সম্পাদকীয়
বেশ করে খাচ্ছেন রাসেল আলী। ঘুষ খাচ্ছেন এন্তার, কিন্তু সেই ঘুষের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও দাপটের সঙ্গে চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসিক ও সাপ্তাহিক চাঁদা তোলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এগুলো যে বড় মাপের অনিয়ম, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি আরও এমন অনেক কাজেই হাত পাকিয়েছেন, যাতে পকেটে বাড়তি ‘কড়ি’ আসে। রাসেল আলী ফেসবুকে সহকর্মীদের গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির ১৬৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৫১ জন! যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, বাংলাদেশে হাজারো সমস্যা থাকতে একজন রাসেল আলীর দুর্নীতি নিয়ে কথা তুলতে হবে কেন? এর উত্তরে বলা যায়, এ রকম রাসেল আলীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, অভিযোগ প্রমাণিত হয়, অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয় শুধু সতর্ক করে দেওয়া। এই যদি হয় শাস্তির নমুনা, তাহলে রাসেল আলীরা সতর্কই বা
হবে কেন, আগের মতো অনাচার-অনিয়ম করা কমাবেই বা কেন?
আরও বড় পরিসরে, আরও বড় চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্নীতির কারণেও যদি শাস্তির একই বিধান রাখা হয়, অর্থাৎ যদি শুধু সতর্ক করেই দায়িত্ব শেষ করে দেওয়া হয়, তাহলে দেশটা দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে কতক্ষণ?
খোঁজ নিয়ে যদি দেখা যায় ওপরমহলে রাসেল আলীর রয়েছে ভালো যোগাযোগ, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমাদের দেশটি বিপুল সম্ভাবনার দেশ যেমন, তেমনি বিপুল অনাচারেরও দেশ। মেধাবী মানুষ পরিশ্রম করে দেশের নানা সেক্টরে বিপ্লব নিয়ে আসছেন। সবজি, মাছের ফলনে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন গোটা বিশ্বকে। ডিম, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করে আমিষের ঘাটতি পূর্ণ করছেন দেশবাসীর। এই ভালো দিকগুলো আমাদের অনুপ্রাণিত করে ঠিকই, কিন্তু যখন দেখা যায় ঋণখেলাপিদের কোনো বিচার হচ্ছে না, হাজার কোটি টাকা লোপাট করে তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বুক ফুলিয়ে, তফসিল-পুনঃ তফসিলের নাটক দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ, তখন যে দীর্ঘশ্বাসটি বেরিয়ে আসে, সেটাই আসলে দেশের গতিবিধি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা দেয়। আর সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দেয়, রাসেল আলীদের মতো ওয়ার্ড মাস্টাররা যা ক্ষুদ্র পরিসরে করছেন; ঋণখেলাপি, ব্যাংক লুটপাটকারীরা সেই একই কাজ করছেন বৃহৎ পরিসরে। এবং এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এদের সবারই গডফাদার রয়েছে। অসাধু মানুষদের গডফাদারতন্ত্রই দেশ ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। এই বড় জায়গায় হাত না দিলে এ দেশের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবেন রাসেল আলীরাই। দেশের মূল নায়কেরা থেকে যাবেন আড়ালে এবং একসময় তাঁরা এই রাসেল আলীদের দাপটে বিলীন হয়ে যাবেন। রাসেল আলীদের ঠেকানো জরুরি, তাঁদের শাস্তি দেওয়া জরুরি। সেটা করা কি সম্ভব, নাকি ‘সতর্ক’ নাটকেই আটকে থাকবে সবকিছু? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।
বেশ করে খাচ্ছেন রাসেল আলী। ঘুষ খাচ্ছেন এন্তার, কিন্তু সেই ঘুষের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও দাপটের সঙ্গে চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসিক ও সাপ্তাহিক চাঁদা তোলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এগুলো যে বড় মাপের অনিয়ম, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি আরও এমন অনেক কাজেই হাত পাকিয়েছেন, যাতে পকেটে বাড়তি ‘কড়ি’ আসে। রাসেল আলী ফেসবুকে সহকর্মীদের গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির ১৬৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৫১ জন! যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, বাংলাদেশে হাজারো সমস্যা থাকতে একজন রাসেল আলীর দুর্নীতি নিয়ে কথা তুলতে হবে কেন? এর উত্তরে বলা যায়, এ রকম রাসেল আলীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, অভিযোগ প্রমাণিত হয়, অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয় শুধু সতর্ক করে দেওয়া। এই যদি হয় শাস্তির নমুনা, তাহলে রাসেল আলীরা সতর্কই বা
হবে কেন, আগের মতো অনাচার-অনিয়ম করা কমাবেই বা কেন?
আরও বড় পরিসরে, আরও বড় চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্নীতির কারণেও যদি শাস্তির একই বিধান রাখা হয়, অর্থাৎ যদি শুধু সতর্ক করেই দায়িত্ব শেষ করে দেওয়া হয়, তাহলে দেশটা দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে কতক্ষণ?
খোঁজ নিয়ে যদি দেখা যায় ওপরমহলে রাসেল আলীর রয়েছে ভালো যোগাযোগ, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমাদের দেশটি বিপুল সম্ভাবনার দেশ যেমন, তেমনি বিপুল অনাচারেরও দেশ। মেধাবী মানুষ পরিশ্রম করে দেশের নানা সেক্টরে বিপ্লব নিয়ে আসছেন। সবজি, মাছের ফলনে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন গোটা বিশ্বকে। ডিম, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করে আমিষের ঘাটতি পূর্ণ করছেন দেশবাসীর। এই ভালো দিকগুলো আমাদের অনুপ্রাণিত করে ঠিকই, কিন্তু যখন দেখা যায় ঋণখেলাপিদের কোনো বিচার হচ্ছে না, হাজার কোটি টাকা লোপাট করে তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বুক ফুলিয়ে, তফসিল-পুনঃ তফসিলের নাটক দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ, তখন যে দীর্ঘশ্বাসটি বেরিয়ে আসে, সেটাই আসলে দেশের গতিবিধি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা দেয়। আর সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দেয়, রাসেল আলীদের মতো ওয়ার্ড মাস্টাররা যা ক্ষুদ্র পরিসরে করছেন; ঋণখেলাপি, ব্যাংক লুটপাটকারীরা সেই একই কাজ করছেন বৃহৎ পরিসরে। এবং এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এদের সবারই গডফাদার রয়েছে। অসাধু মানুষদের গডফাদারতন্ত্রই দেশ ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। এই বড় জায়গায় হাত না দিলে এ দেশের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবেন রাসেল আলীরাই। দেশের মূল নায়কেরা থেকে যাবেন আড়ালে এবং একসময় তাঁরা এই রাসেল আলীদের দাপটে বিলীন হয়ে যাবেন। রাসেল আলীদের ঠেকানো জরুরি, তাঁদের শাস্তি দেওয়া জরুরি। সেটা করা কি সম্ভব, নাকি ‘সতর্ক’ নাটকেই আটকে থাকবে সবকিছু? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫