সম্পাদকীয়
দুই সপ্তাহে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালগুলোতে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সূত্রে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। শিশুমৃত্যুর ঘটনাটি উদ্বেগজনক হলেও এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্টদের খুব হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। এমন ঘটনা রাজধানী বা বড় কোনো শহরের হলে কিংবা মৃত শিশুরা কোনো হোমরাচোমরা পরিবারের হলে হয়তো প্রতিক্রিয়া ভিন্নতর হতো। হইচই বেশি হতো। গণমাধ্যমের নজরও আরও বেশি পড়ত।
পার্বত্যাঞ্চলের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্ষেপ করে লিখেছেন, এলাকাটা পাহাড়ি, অবহেলিত এবং মৃত শিশুরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বলেই হয়তো বিষয়টি নিয়ে তেমন শোরগোল নেই। যেকোনো মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক। আর মৃত্যু যদি শিশুর হয় এবং সেটা আবার বিনা চিকিৎসায় বা চিকিৎসকের অবহেলায়, তাহলে দুঃখ রাখার জায়গা থাকে না।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘১৪ দিনে ৭টি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে এবং হাসপাতালের শিশু ইউনিটের প্রায় সব শয্যা শিশু রোগীতে ভর্তি। মারা যাওয়ার আগে আমরা ওই শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু মা-বাবা আর্থিক সমস্যার কারণে তাদের নিয়ে যেতে পারেননি। মারা যাওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকাংশই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসার অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, ‘সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।’
এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবান সদর হাসপাতালেও নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত জটিলতায় ৭ শিশু মারা গেছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, হাসপাতালে যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এ ছাড়া চিকিৎসকদের গাফিলতিও ছিল, যাঁরা রোগীদের ঠিকঠাক যত্ন নেননি।
চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ গুরুতর এবং এটা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যখন তোলেন, তখন সেটাকে উপেক্ষা করা বা হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কি অভিযুক্ত চিকিৎসককে এ ব্যাপারে জবাবদিহির আওতায় আনতে উদ্যোগী হবে?
পার্বত্য জেলাগুলোয় আকস্মিকভাবে শিশুরা কেন ব্যাপকভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে, এর পেছনে বিশেষ কোনো ভূপ্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণ আছে কি না এবং এর প্রতিকারের কোনো উপায় আছে কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এমনিতেই করোনা নিয়ে সারা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তার ওপর পার্বত্যাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের শিশুমৃত্যুর ঘটনা বিশেষ মনোযোগ দাবি করতেই পারে।
দুই সপ্তাহে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালগুলোতে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সূত্রে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। শিশুমৃত্যুর ঘটনাটি উদ্বেগজনক হলেও এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্টদের খুব হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। এমন ঘটনা রাজধানী বা বড় কোনো শহরের হলে কিংবা মৃত শিশুরা কোনো হোমরাচোমরা পরিবারের হলে হয়তো প্রতিক্রিয়া ভিন্নতর হতো। হইচই বেশি হতো। গণমাধ্যমের নজরও আরও বেশি পড়ত।
পার্বত্যাঞ্চলের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্ষেপ করে লিখেছেন, এলাকাটা পাহাড়ি, অবহেলিত এবং মৃত শিশুরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বলেই হয়তো বিষয়টি নিয়ে তেমন শোরগোল নেই। যেকোনো মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক। আর মৃত্যু যদি শিশুর হয় এবং সেটা আবার বিনা চিকিৎসায় বা চিকিৎসকের অবহেলায়, তাহলে দুঃখ রাখার জায়গা থাকে না।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘১৪ দিনে ৭টি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে এবং হাসপাতালের শিশু ইউনিটের প্রায় সব শয্যা শিশু রোগীতে ভর্তি। মারা যাওয়ার আগে আমরা ওই শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু মা-বাবা আর্থিক সমস্যার কারণে তাদের নিয়ে যেতে পারেননি। মারা যাওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকাংশই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসার অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, ‘সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।’
এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবান সদর হাসপাতালেও নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত জটিলতায় ৭ শিশু মারা গেছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, হাসপাতালে যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এ ছাড়া চিকিৎসকদের গাফিলতিও ছিল, যাঁরা রোগীদের ঠিকঠাক যত্ন নেননি।
চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ গুরুতর এবং এটা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যখন তোলেন, তখন সেটাকে উপেক্ষা করা বা হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কি অভিযুক্ত চিকিৎসককে এ ব্যাপারে জবাবদিহির আওতায় আনতে উদ্যোগী হবে?
পার্বত্য জেলাগুলোয় আকস্মিকভাবে শিশুরা কেন ব্যাপকভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে, এর পেছনে বিশেষ কোনো ভূপ্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণ আছে কি না এবং এর প্রতিকারের কোনো উপায় আছে কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এমনিতেই করোনা নিয়ে সারা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তার ওপর পার্বত্যাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের শিশুমৃত্যুর ঘটনা বিশেষ মনোযোগ দাবি করতেই পারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫