Ajker Patrika

অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস চারা

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৭
অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস চারা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান বাজারে সাপ্তাহিক হাটে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস চারা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। প্রতি সাপ্তাহিক হাটের দিন এই গাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও না বুঝে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিষিদ্ধ এ গাছ।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখান বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন এই গাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ এভাবে বিক্রি হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের নজরদারি চোখে পড়ছে না। এর ফলে না বুঝেই এই পরিবেশ ক্ষতিকর গাছ কিনছেন ক্রেতারা।

জানা যায়, ইউক্যালিপটাস গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ গাছের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।

তবে দ্রুত বর্ধনশীল ও দাম বেশি পাওয়ার লোভে মানুষজন এ গাছ রোপণ করছেন। সিরাজদিখান উপজেলায় ব্যাপকহারে রাস্তার ধারে, পুকুরপাড়ে, বাড়ির আশপাশে, খালের ধারে, পতিত জমিতে বাগান আকারে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করা হয়েছে। সিরাজদিখান বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই গাছ সরবরাহ করে থাকেন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাহপুরে মোহনা মুসকান নার্সারি মালিক কবির হোসেনসহ আরও কয়েকটি নার্সারি।

গাছ কিনতে আসা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ির আশপাশে রোপণ করার জন্য কিনে নিয়েছি। এই গাছগুলো তাড়াতাড়ি অনেক বড় হয় এবং বিক্রিও করা যায় অল্প সময়ে। তাই এই গাছ কিনেছি।’

মোহনা মুসকান নার্সারি মালিক কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের কেউ নিষেধ করে নাই। তাই আমরা বিক্রি করছি।’

বৃক্ষপ্রেমী ফেরদৌস হাসান রাতুল বলেন, ‘নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছের বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের উদ্যোগে লোকজনকে সচেতন করতে হবে। পরিবেশের স্বার্থে আমাদের সবার এই গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলবে এই গাছ।’

উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সরকার থেকে এই গাছ বিক্রির বিষয়ে আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা পত্র দেওয়া হয়নি। সে কারণে আমরাও কিছু বলতে পারি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত