মুফতি আবু দারদা
মুসলিম সমাজে বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় ইসলাম। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাদের প্রতি কোনো প্রকারের জুলুম-অনাচার ইসলামে বৈধ নয়। তারা কোনো অপরাধ করলে রাষ্ট্র শাস্তি দেবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। একজনের অপরাধের জন্য পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা কিংবা তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয় ভাঙচুর করা স্পষ্ট জুলুম; যা কখনোই ইসলাম অনুমোদন করে না।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (সা.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি কেয়ামতের দিন রাসুল (সা.) নিজেই নির্যাতিত অমুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি)
অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফ করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯) অবশ্য, তাদের কেউ অপরাধ করলে কর্তৃপক্ষই যথাযথ প্রক্রিয়ায় শাস্তি দেবে। এ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ মুসলমানের নিন্দা জানানো এবং বিচারপ্রার্থনা ছাড়া অন্য কোনো করণীয় নেই।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া সমাজে ফিতনা ও বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অথচ ফিতনা বন্ধ করা একজন মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। যুদ্ধক্ষেত্রেও অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। স্বাভাবিক অবস্থায় এমনটি করা ইসলামসম্মত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
অতএব বিশৃঙ্খলা রোধে ইসলামের সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুসলিম সমাজে বসবাসরত ভিন্ন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তার নির্দেশ দেয় ইসলাম। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাদের প্রতি কোনো প্রকারের জুলুম-অনাচার ইসলামে বৈধ নয়। তারা কোনো অপরাধ করলে রাষ্ট্র শাস্তি দেবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। একজনের অপরাধের জন্য পুরো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা কিংবা তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয় ভাঙচুর করা স্পষ্ট জুলুম; যা কখনোই ইসলাম অনুমোদন করে না।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ করা যাবে না। তাদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাসুল (সা.) তা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি কেয়ামতের দিন রাসুল (সা.) নিজেই নির্যাতিত অমুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।’ (বুখারি)
অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফ করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯) অবশ্য, তাদের কেউ অপরাধ করলে কর্তৃপক্ষই যথাযথ প্রক্রিয়ায় শাস্তি দেবে। এ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ মুসলমানের নিন্দা জানানো এবং বিচারপ্রার্থনা ছাড়া অন্য কোনো করণীয় নেই।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া সমাজে ফিতনা ও বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অথচ ফিতনা বন্ধ করা একজন মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। যুদ্ধক্ষেত্রেও অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। স্বাভাবিক অবস্থায় এমনটি করা ইসলামসম্মত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো—তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত।’ (সুরা মায়িদা: ৮)
অতএব বিশৃঙ্খলা রোধে ইসলামের সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫