সাইফুল মাসুম, ঢাকা
প্রকৃতিপ্রেমী নুসরাত ফাতেমা পলি। শহুরে জীবনে বাগান করতে বাসার ছাদই ছিল তাঁর ভরসা। ধানমন্ডির শংকরের নিজ বাসার ছাদে তিনি গড়ে তুলেছেন দুই হাজার বর্গফুটের দৃষ্টিনন্দন এক ছাদবাগান। ১০ বছরের মধ্যেই বাগানজুড়ে সবুজের সমারোহ। সারি সারি বিভিন্ন ফলের গাছ। চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। আছে ফুল গাছও। বছর ঘুরতেই বিভিন্ন গাছে ফলন আসে। ছাদবাগান পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে।
যান্ত্রিক এ শহরে সবুজ প্রাণের ছোঁয়া জাগিয়ে তুলতে পলির মতো অনেক বাসিন্দাই নিজ উৎসাহে করছেন ছাদবাগান। তবে ছাদবাগান নিয়ে কোনো আইন ও নীতিমালা না থাকায় বাগানমালিকেরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। যদিও বাসাবাড়ির ছাদে বাগান করলে ১০ শতাংশ কর মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এমন ঘোষণার সাত বছরের বেশি সময়েও নাগরিকেরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন প্রথমবার কর মওকুফের ঘোষণা দেন। মেয়র হিসেবে এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘সবুজ ঢাকা গড়ার প্রত্যয়ে ছাদে বা বারান্দায় বাগান করার কাজে নগরবাসীকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাসাবাড়িতে ছাদবাগান করলে হোল্ডিং মালিককে তাঁর ওপর ধার্য করা হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ১০ ভাগ মওকুফ করা হবে।’
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুনে এক হাজারের বেশি বাড়ির মালিক ছাদবাগান করে কর মওকুফের সুবিধা নিয়েছেন। তবে ২০১৬ সালের জুনের পর তৎকালীন মেয়রের সময়েই সেই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাদবাগানের জন্য ২০১৬ সালের ওই ছাড় ছাড়া অন্য কোনো সময় কোনো ধরনের সুবিধা মেলেনি। শুধু মৌখিক ঘোষণার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল
২০২০ সালে মিরপুর ১০ এলাকার মুকুল ফৌজ মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ ডিএনসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব বাসাবাড়িতে ছাদবাগান করা হবে, সেসব বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
১৯৯৪ সাল থেকে নগরকৃষি ও ছাদবাগান নিয়ে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ গ্রিন রুফ মুভমেন্ট। সংগঠনটিতে বর্তমানে ঢাকা শহরের ২৫০ ছাদবাগান মালিক যুক্ত রয়েছেন।
গ্রিন রুফ মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ শতাংশ কর মওকুফ তো দূরে থাক, ছাদবাগান করতে গিয়ে সরকারের ন্যূনতম সহযোগিতা পাচ্ছে না কেউ; বিশেষ করে ফ্ল্যাট কালচারে যেখানে ১০ জনের বাড়ি, সেখানে যখন একজন বা দুজন ছাদবাগান করতে চান, তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় ছাদবাগান নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গেও বিবাদ হয়। ছাদবাগান নিয়ে দেশে কোনো আইন বা নীতিমালা নেই।’
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক নগর-পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকায় সবুজের পরিমাণ অনেক কম। শহরে সবুজায়ন বাড়াতে ছাদবাগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নগরকৃষির জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করা উচিত। মেয়রদের কথাও বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।’
এদিকে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বিদায় নেওয়ার পর ২০২০ সালে মেয়র নির্বাচিত হন শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে অফিশিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা ছাড়া ডিএসসিসি এ ধরনের কোনো অঙ্গীকার করেছে, এটা আমার নলেজে নেই।’
এদিকে শিগগিরই ছাদবাগানে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করা হবে বলে জানালেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছাদবাগানে কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই বাস্তবায়ন করতে পারব। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে ছাদবাগানে কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারব।’
প্রকৃতিপ্রেমী নুসরাত ফাতেমা পলি। শহুরে জীবনে বাগান করতে বাসার ছাদই ছিল তাঁর ভরসা। ধানমন্ডির শংকরের নিজ বাসার ছাদে তিনি গড়ে তুলেছেন দুই হাজার বর্গফুটের দৃষ্টিনন্দন এক ছাদবাগান। ১০ বছরের মধ্যেই বাগানজুড়ে সবুজের সমারোহ। সারি সারি বিভিন্ন ফলের গাছ। চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। আছে ফুল গাছও। বছর ঘুরতেই বিভিন্ন গাছে ফলন আসে। ছাদবাগান পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে।
যান্ত্রিক এ শহরে সবুজ প্রাণের ছোঁয়া জাগিয়ে তুলতে পলির মতো অনেক বাসিন্দাই নিজ উৎসাহে করছেন ছাদবাগান। তবে ছাদবাগান নিয়ে কোনো আইন ও নীতিমালা না থাকায় বাগানমালিকেরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। যদিও বাসাবাড়ির ছাদে বাগান করলে ১০ শতাংশ কর মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এমন ঘোষণার সাত বছরের বেশি সময়েও নাগরিকেরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন প্রথমবার কর মওকুফের ঘোষণা দেন। মেয়র হিসেবে এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘সবুজ ঢাকা গড়ার প্রত্যয়ে ছাদে বা বারান্দায় বাগান করার কাজে নগরবাসীকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাসাবাড়িতে ছাদবাগান করলে হোল্ডিং মালিককে তাঁর ওপর ধার্য করা হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ১০ ভাগ মওকুফ করা হবে।’
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুনে এক হাজারের বেশি বাড়ির মালিক ছাদবাগান করে কর মওকুফের সুবিধা নিয়েছেন। তবে ২০১৬ সালের জুনের পর তৎকালীন মেয়রের সময়েই সেই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাদবাগানের জন্য ২০১৬ সালের ওই ছাড় ছাড়া অন্য কোনো সময় কোনো ধরনের সুবিধা মেলেনি। শুধু মৌখিক ঘোষণার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল
২০২০ সালে মিরপুর ১০ এলাকার মুকুল ফৌজ মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ ডিএনসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব বাসাবাড়িতে ছাদবাগান করা হবে, সেসব বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
১৯৯৪ সাল থেকে নগরকৃষি ও ছাদবাগান নিয়ে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ গ্রিন রুফ মুভমেন্ট। সংগঠনটিতে বর্তমানে ঢাকা শহরের ২৫০ ছাদবাগান মালিক যুক্ত রয়েছেন।
গ্রিন রুফ মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ শতাংশ কর মওকুফ তো দূরে থাক, ছাদবাগান করতে গিয়ে সরকারের ন্যূনতম সহযোগিতা পাচ্ছে না কেউ; বিশেষ করে ফ্ল্যাট কালচারে যেখানে ১০ জনের বাড়ি, সেখানে যখন একজন বা দুজন ছাদবাগান করতে চান, তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় ছাদবাগান নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গেও বিবাদ হয়। ছাদবাগান নিয়ে দেশে কোনো আইন বা নীতিমালা নেই।’
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক নগর-পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকায় সবুজের পরিমাণ অনেক কম। শহরে সবুজায়ন বাড়াতে ছাদবাগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নগরকৃষির জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করা উচিত। মেয়রদের কথাও বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।’
এদিকে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বিদায় নেওয়ার পর ২০২০ সালে মেয়র নির্বাচিত হন শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে অফিশিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা ছাড়া ডিএসসিসি এ ধরনের কোনো অঙ্গীকার করেছে, এটা আমার নলেজে নেই।’
এদিকে শিগগিরই ছাদবাগানে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করা হবে বলে জানালেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ছাদবাগানে কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই বাস্তবায়ন করতে পারব। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে ছাদবাগানে কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪