Ajker Patrika

উৎসব-শঙ্কার ভোট আজ

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ২৮
উৎসব-শঙ্কার ভোট আজ

খুলনায় ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে আজ। জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ডুমুরিয়ার ১৪টি, রূপসার ৪টি, বটিয়াঘাটার ৩টি ও ফুলতলার ৪টি ইউপিতে হচ্ছে এ ভোট। এর মধ্যে রূপসা উপজেলা নৈহাটী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে সংশ্লিষ্ট ইউপিতে উৎসবের আমেজ বইছে। আবার অনেকে সহিংসতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে নৌকার জয় ম্লান হতে পারে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। যদিও অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের ইতিমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পর তাঁরা আরও বেশি সরব হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

২৪টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১৪ জন। আর ২৫টি ইউনিয়নের ২২৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৯৫৮ জন, ৭৫টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব ইউনিয়নে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৭ হাজার ১০৪ জন ও নারী ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৪ জন।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসব বিরাজ করছে। তাঁদের মধ্যে আছে সংঘর্ষের শঙ্কাও। এ ব্যাপারে খুলনার ফুলতলা উপজেলার আটরা গিলেতলা ইউনিয়নের ভোটার আব্দুস সালাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তবে মাঝে মাঝে ভয় হয়, প্রার্থীদের সমর্থকদের বিভিন্ন আচরণে। ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষ সহিংস কিছু একটা করতে পারে।

ইতিমধ্যে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও তিনি জানান। এই শঙ্কা প্রকাশ করেন একই ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ শেখ মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে উৎসব যেমন রয়েছে, তেমনি আছে শঙ্কাও। প্রতিপক্ষ তাঁর সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

নির্বাচনে সব কটি ইউপিতেই রয়েছে নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী। যদিও অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাতে বিদ্রোহীরা থমকে না গিয়ে আরও সরব হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে হয়েছে আরও তৎপর। এরাই নৌকার বিজয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন জেলার দায়িত্বশীল নেতারা।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী বলেন, সব কটি ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। দায়িত্বশীল কিছু নেতার সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিদ্রোহী প্রার্থী, সমর্থক ও তাঁদের ইন্ধনদাতাদের ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও বিদ্রোহীদের কারণে নৌকার বিজয় ব্যাহত হতে পারে। অতীতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসন ব্যাপক তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার, কিছু পুলিশ, প্রতিটি উপজেলায় ৩ প্লাটুন র‍্যাব, ৩ প্লাটুন বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত