সম্পাদকীয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বিদেশিদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশ কোনো পরাধীন দেশ বা কলোনি নয়।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেছেন, রাষ্ট্রদূতেরা শিষ্টাচার সম্পর্কে অবগত এবং এ কারণে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশি কূটনীতিকেরা রীতি অনুযায়ী আচরণ করবেন বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অসন্তোষ প্রকাশের কারণ সম্ভবত ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির একটি মন্তব্য। জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমি শুনেছি, ভোটের আগের রাতে পুলিশ অফিসাররা ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। এমন উদাহরণ আর কোনো দেশে আছে বলে আমি শুনিনি। ব্যালট বাক্স ভর্তির পুনরাবৃত্তি আর কখনো হওয়া উচিত হবে না।’
বিদেশিরা যে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হরহামেশা কথা বলে থাকেন, এতে তাঁদের চেয়ে আমাদের দায় কম নয়। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলা যে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ, সেটা আমাদের রাজনীতিবিদেরা মনে রাখেন ক্ষমতায় থাকলে। বিরোধী দলে গেলেই কথাটা তাঁরা বেমালুম ভুলে যান এবং যখনই প্রয়োজন মনে করেন, অভিযোগ নিয়ে যান রাষ্ট্রদূতদের কাছে। এখন যেটা নিয়মিতই বিএনপির নেতারা করছেন। প্রায়ই কোনো না কোনো রাষ্ট্রদূতের কাছে অভিযোগনামা তুলে ধরা হয়। কূটনীতিকেরাও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলেও গণমাধ্যমে খবর বের হয়। কী কথা বলেন তাঁরা? সরকারের ওপর চাপ দেওয়াসহ নানা বায়না নিয়ে ধরনা দেওয়ার কূটনৈতিক-রাজনীতি আমাদের দেশের মতো আর কোনো দেশে আছে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিদেশি মধ্যস্থতাকারী ডেকে আনার রেকর্ড তো আমাদেরই আছে! অতীতে স্যার নিনিয়ান বা তারানকো মিশনের কথা নিশ্চয়ই আমাদের মনে আছে।
জাপানি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে সরকারপক্ষ নাখোশ হলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত ‘চরম সত্য’ কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ‘আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে, বাংলাদেশে কিছু হচ্ছে। বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলেছে বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কি সব ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য? কোনো দেশের কূটনীতিক যদি এখন শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করেন, সেটা কি মির্জা ফখরুল ‘চরম সত্য’ বলে মানবেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বিভিন্নজন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশি সরকারের যে মতামত চেয়ে থাকেন, এই প্রবণতাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেছেন, এই সংস্কৃতি পরিবর্তন করা দরকার। সরকারপক্ষ চাইলেই এই সংস্কৃতি বদলাবে না। এর জন্য যেমন সব পক্ষের মধ্যেই দেশাত্মবোধ থাকা দরকার, তেমনি বিদেশিদেরও মনে রাখা উচিত তাদের সীমানাটা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বিদেশিদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশ কোনো পরাধীন দেশ বা কলোনি নয়।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেছেন, রাষ্ট্রদূতেরা শিষ্টাচার সম্পর্কে অবগত এবং এ কারণে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। বিদেশি কূটনীতিকেরা রীতি অনুযায়ী আচরণ করবেন বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অসন্তোষ প্রকাশের কারণ সম্ভবত ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির একটি মন্তব্য। জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমি শুনেছি, ভোটের আগের রাতে পুলিশ অফিসাররা ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। এমন উদাহরণ আর কোনো দেশে আছে বলে আমি শুনিনি। ব্যালট বাক্স ভর্তির পুনরাবৃত্তি আর কখনো হওয়া উচিত হবে না।’
বিদেশিরা যে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হরহামেশা কথা বলে থাকেন, এতে তাঁদের চেয়ে আমাদের দায় কম নয়। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলা যে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ, সেটা আমাদের রাজনীতিবিদেরা মনে রাখেন ক্ষমতায় থাকলে। বিরোধী দলে গেলেই কথাটা তাঁরা বেমালুম ভুলে যান এবং যখনই প্রয়োজন মনে করেন, অভিযোগ নিয়ে যান রাষ্ট্রদূতদের কাছে। এখন যেটা নিয়মিতই বিএনপির নেতারা করছেন। প্রায়ই কোনো না কোনো রাষ্ট্রদূতের কাছে অভিযোগনামা তুলে ধরা হয়। কূটনীতিকেরাও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলেও গণমাধ্যমে খবর বের হয়। কী কথা বলেন তাঁরা? সরকারের ওপর চাপ দেওয়াসহ নানা বায়না নিয়ে ধরনা দেওয়ার কূটনৈতিক-রাজনীতি আমাদের দেশের মতো আর কোনো দেশে আছে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিদেশি মধ্যস্থতাকারী ডেকে আনার রেকর্ড তো আমাদেরই আছে! অতীতে স্যার নিনিয়ান বা তারানকো মিশনের কথা নিশ্চয়ই আমাদের মনে আছে।
জাপানি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে সরকারপক্ষ নাখোশ হলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, জাপানি রাষ্ট্রদূত ‘চরম সত্য’ কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ‘আসলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে, বাংলাদেশে কিছু হচ্ছে। বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলেছে বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কি সব ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য? কোনো দেশের কূটনীতিক যদি এখন শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করেন, সেটা কি মির্জা ফখরুল ‘চরম সত্য’ বলে মানবেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বিভিন্নজন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশি সরকারের যে মতামত চেয়ে থাকেন, এই প্রবণতাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেছেন, এই সংস্কৃতি পরিবর্তন করা দরকার। সরকারপক্ষ চাইলেই এই সংস্কৃতি বদলাবে না। এর জন্য যেমন সব পক্ষের মধ্যেই দেশাত্মবোধ থাকা দরকার, তেমনি বিদেশিদেরও মনে রাখা উচিত তাদের সীমানাটা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫