সম্পাদকীয়
ধরুন, আপনি অবকাশ কাটানোর জন্য নির্জন একটি জায়গা খুঁজছেন। আপনার পছন্দের তালিকায় নিশ্চয়ই থাকতে পারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। ইতিহাসের ব্যাপারে আগ্রহী হলে আপনি এখনই গুগলে ঢুকে জেনে নিতে পারেন, দ্বীপটির আদি নাম ছিল নারিকেল জিঞ্জিরা।
টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে হলে আপনাকে উঠতে হবে জাহাজে। জাহাজে ওঠার পর আপনি নীল আকাশে দেখবেন এক অসাধারণ দৃশ্য। বঙ্গোপসাগরের পানি কেটে যখন আপনাদের জাহাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, তখন শত শত গাঙচিলও চলেছে আপনাদের সঙ্গে। এ এক অপরূপ দৃশ্য! এই দৃশ্যে মোহিত হতেই হবে আপনাকে।
একটু পরেই খেয়াল করে দেখবেন, আপনার আশপাশের পর্যটকেরা জাহাজে থাকা ছোট্ট দোকানটায় ভিড় জমিয়েছে। কেন ভিড় জমাল তারা? আর কিছু নয়, এই গাঙচিলদের চিপস খাওয়ানোর আগ্রহ জেগেছে তাদের। জাহাজেরই কেউ হয়তো গাঙচিলদের চিপস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে আপনাকে। আপনি খুশি মনে চিপস কিনে নিলেন, তারপর জাহাজ থেকে সে চিপস ছড়িয়ে দিতে থাকলেন আকাশে। আর যখন ছোঁ মেরে চিপস মুখে তুলে নেবে গাঙচিল, তখন খুশিতে মাতোয়ারা হবেন আপনি! এভাবেই চিপসের প্যাকেটগুলো নিঃশেষিত হতে থাকবে। গাঙচিলগুলো একটার পর একটা চিপস খেয়ে তাদের উদরপূর্তি করবে। ভারি এক মজা!
এই মজা যে কতভাবে নষ্ট করছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, সেটা অবশ্য আপনাকে বলে না দিলে আপনি বুঝতে পারবেন না। গাঙচিল যখন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই খাবার পাচ্ছে, তখন এটা তার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। ওরা তো মানুষ নয় যে কেউ ওদের সতর্ক করে দিয়ে বলবে, ‘ওহে গাঙচিল, প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়।’ শুধু গাংচিল কেন, কোনো প্রাণীকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু সে কথা তো প্রাণীরা জানে না। প্রাণীরা প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিও করে না। করে মানুষ। আর মানুষই তাদের লাভের জন্য এই খাবার বিক্রি করে, গাঙচিল বা অন্য কোনো প্রাণীর তাতে ক্ষতি হলো কি না হলো, কী যায় আসে তাতে! আরও মজার ব্যাপার, গাঙচিলদের খাওয়ানোর জন্য জাহাজে যে চিপস বিক্রি করা হয়, তার জন্য নেওয়া হয় দ্বিগুণ দাম। আপনার হাত থেকে চিপস নিয়ে খাবে গাঙচিল, আপনি কেন পয়সার তোয়াক্কা করবেন! আর বেচারা গাঙচিলেরা জানেই না, এই চিপস খেলে তাদের ডিমপাড়া বন্ধ হয়ে যাবে। অসুস্থ হয়ে মারা যাবে কেউ কেউ। আর ওরা মাছ শিকার করতে ভুলে যাবে।
এ তো গেল গাঙচিলের কথা। আপনি এবার সমুদ্রের পানির দিকে তাকান। কী দেখছেন? হ্যাঁ, চিপসের প্লাস্টিকের ঠোঙাগুলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। এতে সমুদ্রদূষণ হচ্ছে ভয়াবহভাবে।
এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, সেন্ট মার্টিনে গেলে আপনি কি চিপস কিনবেন? গাঙচিলদের বংশ ধ্বংস করবেন? সমুদ্র দূষণ করবেন? সঙ্গে আরেকটি কথা। জাহাজগুলোয় চিপস বিক্রি বন্ধ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। সে বিষয়েও অগ্রণী হওয়া দরকার।
ধরুন, আপনি অবকাশ কাটানোর জন্য নির্জন একটি জায়গা খুঁজছেন। আপনার পছন্দের তালিকায় নিশ্চয়ই থাকতে পারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। ইতিহাসের ব্যাপারে আগ্রহী হলে আপনি এখনই গুগলে ঢুকে জেনে নিতে পারেন, দ্বীপটির আদি নাম ছিল নারিকেল জিঞ্জিরা।
টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে হলে আপনাকে উঠতে হবে জাহাজে। জাহাজে ওঠার পর আপনি নীল আকাশে দেখবেন এক অসাধারণ দৃশ্য। বঙ্গোপসাগরের পানি কেটে যখন আপনাদের জাহাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, তখন শত শত গাঙচিলও চলেছে আপনাদের সঙ্গে। এ এক অপরূপ দৃশ্য! এই দৃশ্যে মোহিত হতেই হবে আপনাকে।
একটু পরেই খেয়াল করে দেখবেন, আপনার আশপাশের পর্যটকেরা জাহাজে থাকা ছোট্ট দোকানটায় ভিড় জমিয়েছে। কেন ভিড় জমাল তারা? আর কিছু নয়, এই গাঙচিলদের চিপস খাওয়ানোর আগ্রহ জেগেছে তাদের। জাহাজেরই কেউ হয়তো গাঙচিলদের চিপস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে আপনাকে। আপনি খুশি মনে চিপস কিনে নিলেন, তারপর জাহাজ থেকে সে চিপস ছড়িয়ে দিতে থাকলেন আকাশে। আর যখন ছোঁ মেরে চিপস মুখে তুলে নেবে গাঙচিল, তখন খুশিতে মাতোয়ারা হবেন আপনি! এভাবেই চিপসের প্যাকেটগুলো নিঃশেষিত হতে থাকবে। গাঙচিলগুলো একটার পর একটা চিপস খেয়ে তাদের উদরপূর্তি করবে। ভারি এক মজা!
এই মজা যে কতভাবে নষ্ট করছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, সেটা অবশ্য আপনাকে বলে না দিলে আপনি বুঝতে পারবেন না। গাঙচিল যখন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই খাবার পাচ্ছে, তখন এটা তার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। ওরা তো মানুষ নয় যে কেউ ওদের সতর্ক করে দিয়ে বলবে, ‘ওহে গাঙচিল, প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের জন্য ভালো নয়।’ শুধু গাংচিল কেন, কোনো প্রাণীকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু সে কথা তো প্রাণীরা জানে না। প্রাণীরা প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিও করে না। করে মানুষ। আর মানুষই তাদের লাভের জন্য এই খাবার বিক্রি করে, গাঙচিল বা অন্য কোনো প্রাণীর তাতে ক্ষতি হলো কি না হলো, কী যায় আসে তাতে! আরও মজার ব্যাপার, গাঙচিলদের খাওয়ানোর জন্য জাহাজে যে চিপস বিক্রি করা হয়, তার জন্য নেওয়া হয় দ্বিগুণ দাম। আপনার হাত থেকে চিপস নিয়ে খাবে গাঙচিল, আপনি কেন পয়সার তোয়াক্কা করবেন! আর বেচারা গাঙচিলেরা জানেই না, এই চিপস খেলে তাদের ডিমপাড়া বন্ধ হয়ে যাবে। অসুস্থ হয়ে মারা যাবে কেউ কেউ। আর ওরা মাছ শিকার করতে ভুলে যাবে।
এ তো গেল গাঙচিলের কথা। আপনি এবার সমুদ্রের পানির দিকে তাকান। কী দেখছেন? হ্যাঁ, চিপসের প্লাস্টিকের ঠোঙাগুলো ছড়িয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। এতে সমুদ্রদূষণ হচ্ছে ভয়াবহভাবে।
এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, সেন্ট মার্টিনে গেলে আপনি কি চিপস কিনবেন? গাঙচিলদের বংশ ধ্বংস করবেন? সমুদ্র দূষণ করবেন? সঙ্গে আরেকটি কথা। জাহাজগুলোয় চিপস বিক্রি বন্ধ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। সে বিষয়েও অগ্রণী হওয়া দরকার।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫