Ajker Patrika

রাজনীতিতে সুখবর নেই

সম্পাদকীয়
রাজনীতিতে সুখবর নেই

বর্তমানে রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে ডাকা বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে শেষ হয়নি। পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। ঘটনার পরের দিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।

এখানেই শেষ নয়, নতুন কর্মসূচি হিসেবে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়েছে। আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সড়ক, নৌ ও রেলপথে এই সর্বাত্মক অবরোধ পালিত হবে।

তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়নি। তিন দিনই বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অল্প দূরে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে হামলাকারীরা ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি মাইক্রোবাস ও ১৬টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এ ছাড়া ওই দিন একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের বেশ কয়েকটি অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি যানবাহন। পরে তিন দিনের অবরোধেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কারা এই গাড়ি পোড়াচ্ছে? পাল্টাপাল্টি অভিযোগে কী লাভ হচ্ছে?

জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ ও ‘দুর্বৃত্তপনা’ রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশটাকে নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে, এ জন্য দেশবাসীর কাছে সহায়তা চাই। দেশবাসীকে বলব, অগ্নি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দিন। আপনার গাড়ি পোড়ালে এদের ধরে ওই আগুনে ফেলুন। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে, সেই হাত পুড়িয়ে দিন। তাহলে ওরা থামবে। তা না হলে ওরা থামবে না। এটা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে? মারের বদলে মারের নীতি তো বরং সংঘাত বাড়াবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন! তিনি বলেছেন, ‘বারবার আমার ওপর আঘাত হেনেছে। তারপরও আমি বেঁচে গেছি। এখনো আমার ওপর হামলা হচ্ছে। এমনকি দেশে না, বিদেশেও আমার ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমি যখন বিদেশ যাই, সেখানেও কিলার হায়ার করে আমাকে মারার চেষ্টা করে। সে চেষ্টা খালেদা জিয়ার ছেলে করেছে, যে লন্ডনে বসে আছে।’

প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বললেও তাঁর এই অভিযোগ হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। তাঁকে হত্যার একাধিক ঘটনার 
কথা সবার জানা। বিদেশেও তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়ে থাকলে বলতেই হবে যে হিংসার রাজনীতি সব মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই রাজনীতি চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যায় না। রাজনৈতিক বিরোধিতা আর খুনোখুনি এক জিনিস নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত