আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
১৯৫৪-৫৫ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে কাজের সন্ধানে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আসেন মণীন্দ্র নাথ ঘোষ। তারও আগে বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) চায়নিজদের রেস্তোরাঁয় মিষ্টির কারিগর হিসেবে কাজ করেন তিনি। মণি ঘোষের মামা বীরগঞ্জে রেস্তোরাঁর ব্যবসা করতেন। সেখানে তিনি মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। দেশ স্বাধীন হলে বীরগঞ্জের ডাক্তারখানা মাঠসংলগ্ন একটি দোকানে নিজেই মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। নাম দেন মানিক মিষ্টান্ন ভান্ডার। সে সময় বীরগঞ্জে গোপাল শাহর মালিকানাধীন তৃপ্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে আরেকটি মিষ্টির দোকান ছিল। ২০০২ সালে মণীন্দ্র নাথ মারা যান।
বিভিন্ন কারণে মণীন্দ্র নাথের জীবদ্দশায় মিষ্টির ব্যবসা থেকে সরে আসে তাঁর পরিবার। তবে তিনি জীবিত থাকাকালে তাঁর শ্যালক মনোরঞ্জন ঘোষ আশির দশকের শুরুতে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। একসময় ভগ্নিপতির প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতার সুবাদে সুনাম কুড়ান তিনি। বর্তমানে মানিক মিষ্টান্ন ভান্ডারের আরেক কর্মচারী মৃদুল কান্তি দেব নব্বইয়ের দশকে আরাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে শুরু করেন মিষ্টির ব্যবসা। পরে নাম বদলে নতুন নাম দেন আশা সুইটস।
পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের বীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে সাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডার আর আশা সুইটস। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ক্রেতারা মিষ্টির অর্ডার দিচ্ছেন এক কেজি থেকে শুরু করে পাঁচ কেজি, দশ কেজি পর্যন্ত। আবার আপনার সামনেই কেউ যদি এক বা আধা মণ মিষ্টির অর্ডার দেন, অবাক হবেন না।
দোকান দুটোয় সারি সারি ট্রেতে সাজানো রয়েছে হরেক পদের মিষ্টি। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রসগোল্লার, যা এখন স্পঞ্জ মিষ্টি নামে পরিচিত। পাশাপাশি আছে মালাইকারি, ইন্দ্রাণী, তপসি, লেলচা ভোগ, রাজভোগ, কালোজাম, ছানার জিলাপি। বাহারি নামের পাশাপাশি স্বাদেও অপূর্ব এসব মিষ্টি। গরুর দুধের ছানা থেকে তৈরি এখানকার মিষ্টির খ্যাতি জেলার গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে ইতিমধ্যে। দুটো দোকানেই আট-দশজন কর্মচারী কাজ করেন।
আশা সুইটসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মৃদুল কান্তি দেব জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুধ সংগ্রহ করে ছানা তৈরি করা হয়। রাত ৮টার পর শুরু হয় মিষ্টি বানানোর কাজ। চলে মধ্যরাত অবধি। প্রতিদিন তাঁর দোকান তিন-চার মণ মিষ্টি বিক্রি হয়। এগুলোর অর্ধেকের বেশি রসগোল্লা।
সাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডারের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মনোরঞ্জন ঘোষের ছেলে সুব্রত ঘোষ মাধব জানান, প্রতিদিন নিজ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে ক্রেতারা আসেন মিষ্টি কিনতে। মিষ্টি যায় ঢাকায়ও।
বীরগঞ্জের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু স্বাদে অনন্য বলেই নয়, বীরগঞ্জের মিষ্টি পুরো দেশে দামেও সেরা (সস্তা)।
দরদাম
প্রতি কেজি স্পঞ্জ মিষ্টি ২২০, মালাইকারি ২৮০, ইন্দ্রাণী ৪০০, তপসি ২৫০, লেলচা ভোগ ২৫০, রাজভোগ ২০০, কালোজাম ২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ছানার জিলাপি প্রতি পিসের দাম ২০ টাকা।
১৯৫৪-৫৫ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে কাজের সন্ধানে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আসেন মণীন্দ্র নাথ ঘোষ। তারও আগে বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) চায়নিজদের রেস্তোরাঁয় মিষ্টির কারিগর হিসেবে কাজ করেন তিনি। মণি ঘোষের মামা বীরগঞ্জে রেস্তোরাঁর ব্যবসা করতেন। সেখানে তিনি মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। দেশ স্বাধীন হলে বীরগঞ্জের ডাক্তারখানা মাঠসংলগ্ন একটি দোকানে নিজেই মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। নাম দেন মানিক মিষ্টান্ন ভান্ডার। সে সময় বীরগঞ্জে গোপাল শাহর মালিকানাধীন তৃপ্তি মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে আরেকটি মিষ্টির দোকান ছিল। ২০০২ সালে মণীন্দ্র নাথ মারা যান।
বিভিন্ন কারণে মণীন্দ্র নাথের জীবদ্দশায় মিষ্টির ব্যবসা থেকে সরে আসে তাঁর পরিবার। তবে তিনি জীবিত থাকাকালে তাঁর শ্যালক মনোরঞ্জন ঘোষ আশির দশকের শুরুতে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। একসময় ভগ্নিপতির প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতার সুবাদে সুনাম কুড়ান তিনি। বর্তমানে মানিক মিষ্টান্ন ভান্ডারের আরেক কর্মচারী মৃদুল কান্তি দেব নব্বইয়ের দশকে আরাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে শুরু করেন মিষ্টির ব্যবসা। পরে নাম বদলে নতুন নাম দেন আশা সুইটস।
পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের বীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে সাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডার আর আশা সুইটস। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ক্রেতারা মিষ্টির অর্ডার দিচ্ছেন এক কেজি থেকে শুরু করে পাঁচ কেজি, দশ কেজি পর্যন্ত। আবার আপনার সামনেই কেউ যদি এক বা আধা মণ মিষ্টির অর্ডার দেন, অবাক হবেন না।
দোকান দুটোয় সারি সারি ট্রেতে সাজানো রয়েছে হরেক পদের মিষ্টি। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রসগোল্লার, যা এখন স্পঞ্জ মিষ্টি নামে পরিচিত। পাশাপাশি আছে মালাইকারি, ইন্দ্রাণী, তপসি, লেলচা ভোগ, রাজভোগ, কালোজাম, ছানার জিলাপি। বাহারি নামের পাশাপাশি স্বাদেও অপূর্ব এসব মিষ্টি। গরুর দুধের ছানা থেকে তৈরি এখানকার মিষ্টির খ্যাতি জেলার গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছে ইতিমধ্যে। দুটো দোকানেই আট-দশজন কর্মচারী কাজ করেন।
আশা সুইটসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মৃদুল কান্তি দেব জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুধ সংগ্রহ করে ছানা তৈরি করা হয়। রাত ৮টার পর শুরু হয় মিষ্টি বানানোর কাজ। চলে মধ্যরাত অবধি। প্রতিদিন তাঁর দোকান তিন-চার মণ মিষ্টি বিক্রি হয়। এগুলোর অর্ধেকের বেশি রসগোল্লা।
সাধনা মিষ্টান্ন ভান্ডারের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মনোরঞ্জন ঘোষের ছেলে সুব্রত ঘোষ মাধব জানান, প্রতিদিন নিজ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে ক্রেতারা আসেন মিষ্টি কিনতে। মিষ্টি যায় ঢাকায়ও।
বীরগঞ্জের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু স্বাদে অনন্য বলেই নয়, বীরগঞ্জের মিষ্টি পুরো দেশে দামেও সেরা (সস্তা)।
দরদাম
প্রতি কেজি স্পঞ্জ মিষ্টি ২২০, মালাইকারি ২৮০, ইন্দ্রাণী ৪০০, তপসি ২৫০, লেলচা ভোগ ২৫০, রাজভোগ ২০০, কালোজাম ২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ছানার জিলাপি প্রতি পিসের দাম ২০ টাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪