Ajker Patrika

শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৩১
শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে পৌষের শুরুতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও দুপুরের পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কাবু হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৪ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করছে।

তিনি আরও জানান, তেঁতুলিয়া, গোপালগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। শৈত্যপ্রবাহটি আগামীকাল আরও কিছু স্থানে বিস্তার লাভ করতে পারে।

সরেজমিন দেখা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষ শীত নিবারণে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাত ও শহরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের শহীদ মিনার হকার্স মার্কেটে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দোকানিরা। চলছে দামদর ও কেনাকাটা।

দোকানিরা জানান, এক সপ্তাহ থেকে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। গত বছর শীত কম থাকায় ভালো ব্যবসা হয়নি। এ বছর শীত বাড়ায় কিছুটা আশাবাদী তাঁরা।

বিরল থেকে ছেলের জন্য শীতের কাপড় কিনতে আসা একটি দোকানের কর্মচারী আল-আমীন বলেন, ‘এ বছর বেশ ঠান্ডা। নিজের কোনোমতে চলে গেলেও ছেলের জন্য একটি নতুন জ্যাকেট লাগবে। গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে যে দাম তাতে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই এখানে এসেছি।’

নিউটাউনের গুলশানারা বলেন, ‘স্বামী সামান্য দিনমজুরের কাজ করেন। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালানোই মুশকিল। যে শীত, তাতে শীতের কাপড় না হলেই নয়। এখানে কম টাকায় পাওয়া যায়, তাই এখানেই এসেছি।’

দোকানদার রুবেল ইসলাম বলেন, ‘করোনা আর গত বছর শীত কম থাকায় ভালো ব্যবসা হয়নি। এবার কিছুটা ভালো।’

আরেক দোকানদার জাবেদ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ থেকে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। এখানে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে বিভিন্ন দামের মাল পাওয়া যায়। ভিড় অনুযায়ী বিক্রি কম, কয়েক দিন থেকে বেচাবিক্রি মোটামুটি হচ্ছে।’

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীত শুরুর আগেই শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র, বিশেষ করে কম্বল বিতরণ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ১৩ উপজেলায় ৫২ হাজার কম্বল ইউএনওদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু কেনার প্রক্রিয়াধীন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত