Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দরে কড়াকড়ি

বেনাপোল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৫
বেনাপোল বন্দরে কড়াকড়ি

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ। বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জেলা সিভিল সার্জনের জরুরি বৈঠকে এ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন থেকে ভারত থেকে ফিরলে সঙ্গে আরটিপিসিআর থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করা করোনা নেগেটিভ সনদ আনতে হবে।

যাঁরা করোনার টিকার দুই ডোজ নেননি তাঁদের ভারত থেকে ফিরলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে হবে। এ ছাড়া কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে তাঁকে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে র‍্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষাও করা হবে। করোনা আক্রান্ত হলে থাকতে হবে আইসোলেশনে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এসব নিয়ম বাধ্যতামূলক নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটেছে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে। আক্রান্তের শিকার হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতও।

এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বড় ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও যাত্রী যাতায়াত। এতে বাংলাদেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল মঙ্গলবার বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, নির্দেশনা পেয়ে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ ও বন্দরে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা। ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে প্রবেশের সময় তাঁদের শরীর ও ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মাপা হচ্ছে চালকদের শরীরের তাপমাত্রা। এ ছাড়া পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারতগামী যাত্রী শাহিন বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে বেশ আতঙ্কিত আছি। তবে চিকিৎসার কাজে বাধ্য হয়ে ভারতে যেতে হচ্ছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

মনিরুজ্জামান বলেন, পাশাপাশি ট্রাকচালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে র‍্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ভারত থেকে ফিরতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে। টিকার দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কারও শরীরের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেলে তাঁকে আইসোলশনে রাখা হবে। তবে যেসব শিশুর বয়স ১২ বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে এসব শর্ত শিথিল রয়েছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন মেডিকেল, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসায় প্রায় দুই হাজার যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছেন। ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী যাতায়াত এখনো বন্ধ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত