আব্দুল্লাহ আল মারুফ, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা চত্বর থেকে ঝাঐল ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। এ গ্রামের নারী-পুরুষেরা বাপ-দাদার আমল থেকেই শীতল পাটি তৈরির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে প্লাস্টিকের পাটির দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি।
এদিকে কারিগরেরা বলছেন, শীতল পাটির দাম বাড়লেও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি এ পেশা টিকিয়ে রাখতে হলে আধুনিক মানের শীতল পাটি তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ গ্রামে অধিকাংশ নারীই এই পেশায় যুক্ত। শীতল পাটি বিক্রির আয়ে চলে তাঁদের সংসার। তাই শত কষ্টেও তাঁদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ২০০ পরিবারের গ্রামটির প্রায় ৮০০ নারী-পুরুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরুষেরা জমি থেকে পাটি বোনার বেত কেটে আনছেন। পরে সেগুলো দা দিয়ে এক ধরনের বেতি সুতা বানিয়ে সেদ্ধ করে রোদে শুকানো হচ্ছে। এরপর তাতে নানা বাহারি রং দেওয়ার পর আবার রোদে শুকানো হয়। বেতি সুতা রোদে শুকানোর পর নারী (শ্রমিক) শিল্পীরা নিপুণ হাতে তৈরি করছেন শীতল পাটি। প্রকারভেদে বিক্রি হয় প্রায় ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সোহাগী, বুলবুলি, বেলী ও সীমা এই নারী কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের শীতল পাটির টাকায় চলে সংসার। তবে এ পাটির কদর কমে গেছে। শীতল পাটির দাম বাড়লেও বাড়েনি তাঁদের মজুরি।
পাটি আকারভেদে কারিগরেরা পান ১৬০ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তাঁদের একটি পাটি বুনতে দু-তিন দিন সময় লাগে। একটা পাটি বুনতে যে পরিশ্রম আর সময় লাগে, সে অনুযায়ী মজুরি পান না বলে জানান।
দুলাল চন্দ্র ভৌমিক (৬০) বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই এই পেশায় জড়িত। শীতল পাটি বুনিয়ে ও বিক্রি করেও তাঁর সংসার চলে। বর্তমানে প্লাস্টিকের পাটি ও মোটা পলিথিন কাগজসহ নানা প্লাস্টিক পণ্যের কারণে শীতল পাটির কদর কমে গেছে।
দুলাল চন্দ্র ভৌমিক আরও বলেন, সরকারিভাবে আধুনিক মানের শীতল পাটি তৈরির প্রশিক্ষণ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
দুর্গা রানী (৩৬) নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, পূর্বপুরুষেরা এ পেশাই ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি এ পেশায় জড়িত। শীতল পাটি আগের মতো ব্যবহার না হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। শীতল পাটি তৈরির প্রধান কাঁচামাল বেত। তার দাম বাজারে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম। সে জন্য অনেকে পাটি বোনার বেতের খেত ভেঙে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন। এ জন্য বেতের প্রাপ্তিও কমে যাচ্ছে। এদিকে পরিশ্রম অনুযায়ী মূল্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বিকল্প পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ শিল্প বাঁচাতে তাঁরা সরকারি সুবিধা চান।
জানতে চাইলে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাটি তৈরির শিল্পীদের ইতিমধ্যে দুবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিল্পটি টিকিয়ে রাখার জন্য আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া কীভাবে শীতল পাটির বাজারজাত বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা চত্বর থেকে ঝাঐল ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। এ গ্রামের নারী-পুরুষেরা বাপ-দাদার আমল থেকেই শীতল পাটি তৈরির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে প্লাস্টিকের পাটির দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি।
এদিকে কারিগরেরা বলছেন, শীতল পাটির দাম বাড়লেও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি এ পেশা টিকিয়ে রাখতে হলে আধুনিক মানের শীতল পাটি তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ গ্রামে অধিকাংশ নারীই এই পেশায় যুক্ত। শীতল পাটি বিক্রির আয়ে চলে তাঁদের সংসার। তাই শত কষ্টেও তাঁদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ২০০ পরিবারের গ্রামটির প্রায় ৮০০ নারী-পুরুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরুষেরা জমি থেকে পাটি বোনার বেত কেটে আনছেন। পরে সেগুলো দা দিয়ে এক ধরনের বেতি সুতা বানিয়ে সেদ্ধ করে রোদে শুকানো হচ্ছে। এরপর তাতে নানা বাহারি রং দেওয়ার পর আবার রোদে শুকানো হয়। বেতি সুতা রোদে শুকানোর পর নারী (শ্রমিক) শিল্পীরা নিপুণ হাতে তৈরি করছেন শীতল পাটি। প্রকারভেদে বিক্রি হয় প্রায় ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সোহাগী, বুলবুলি, বেলী ও সীমা এই নারী কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের শীতল পাটির টাকায় চলে সংসার। তবে এ পাটির কদর কমে গেছে। শীতল পাটির দাম বাড়লেও বাড়েনি তাঁদের মজুরি।
পাটি আকারভেদে কারিগরেরা পান ১৬০ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তাঁদের একটি পাটি বুনতে দু-তিন দিন সময় লাগে। একটা পাটি বুনতে যে পরিশ্রম আর সময় লাগে, সে অনুযায়ী মজুরি পান না বলে জানান।
দুলাল চন্দ্র ভৌমিক (৬০) বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই এই পেশায় জড়িত। শীতল পাটি বুনিয়ে ও বিক্রি করেও তাঁর সংসার চলে। বর্তমানে প্লাস্টিকের পাটি ও মোটা পলিথিন কাগজসহ নানা প্লাস্টিক পণ্যের কারণে শীতল পাটির কদর কমে গেছে।
দুলাল চন্দ্র ভৌমিক আরও বলেন, সরকারিভাবে আধুনিক মানের শীতল পাটি তৈরির প্রশিক্ষণ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
দুর্গা রানী (৩৬) নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, পূর্বপুরুষেরা এ পেশাই ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি এ পেশায় জড়িত। শীতল পাটি আগের মতো ব্যবহার না হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। শীতল পাটি তৈরির প্রধান কাঁচামাল বেত। তার দাম বাজারে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম। সে জন্য অনেকে পাটি বোনার বেতের খেত ভেঙে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন। এ জন্য বেতের প্রাপ্তিও কমে যাচ্ছে। এদিকে পরিশ্রম অনুযায়ী মূল্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বিকল্প পেশায় চলে যাচ্ছেন। এ শিল্প বাঁচাতে তাঁরা সরকারি সুবিধা চান।
জানতে চাইলে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাটি তৈরির শিল্পীদের ইতিমধ্যে দুবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিল্পটি টিকিয়ে রাখার জন্য আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া কীভাবে শীতল পাটির বাজারজাত বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫