Ajker Patrika

বদমেজাজি সিইও

সম্পাদকীয়
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১২: ৩৭
বদমেজাজি সিইও

এ কথা সবাই জানেন, স্টিভ জবস মোটেই রসিক মানুষ ছিলেন না। ছিলেন অধৈর্য। রুক্ষ আচরণ করতেন। কিছু কর্মীর সঙ্গে তিনি বাড়াবাড়ি রকমের অসহিষ্ণু আচরণ করতেন। নিখুঁত কাজ করতে না দেখলেই তাঁর মেজাজ বিগড়ে যেত।

বড় বড় ডিগ্রি আছে, ফটফট করে কথা বলেন—এ রকম সিইওরাও তাঁর সমালোচনা থেকে রেহাই পেতেন না। এই সিইওরা নরম সুরে কথা বলেন আর তাঁর চারপাশে ঘুরে বেড়ান মেডিওকার বা তেলবাজেরা। এই সিইওরা চান, তেলবাজেরা সব সময় তাঁদের পাশে থাকুক। স্টিভ জবসের ভাষ্য, তেলবাজেরা সিইওদের চারপাশে থাকতে পারে শুধু এই কারণে যে, এই সিইওদের নিজেদের যোগ্যতায় ঘাটতি থাকে। তাই তারা সব সময় ভয়ে থাকে, যোগ্য কেউ যদি কোনো পথে উঠে আসে!

কিন্তু বদমেজাজি হয়েই এই সব মোকাবিলা করতে হবে কেন? নরম সুরে কথা বলেও তো কাজ আদায় করে নেওয়া যায়। তিরিক্ষি মেজাজ তো দরকার হয় না। স্টিভ জবস বলতেন, হয়তো যায়, কিন্তু সেটা তিনি পারবেন না। এর কারণ হলো তাঁর অতীত। তিনি শৈশবে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়েছেন। খুবই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন।

তাই জীবনের গলিঘুঁচি চেনেন। মিউ মিউ করে কথা বলা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ।

অ্যাপলে স্টিভ জবস যখন কাজ করতেন, তখন অনেকেই ভালো অফার পেয়েও স্টিভকে ছেড়ে যায়নি। তাতে বোঝা যায়, তাঁর বদমেজাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না মানুষের কাছে। অ্যাপলের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ডেবি কোলম্যান। তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুল করায় অফিসভর্তি মানুষের সামনে স্টিভ তাঁকে বললেন, ‘তুমি একটা গর্দভ! একটা কাজও ঠিকমতো হয় না তোমার!’

অন্য কোনো সিইও এ কথা বললে চাকরি ছেড়ে দিতেন তিনি। কিন্তু স্টিভ এ কথা বলেছেন বলেই চাকরি ছাড়েননি; বরং মনে করেছেন, স্টিভের সঙ্গে কাজ করতে পারছি, এর চেয়ে সৌভাগ্যের আর কিছুই হতে পারে না। 

সূত্র: অপ্রকাশিত স্টিভ জবস, পৃষ্ঠা ৫০-৫২ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত