কাটা। শুরুতে কৃষকের মাঝে হতাশা থাকলেও বাম্পার ফলনে তাঁরা খুশি। সঠিক সময়ে সরকারি সহায়তায় তাঁরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। এ বছর দুই উপজেলার ৩৯ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ২৩ হাজার ৪৬০ হেক্টর এবং তালতলীতে ১৬ হাজার ১০ হেক্টর জমি। আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় হেক্টরপ্রতি ৩ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন হিসেবে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১২ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। এদিকে বাজারে ধানের দাম ভালো। বিভিন্ন জাতের ধান গড়ে প্রতি মণ ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমতলী-তালতলীর উৎপাদিত ধান দিনাজপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে রপ্তানি হচ্ছে।

চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের জুয়েল মৃধা বলেন, ‘এ বছর আমনের এত ভালো ফলন হবে বুঝতে পারিনি। যেভাবে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে কৃষককে জমি চাষাবাদ করতে হয়েছে।’

মহিষকাটা গ্রামের মঞ্জু মিয়া বলেন, ‘এক একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।’

তালতলীর লেমুয়া গ্রামের কৃষক ইসহাক হাওলাদার বলেন, ‘শুরুতে আমন ধান নিয়ে যা ভাবছি তা নেই। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে।’

উত্তর রাওঘা গ্রামের কৃষক বশির উদ্দিন বাদল জানান, এ বছর তিন একর জমিতে আমন চাষে তাঁর ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাম্পার ফলন ও লাভের আশা করছেন তিনি।

শারিকখালী গ্রামের বাচ্চু শরীফ বলেন, ‘দুই একর জমিতে চাষাবাদে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধান পাব আনুমানিক ৭০ মণ।’

পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘পাঁচ একর জমিতে আমনের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। ৮২০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি।’

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। আশা করি দুই উপজেলার ১ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। বাজারে ধানের দামও ভালো। এতে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত