অগ্রজ কবি জীবনানন্দ দাশকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল কবি আবুল হোসেনের। তিনি একবার তাঁর বন্ধু শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জীবনানন্দের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন বিকেল কেবল শুরু হচ্ছে। জীবনানন্দ দাশ সম্ভবত তখন খেয়েদেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তিনি নিজে এসে দরজা খুলে দিলেন এবং তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন। ঘরটি সাদামাটা। দুটো সাধারণ কাঠের চেয়ারে বসলেন অতিথি দুজন। জীবনানন্দ বসলেন তাঁর খাটের ওপর।
ছোটখাটো কিছু কথাবার্তা চলল অনেকক্ষণ। তাতে উঠে এল বরিশালের কথা, জীবনানন্দের শিক্ষকতার কথা, খবরের কাগজের চাকরি, ছোট ছোট কাগজে লেখা, কলকাতার কথা ইত্যাদি। বন্ধুদের মধ্যে সঞ্জয় ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব বসু, হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে কথা বললেন তিনি। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, যেখানেই কাজ করেছেন না কেন, যে কাজই করেছেন না কেন, তাতে কোনো দিন স্বাচ্ছন্দ্য পাননি, স্বস্তিও পাননি।
শামসুর রাহমান গিয়েছিলেন নরেশ গুহকে নিয়ে সেই ল্যান্সডাউন রোডের বাড়িতেই। নিমগাছওয়ালা বাড়ি। জীবনানন্দ দাশ নরেশ গুহ আর শামসুর রাহমানকে দেখে খানিকটা বিব্রত হলেন। বারান্দার এপাশ-ওপাশ হাঁটলেন কিছুক্ষণ অনেকটা সমুদ্রবিহঙ্গ আলবাট্রসের মতো। বারান্দায় তিনি ইতি-উতি তাকালেন।
নরেশ গুহ আর শামসুর রাহমান বুঝে নিলেন বিষয়টি। বোঝা গেল, বসতে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত চেয়ার বা আসন এই বাড়িতে নেই। তাই কালবিলম্ব না করে চটজলদি তাঁরা বারান্দায় বসে পড়লেন। তাতে খুশি হয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ বসলেন তাঁদের পাশে। এরপর শামসুর রাহমান লিখেছেন, ‘যার আসন আমাদের হৃদয়ে, তিনি আমাদের কোনো আসন দিতে পারলেন কি পারলেন না, তাতে কিছু আসে-যায় না।’
সূত্র: আমিন আল রশীদ, জীবনানন্দের মানচিত্র, পৃষ্ঠা ৯৩
অগ্রজ কবি জীবনানন্দ দাশকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল কবি আবুল হোসেনের। তিনি একবার তাঁর বন্ধু শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জীবনানন্দের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন বিকেল কেবল শুরু হচ্ছে। জীবনানন্দ দাশ সম্ভবত তখন খেয়েদেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তিনি নিজে এসে দরজা খুলে দিলেন এবং তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন। ঘরটি সাদামাটা। দুটো সাধারণ কাঠের চেয়ারে বসলেন অতিথি দুজন। জীবনানন্দ বসলেন তাঁর খাটের ওপর।
ছোটখাটো কিছু কথাবার্তা চলল অনেকক্ষণ। তাতে উঠে এল বরিশালের কথা, জীবনানন্দের শিক্ষকতার কথা, খবরের কাগজের চাকরি, ছোট ছোট কাগজে লেখা, কলকাতার কথা ইত্যাদি। বন্ধুদের মধ্যে সঞ্জয় ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব বসু, হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে কথা বললেন তিনি। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, যেখানেই কাজ করেছেন না কেন, যে কাজই করেছেন না কেন, তাতে কোনো দিন স্বাচ্ছন্দ্য পাননি, স্বস্তিও পাননি।
শামসুর রাহমান গিয়েছিলেন নরেশ গুহকে নিয়ে সেই ল্যান্সডাউন রোডের বাড়িতেই। নিমগাছওয়ালা বাড়ি। জীবনানন্দ দাশ নরেশ গুহ আর শামসুর রাহমানকে দেখে খানিকটা বিব্রত হলেন। বারান্দার এপাশ-ওপাশ হাঁটলেন কিছুক্ষণ অনেকটা সমুদ্রবিহঙ্গ আলবাট্রসের মতো। বারান্দায় তিনি ইতি-উতি তাকালেন।
নরেশ গুহ আর শামসুর রাহমান বুঝে নিলেন বিষয়টি। বোঝা গেল, বসতে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত চেয়ার বা আসন এই বাড়িতে নেই। তাই কালবিলম্ব না করে চটজলদি তাঁরা বারান্দায় বসে পড়লেন। তাতে খুশি হয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ বসলেন তাঁদের পাশে। এরপর শামসুর রাহমান লিখেছেন, ‘যার আসন আমাদের হৃদয়ে, তিনি আমাদের কোনো আসন দিতে পারলেন কি পারলেন না, তাতে কিছু আসে-যায় না।’
সূত্র: আমিন আল রশীদ, জীবনানন্দের মানচিত্র, পৃষ্ঠা ৯৩
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪