আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অসংখ্য বাঁকের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তার ওপর সড়ক দিয়ে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন লবণবাহী ট্রাক চলাচল করে। ট্রাক থেকে লবণপানি পড়ে পিচ্ছিল হয় সড়ক। এ ছাড়া ইটভাটার মাটিবাহী ট্রাকও চলে এ সড়কে। বৃষ্টি হলে ট্রাক থেকে পড়া মাটিতে কাদা হয়। লবণপানি ও কাদা মিলে সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি ইউনিয়নে বনপুকুর এলাকায় বাস ও লরি এবং আধুনগর ব্রিজ এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রায় ১৯ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া রোববার ভোর ৫টার দিকে লোহাগাড়া ও চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকায় কক্সবাজারগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে চালক এরশাদ মণ্ডল এবং চালকের সহকারী শিব্বির আহমদ মারুফ ঘটনাস্থলে নিহত হন। ৫ মার্চ একই স্থানে বিজিবির বাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন।
গত দুই মাসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে হতাহত হয়েছেন।
কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন লবণবাহী ট্রাক থেকে পড়া পানিতে পিচ্ছিল হওয়ার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন-সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, লবণবাহী গাড়িতে প্লাস্টিকের মোটা ত্রিপল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছেন না। আর এই নিয়ম মানানোর ব্যাপারেও কারও মাথাব্যথা নেই।
লবণপানির কারণে মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে মহাসড়কটির কক্সবাজারের ঈদগাহ থেকে চকরিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া পর্যন্ত। গত ১৫ দিনে মহাসড়কটির চকরিয়া উপজেলার ৩৯ কিলোমিটার অংশে ঘটেছে আটটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জে পি দেওয়ান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশে বেশ কিছু বাঁক এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তবে লবণপানির বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
চট্টগ্রাম হাইওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাসিম খান বলেন, ট্রাক থেকে গলে পড়া লবণপানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন হাটবাজারের কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিশেষ করে পটিয়ার শান্তির হাট, কলেজ বাজার, বাদামতল, মনসা চৌমুহনী, ভেল্লাপাড়া, মুন্সেফ বাজার, থানার মোড়, ডাকবাংলো, বাসস্ট্যান্ড, পোস্ট অফিস মোড়, চন্দনাইশের রৌশন হাট, বাগিচাহাট, দোহাজারী বাজার, সাতকানিয়ার কেরানীহাট ও লোহাগাড়া সদর বটতলী স্টেশন, পদুয়া তেওয়ারীহাট, আধুনগর খানহাট বাজার ও চুনতি বাজার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া (চিরিংগা) বাজার, হাবরাং, ডুলাহাজারা স্টেশনে, ঈদগাহ বাজার, রামু বাইপাস, খুরুলিয়া বাজার, রিংরোড ও কক্সবাজার সদরের কলাতলি মোড় পর্যন্ত যানজট থাকে। পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে সমুদ্রসৈকতে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অনেক স্থান সরু। সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ২০২৪ সালে এ কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার জন্য জাইকার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অসংখ্য বাঁকের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তার ওপর সড়ক দিয়ে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন লবণবাহী ট্রাক চলাচল করে। ট্রাক থেকে লবণপানি পড়ে পিচ্ছিল হয় সড়ক। এ ছাড়া ইটভাটার মাটিবাহী ট্রাকও চলে এ সড়কে। বৃষ্টি হলে ট্রাক থেকে পড়া মাটিতে কাদা হয়। লবণপানি ও কাদা মিলে সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চুনতি ইউনিয়নে বনপুকুর এলাকায় বাস ও লরি এবং আধুনগর ব্রিজ এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রায় ১৯ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া রোববার ভোর ৫টার দিকে লোহাগাড়া ও চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকায় কক্সবাজারগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে চালক এরশাদ মণ্ডল এবং চালকের সহকারী শিব্বির আহমদ মারুফ ঘটনাস্থলে নিহত হন। ৫ মার্চ একই স্থানে বিজিবির বাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন।
গত দুই মাসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে হতাহত হয়েছেন।
কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিদিন লবণবাহী ট্রাক থেকে পড়া পানিতে পিচ্ছিল হওয়ার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন-সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, লবণবাহী গাড়িতে প্লাস্টিকের মোটা ত্রিপল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছেন না। আর এই নিয়ম মানানোর ব্যাপারেও কারও মাথাব্যথা নেই।
লবণপানির কারণে মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে মহাসড়কটির কক্সবাজারের ঈদগাহ থেকে চকরিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া পর্যন্ত। গত ১৫ দিনে মহাসড়কটির চকরিয়া উপজেলার ৩৯ কিলোমিটার অংশে ঘটেছে আটটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জে পি দেওয়ান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশে বেশ কিছু বাঁক এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তবে লবণপানির বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
চট্টগ্রাম হাইওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাসিম খান বলেন, ট্রাক থেকে গলে পড়া লবণপানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন হাটবাজারের কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিশেষ করে পটিয়ার শান্তির হাট, কলেজ বাজার, বাদামতল, মনসা চৌমুহনী, ভেল্লাপাড়া, মুন্সেফ বাজার, থানার মোড়, ডাকবাংলো, বাসস্ট্যান্ড, পোস্ট অফিস মোড়, চন্দনাইশের রৌশন হাট, বাগিচাহাট, দোহাজারী বাজার, সাতকানিয়ার কেরানীহাট ও লোহাগাড়া সদর বটতলী স্টেশন, পদুয়া তেওয়ারীহাট, আধুনগর খানহাট বাজার ও চুনতি বাজার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া (চিরিংগা) বাজার, হাবরাং, ডুলাহাজারা স্টেশনে, ঈদগাহ বাজার, রামু বাইপাস, খুরুলিয়া বাজার, রিংরোড ও কক্সবাজার সদরের কলাতলি মোড় পর্যন্ত যানজট থাকে। পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে সমুদ্রসৈকতে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অনেক স্থান সরু। সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ২০২৪ সালে এ কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার জন্য জাইকার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪