Ajker Patrika

অপহরণের পর টাকা আদায়ে করা হতো নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৯
অপহরণের পর টাকা আদায়ে করা হতো নির্মম নির্যাতন

বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে মাছ ধরার সময় চার জেলেকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডের আকমল আলী রোডের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। দলটির সদস্যরা জেলেদের অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনসহ নানা কৌশলে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতেন।

র‍্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকমল আলী রোড-সংলগ্ন সাগর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে অপহৃত ৪ জন ব্যক্তিসহ ছিনতাই করা নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মো. কামাল (৩৫) ও মো. নূর নবী (২৬), লক্ষ্মীপুরের মো. শামীম (২৪), মো. এ্যানি (৩১) ও মো. ফেরদৌস মাঝি (৩৫)।

র‍্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেল থেকে কাঠের ট্রলারসহ চার জেলেকে অপহরণের সংবাদ পান। পরে র‍্যাব-৭, কোস্টগার্ড পূর্ব জোন ও র‍্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে র‍্যাব-৭-এর একটি দল চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, দুইটি ওয়ান শুটার গান, তিনটি রামদা, তিনটি চাপাতি, একটি ধারালো চাকু ও ক্ষুর জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার জলদস্যুদের মধ্যে মো. কামাল দলটির প্রধান। তিনি পরিকল্পনা মতো অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ তিনটি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়াও মো. নূরনবী দলটির নৌকা ও অপহরণের টাকা আদায় সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করতেন। পাশাপাশি খাবার সরবরাহ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতিসহ তিনটিরও বেশি মামলা রয়েছে। অপর গ্রেপ্তার শামীম ভুক্তভোগীদের নৌকায় আটকে রেখে পাহারা দিতেন ও তাঁদের নির্মমভাবে অত্যাচার করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ্যানি অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের নির্যাতন করে তা আত্মীয়-স্বজনদের ফোনকলে শোনাতেন। এর মাধ্যমে মানসিকভাবে দুর্বল করে মুক্তিপণ আদায়ে করতেন এ্যানি। এ ছাড়া মো. ফেরদৌস ভুক্তভোগীদের নৌকা লুকিয়ে রাখতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত