নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিষয়টি ‘নিয়মিত’ ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর দেশের মাঠে হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এমন কোনো সিরিজ মেলা ভার, যেটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। গত তিন বছরে সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে শুধু অ্যাওয়ে সিরিজে। এবারও যেমন ইংল্যান্ড হতে যাওয়া বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ড সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
৯ মে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের সম্প্রচার জটিলতা নিয়ে গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জানতে চেয়েছি যে বাংলাদেশে কোন চ্যানেল খেলা দেখাবে। তারা বিষয়টা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, জানতে পারব।’
অ্যাওয়ে সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে যতবারই জটিলতা তৈরি হয়, বিসিবির কাছে একটি যুক্তি তৈরি থাকে। সেটি আসলে উড়িয়ে দেওয়ারও সুযোগ নেই। আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডই মূলত সম্প্রচারের বিষয়টা চূড়ান্ত করে। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল অনুমিত কথাটাই তাই বলেছেন, ‘সম্প্রচারের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে হোস্ট (আয়োজক) বোর্ডের ওপর। তারাই এটার চূড়ান্ত করে। তারা যখন নিশ্চিত করবে, তখনই শুধু জানাতে পারব।’
২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের খেলা বাংলাদেশে সম্প্রচার নিয়েও এমন জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেটির সম্প্রচারস্বত্ব ছিল সনি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কাছে। ওই সিরিজ বাদে গত তিন বছরে এমন জটিলতা যতবার তৈরি হয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই শেষ মুহূর্তে সমাধান হয়েছে। ২০২১-২২ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের ম্যাচ, গত বছর পদ্মা সেতুর নামে হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের সম্প্রচারের অনিশ্চয়তা কেটেছে শেষ মুহূর্তে। এসব সিরিজের সম্প্রচারস্বত্ব ছিল বাংলাদেশিভিত্তিক ক্রীড়া বিপণন প্রতিষ্ঠান টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং (টিএসএম), যেটির প্রধান নির্বাহী মঈনুল হক চৌধুরী। এই আয়ারল্যান্ড সিরিজের স্বত্বও টিএসএমের।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির সময়ই শোনা গিয়েছিল, টিএসএমের কেনা স্বত্ব থেকে ‘ফিড’ নিয়ে প্রচারমাধ্যমগুলো কনসোর্টিয়ামের মতো করে প্রচার করে দেশের টিভিতে। টিএসএমের সঙ্গে কনসোর্টিয়ামের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই তৈরি হয়েছিল সম্প্রচার জটিলতা। এবার অবশ্য দ্বন্দ্বের চেয়ে বেশি সামনে আসছে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। নিয়মিত খেলা সম্প্রচারে যুক্ত এমন একটি সূত্র জানাচ্ছে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যে ব্যয়ে সম্প্রচার সত্ত্ব কেনা হচ্ছে, বিপণন খাত থেকে সেটি তুলে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে গেছে। এ কারণে দেশি চ্যানেলগুলো নিরুৎসাহিত হচ্ছে সিরিজ সম্প্রচারে। যদিও সম্প্রচারে যুক্ত আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি শুধুই আর্থিক নয়। যে পণ্যে মানুষের ব্যাপক চাহিদা আছে, সেটির দাম যতই হোক, বিক্রেতা সেটি বিপণন করতে আগ্রহী হবেন।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বাংলাদেশের টেলিভিশন থেকে একেবারে ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকায় খেলা সম্প্রচার করা হয়েছিল আইসিসি টিভি ও বিসিবির ফেসবুক পেজে। এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি? নিজাম উদ্দিন বলছে, ‘এটা ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং আরেকটা অপশন। আমাদের জানতে চাওয়াটা মূলত আসল টিভিতে বা চ্যানেলে বা কোন মাধ্যমে খেলাটা দেখাবে।’
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমের প্রধান নির্বাহী মঈনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর দাবি, গত বছর আইসিসি টিভি কিংবা ফেসবুকে ম্যাচ সম্প্রচার বিনা মূল্যেই করেছেন। এটির পুনরাবৃত্তি মানে তাঁর বিপুল ব্যবসায়িক ক্ষতি। তাহলে এবারও আয়ারল্যান্ড সিরিজ ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে? মঈনুল বলছেন, তাঁর কাছে আপাতত উত্তর নেই।
বিষয়টি ‘নিয়মিত’ ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর দেশের মাঠে হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এমন কোনো সিরিজ মেলা ভার, যেটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। গত তিন বছরে সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে শুধু অ্যাওয়ে সিরিজে। এবারও যেমন ইংল্যান্ড হতে যাওয়া বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ড সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
৯ মে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের সম্প্রচার জটিলতা নিয়ে গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জানতে চেয়েছি যে বাংলাদেশে কোন চ্যানেল খেলা দেখাবে। তারা বিষয়টা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, জানতে পারব।’
অ্যাওয়ে সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে যতবারই জটিলতা তৈরি হয়, বিসিবির কাছে একটি যুক্তি তৈরি থাকে। সেটি আসলে উড়িয়ে দেওয়ারও সুযোগ নেই। আয়োজক ক্রিকেট বোর্ডই মূলত সম্প্রচারের বিষয়টা চূড়ান্ত করে। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল অনুমিত কথাটাই তাই বলেছেন, ‘সম্প্রচারের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে হোস্ট (আয়োজক) বোর্ডের ওপর। তারাই এটার চূড়ান্ত করে। তারা যখন নিশ্চিত করবে, তখনই শুধু জানাতে পারব।’
২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের খেলা বাংলাদেশে সম্প্রচার নিয়েও এমন জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেটির সম্প্রচারস্বত্ব ছিল সনি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কাছে। ওই সিরিজ বাদে গত তিন বছরে এমন জটিলতা যতবার তৈরি হয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই শেষ মুহূর্তে সমাধান হয়েছে। ২০২১-২২ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের ম্যাচ, গত বছর পদ্মা সেতুর নামে হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের সম্প্রচারের অনিশ্চয়তা কেটেছে শেষ মুহূর্তে। এসব সিরিজের সম্প্রচারস্বত্ব ছিল বাংলাদেশিভিত্তিক ক্রীড়া বিপণন প্রতিষ্ঠান টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং (টিএসএম), যেটির প্রধান নির্বাহী মঈনুল হক চৌধুরী। এই আয়ারল্যান্ড সিরিজের স্বত্বও টিএসএমের।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির সময়ই শোনা গিয়েছিল, টিএসএমের কেনা স্বত্ব থেকে ‘ফিড’ নিয়ে প্রচারমাধ্যমগুলো কনসোর্টিয়ামের মতো করে প্রচার করে দেশের টিভিতে। টিএসএমের সঙ্গে কনসোর্টিয়ামের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই তৈরি হয়েছিল সম্প্রচার জটিলতা। এবার অবশ্য দ্বন্দ্বের চেয়ে বেশি সামনে আসছে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। নিয়মিত খেলা সম্প্রচারে যুক্ত এমন একটি সূত্র জানাচ্ছে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যে ব্যয়ে সম্প্রচার সত্ত্ব কেনা হচ্ছে, বিপণন খাত থেকে সেটি তুলে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে গেছে। এ কারণে দেশি চ্যানেলগুলো নিরুৎসাহিত হচ্ছে সিরিজ সম্প্রচারে। যদিও সম্প্রচারে যুক্ত আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি শুধুই আর্থিক নয়। যে পণ্যে মানুষের ব্যাপক চাহিদা আছে, সেটির দাম যতই হোক, বিক্রেতা সেটি বিপণন করতে আগ্রহী হবেন।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বাংলাদেশের টেলিভিশন থেকে একেবারে ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকায় খেলা সম্প্রচার করা হয়েছিল আইসিসি টিভি ও বিসিবির ফেসবুক পেজে। এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি? নিজাম উদ্দিন বলছে, ‘এটা ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং আরেকটা অপশন। আমাদের জানতে চাওয়াটা মূলত আসল টিভিতে বা চ্যানেলে বা কোন মাধ্যমে খেলাটা দেখাবে।’
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমের প্রধান নির্বাহী মঈনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর দাবি, গত বছর আইসিসি টিভি কিংবা ফেসবুকে ম্যাচ সম্প্রচার বিনা মূল্যেই করেছেন। এটির পুনরাবৃত্তি মানে তাঁর বিপুল ব্যবসায়িক ক্ষতি। তাহলে এবারও আয়ারল্যান্ড সিরিজ ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে? মঈনুল বলছেন, তাঁর কাছে আপাতত উত্তর নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪