সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
একটা সময় বন-জঙ্গলে ঘেরা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়। আর সেখানে প্রতিনিয়ত বিচরণ করত বাঘ, বানর, হরিণ, বনবিড়াল, ভালুক, শূকর ও বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপ। পাশাপাশি টিয়া, তোতা, শালিক, মাছরাঙা, দোয়েল পাখিসহ নাম-না জানা নানা ধরনের পাখপাখালির কলতানে মুখর থাকত এ পাহাড়। কিন্তু দিন দিন এর আশপাশে বাড়ছে জনসংখ্যা। এতে বেড়ে যাচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, পাহাড়ের গাছপালা উজাড় করে বাসগৃহ নির্মাণ ও বন্যপ্রাণী শিকার। ফলে ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে পাহাড়ের বন্যপ্রাণী। তবে বানর ও হরিণসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতি এখনো পাহাড়ে থাকলেও খাদ্যসংকটে সেসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে।
সীতাকুণ্ডের ভায়েরখীর এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী জানান, সীতাকুণ্ডের পাহাড় সত্তরের দশকেও হিংস্র জীবজন্তুসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীতে ভরপুর ছিল। পাহাড়ের গহিন অরণ্যে সুবিশাল বৃক্ষের মধ্যে ছিল নানা ধরনের পাখির বাস। সেই সময় পাহাড়ে একা যাওয়ার চিন্তা করলেই ভয়ে গা শিউরে উঠত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিবছর চৈত্র মাসে পাহাড়ে আগুন দেওয়াসহ নানা কারণে সীতাকুণ্ডের অধিকাংশ পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে প্রাণী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইনে বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় বন বিভাগের ভূমিকা নেওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তারা একেবারেই উদাসীন। উপজেলার পৌরসদর এলাকায় বিট অফিস এবং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের রেঞ্জ অফিসে বন বিভাগের কর্মকর্তারা থাকলেও বন্যপ্রাণী-সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান জানেন না তাঁরা। ফলে তাঁদের উদাসীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বিচারে বন ধ্বংস করছে একশ্রেণির অসাধু চক্র।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী বাবু জানান, পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার, নির্বিচারে গাছপালা উজাড়ের কারণে খাদ্যসংকটের পাশাপাশি ক্রমে আবাসস্থল হারাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। ফলে খাদ্যসংকটে থাকা এসব প্রাণী যখন লোকালয়ে আসছে, তখন অনেকেই ভয়ে তাদের পিটিয়ে মারছে। পৌরসদর এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি নারায়ণ চন্দ্র সোম জানান, গাছপালা উজাড় ও পাহাড় কাটা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অচিরেই বন্যপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে সীতাকুণ্ডের পাহাড়।
সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন জানান, পাহাড়ি বনজঙ্গল ধ্বংস করে রাস্তাঘাট ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্রমে কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।
বন বিভাগের বারৈয়ারঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া বলেন, ‘সীতাকুণ্ড পাহাড়ে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। তাই বন বিভাগের কাছে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে মাঝেমধ্যে লোকালয়ে নেমে আসা কোনো বন্যপ্রাণীকে এলাকাবাসী আটকের পর আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করে পুনরায় পাহাড়ে অবমুক্ত করি।’ তিনি আরও জানান, বন্যপ্রাণীদের পুনরায় অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে সরকারিভাবে বৃক্ষশূন্য পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলছেন তাঁরা।
একটা সময় বন-জঙ্গলে ঘেরা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়। আর সেখানে প্রতিনিয়ত বিচরণ করত বাঘ, বানর, হরিণ, বনবিড়াল, ভালুক, শূকর ও বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপ। পাশাপাশি টিয়া, তোতা, শালিক, মাছরাঙা, দোয়েল পাখিসহ নাম-না জানা নানা ধরনের পাখপাখালির কলতানে মুখর থাকত এ পাহাড়। কিন্তু দিন দিন এর আশপাশে বাড়ছে জনসংখ্যা। এতে বেড়ে যাচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, পাহাড়ের গাছপালা উজাড় করে বাসগৃহ নির্মাণ ও বন্যপ্রাণী শিকার। ফলে ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে পাহাড়ের বন্যপ্রাণী। তবে বানর ও হরিণসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতি এখনো পাহাড়ে থাকলেও খাদ্যসংকটে সেসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে।
সীতাকুণ্ডের ভায়েরখীর এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী জানান, সীতাকুণ্ডের পাহাড় সত্তরের দশকেও হিংস্র জীবজন্তুসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীতে ভরপুর ছিল। পাহাড়ের গহিন অরণ্যে সুবিশাল বৃক্ষের মধ্যে ছিল নানা ধরনের পাখির বাস। সেই সময় পাহাড়ে একা যাওয়ার চিন্তা করলেই ভয়ে গা শিউরে উঠত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিবছর চৈত্র মাসে পাহাড়ে আগুন দেওয়াসহ নানা কারণে সীতাকুণ্ডের অধিকাংশ পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে প্রাণী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইনে বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় বন বিভাগের ভূমিকা নেওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তারা একেবারেই উদাসীন। উপজেলার পৌরসদর এলাকায় বিট অফিস এবং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের রেঞ্জ অফিসে বন বিভাগের কর্মকর্তারা থাকলেও বন্যপ্রাণী-সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান জানেন না তাঁরা। ফলে তাঁদের উদাসীনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বিচারে বন ধ্বংস করছে একশ্রেণির অসাধু চক্র।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী বাবু জানান, পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার, নির্বিচারে গাছপালা উজাড়ের কারণে খাদ্যসংকটের পাশাপাশি ক্রমে আবাসস্থল হারাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। ফলে খাদ্যসংকটে থাকা এসব প্রাণী যখন লোকালয়ে আসছে, তখন অনেকেই ভয়ে তাদের পিটিয়ে মারছে। পৌরসদর এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি নারায়ণ চন্দ্র সোম জানান, গাছপালা উজাড় ও পাহাড় কাটা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অচিরেই বন্যপ্রাণীশূন্য হয়ে পড়বে সীতাকুণ্ডের পাহাড়।
সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন জানান, পাহাড়ি বনজঙ্গল ধ্বংস করে রাস্তাঘাট ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ক্রমে কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।
বন বিভাগের বারৈয়ারঢালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সৌমেন বড়ুয়া বলেন, ‘সীতাকুণ্ড পাহাড়ে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। তাই বন বিভাগের কাছে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে মাঝেমধ্যে লোকালয়ে নেমে আসা কোনো বন্যপ্রাণীকে এলাকাবাসী আটকের পর আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করে পুনরায় পাহাড়ে অবমুক্ত করি।’ তিনি আরও জানান, বন্যপ্রাণীদের পুনরায় অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে সরকারিভাবে বৃক্ষশূন্য পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলছেন তাঁরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪