জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে রেললাইনে পাথর কম। লাইনে ত্রুটিও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ফলে এসব জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। সীতাকুণ্ড ও পাহাড়তলী স্টেশনে ঝুঁকি অন্য রকম। এই দুই স্টেশনে গাছের জন্য আউটার সিগন্যাল (স্টেশনে ট্রেন ঢোকার প্রথম সংকেত বা অনুমতি) দেখতে পান না চালক। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, অনুমোদিত ৩০ লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান থাকে না। স্টেশনমাস্টাররাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় গেটম্যানের গাফিলতিতে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তূর্ণা ট্রেনের সঙ্গে উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৬ জন। এ ছাড়া ছোটখাটো আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেছেন, কেউ পঙ্গু হয়েছেন। সব মিলিয়ে ট্রাফিক সিস্টেমের অব্যবস্থাপনায় ‘নিরাপদ’ ট্রেনযাত্রা হয়ে উঠেছে অনিরাপদ।
রেল কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শনেও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রাফিক সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার চিত্র উঠে এসেছে। রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের চট্টগ্রাম যাওয়া উপলক্ষে গত ২৭ মে তূর্ণা এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসার পথে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। পর্যবেক্ষণকালে আখাউড়া থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে ৩০টি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান পাননি কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে সতর্ক করলেও টনক নড়েনি রেল প্রশাসনের।
কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে রেলওয়ের ট্রাফিক, প্রকৌশল ও সংকেত বিভাগ মিলে একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এনামুল হক সিকদার।
এতে বলা হয়, প্রতিটি স্টেশনে পেপার লাইন ক্লিয়ার (পিএলসি) অর্থাৎ ট্রেন পরের স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি যথাযথ নিয়মে দেওয়া হয় না। স্টেশন মাস্টারের সামনে থেকে পিএলসি দেওয়া হয়। অথচ পিএলসি দেওয়ার নিয়ম হলো স্টেশনের আগে হোম সিগন্যালের পরপরই। অনেক স্টেশনে রেলের কর্মচারী নয় বা বহিরাগতদের দিয়ে পিএলসি দেওয়া হয়। যেমন—সদর রসুলপুর স্টেশনে পিএলসি দেয় বহিরাগত লোকজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার ইমামবাড়ি স্টেশন, কুমিল্লা জেলার সদর রসুলপুর এবং ফেনীর ফাজিলপুর স্টেশনে প্রসিড সিগন্যাল (স্টেশন মাস্টার বের হয়ে ট্রেন ঠিকঠাকমতো আছে কি না দেখা) দেওয়া হয় না। এতে ট্রেনের কোনো ঝুঁকি আছে কি না, তা নির্ণয় না করায় দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে এসব স্টেশনে।
আখাউড়া-চট্টগ্রাম রেলপথের মধ্যে কয়েকটি সেকশনে, যেমন—ফেনীর মুহুরিগঞ্জ, মিরসরাইয়ের মাস্তানগর, মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে অনেক জায়গায় ট্রেন খুব বেশি ঝাঁকুনি দেয়। এমনকি ট্রেন এক পাশে হেলে যায়। এসব রেললাইনে পাথর কম ও রেললাইনে ত্রুটির কারণে এমন ঝাঁকুনি দেয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। তাই দ্রুত মেরামত না করা হলে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব বিভাগের বিষয়গুলো তদারকি করছি। যাদের গাফিলতি পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানে সমস্যা, সেগুলো সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। সম্প্রতি মিরসরাইয়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় যাদের অবহেলা ছিল বা আইন মানেনি, তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে রেললাইনে পাথর কম। লাইনে ত্রুটিও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ফলে এসব জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। সীতাকুণ্ড ও পাহাড়তলী স্টেশনে ঝুঁকি অন্য রকম। এই দুই স্টেশনে গাছের জন্য আউটার সিগন্যাল (স্টেশনে ট্রেন ঢোকার প্রথম সংকেত বা অনুমতি) দেখতে পান না চালক। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, অনুমোদিত ৩০ লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান থাকে না। স্টেশনমাস্টাররাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় গেটম্যানের গাফিলতিতে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তূর্ণা ট্রেনের সঙ্গে উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৬ জন। এ ছাড়া ছোটখাটো আরও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেছেন, কেউ পঙ্গু হয়েছেন। সব মিলিয়ে ট্রাফিক সিস্টেমের অব্যবস্থাপনায় ‘নিরাপদ’ ট্রেনযাত্রা হয়ে উঠেছে অনিরাপদ।
রেল কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শনেও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রাফিক সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার চিত্র উঠে এসেছে। রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের চট্টগ্রাম যাওয়া উপলক্ষে গত ২৭ মে তূর্ণা এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসার পথে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। পর্যবেক্ষণকালে আখাউড়া থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে ৩০টি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান পাননি কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে সতর্ক করলেও টনক নড়েনি রেল প্রশাসনের।
কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে রেলওয়ের ট্রাফিক, প্রকৌশল ও সংকেত বিভাগ মিলে একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এনামুল হক সিকদার।
এতে বলা হয়, প্রতিটি স্টেশনে পেপার লাইন ক্লিয়ার (পিএলসি) অর্থাৎ ট্রেন পরের স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি যথাযথ নিয়মে দেওয়া হয় না। স্টেশন মাস্টারের সামনে থেকে পিএলসি দেওয়া হয়। অথচ পিএলসি দেওয়ার নিয়ম হলো স্টেশনের আগে হোম সিগন্যালের পরপরই। অনেক স্টেশনে রেলের কর্মচারী নয় বা বহিরাগতদের দিয়ে পিএলসি দেওয়া হয়। যেমন—সদর রসুলপুর স্টেশনে পিএলসি দেয় বহিরাগত লোকজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার ইমামবাড়ি স্টেশন, কুমিল্লা জেলার সদর রসুলপুর এবং ফেনীর ফাজিলপুর স্টেশনে প্রসিড সিগন্যাল (স্টেশন মাস্টার বের হয়ে ট্রেন ঠিকঠাকমতো আছে কি না দেখা) দেওয়া হয় না। এতে ট্রেনের কোনো ঝুঁকি আছে কি না, তা নির্ণয় না করায় দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে এসব স্টেশনে।
আখাউড়া-চট্টগ্রাম রেলপথের মধ্যে কয়েকটি সেকশনে, যেমন—ফেনীর মুহুরিগঞ্জ, মিরসরাইয়ের মাস্তানগর, মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে অনেক জায়গায় ট্রেন খুব বেশি ঝাঁকুনি দেয়। এমনকি ট্রেন এক পাশে হেলে যায়। এসব রেললাইনে পাথর কম ও রেললাইনে ত্রুটির কারণে এমন ঝাঁকুনি দেয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। তাই দ্রুত মেরামত না করা হলে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব বিভাগের বিষয়গুলো তদারকি করছি। যাদের গাফিলতি পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানে সমস্যা, সেগুলো সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। সম্প্রতি মিরসরাইয়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় যাদের অবহেলা ছিল বা আইন মানেনি, তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪