তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
অভাবের মাস আশ্বিন-কার্তিক। এ সময় পীরগাছায় শ্রমজীবী মানুষের হাতে তেমন কাজ থাকে না। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার হয়ে ওঠে অস্থির। এমন অবস্থায় কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের মুখে হাসির ঝিলিক এনে দিয়েছে আগাম জাতের ধান। অল্প সময়ে পেকে যাওয়া এই জাত স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘অভাবী ধান’ হিসেবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বল্প জীবনকালের অভাবী ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষেরা। কৃষকদের সোনালি স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে আগাম জাতের এ ধান।
ছাওলা ও তাম্বুলপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সবুজের মধ্যে স্বল্প মেয়াদি সোনালি রঙের ধানখেত। কোথাও পেকে গেছে, কোথাও পাকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অনেক খেতের ধান কেটে নিয়ে গেছেন কৃষকেরা। বাকি খেতে সোনালি বর্ণ ধারণ করা ধান কয়েক দিনের মধ্যে কাটা যাবে।
ছাওলার শিবদেব গ্রামের কৃষক মোখলেসুর রহমান বলেন, অভাবের মাস আশ্বিন-কার্তিকে হাতে কাজ ছিল না। বাজারে চালের দাম বেশি। এখন আগাম জাতের ধানে স্বস্তি মিলেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছায় প্রতি বছর আগাম জাতের ধান চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে এই ধান রোপণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতি একরে ৭৫ থেকে ৮৫ মণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে খড়। প্রতি আঁটি কাঁচা খড় বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়।
আগাম জাতের ধান বাজারে উঠতে শুরু করায় কিছুটা কমেছে চালের দাম। সেই সঙ্গে বাজারে নতুন ধানের দাম বেশ ভালো। শুকনা প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান বিক্রি করা হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতের চর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান অস্থির চালের বাজারে যখন হিমশিম খাচ্ছিলাম তখন এ ধান আমার অভাব ঘুচিয়েছে। সঙ্গে খড়ের দামও বেশ ভালো। গ্রামে এ ধানকে অভাবী ধান বলেই সবাই চেনে।’
উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের ধান কাটা শ্রমিক আবদুল হান্নান, বাচ্চা মিয়া ও আবদুর রাজ্জাক জানান, বছরের এ সময় কাজ থাকে না। সব ধান পাকতে আরও এক মাসের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু মাঝে আগাম জাতের ধান পাকায় একটু সুবিধা হয়েছে। মাঝেমধ্যে কাজ মিলছে। প্রতি ২২ শতাংশ জমির ধান কাটা ও পরিবহনে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, স্বল্প মেয়াদি ধান কৃষকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা বেশ উপকার পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এ ধানের চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশে অভাব বলে কিছু থাকবে না। কৃষকেরা একই জমিতে স্বল্প মেয়াদি বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাতে পারবেন।
অভাবের মাস আশ্বিন-কার্তিক। এ সময় পীরগাছায় শ্রমজীবী মানুষের হাতে তেমন কাজ থাকে না। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার হয়ে ওঠে অস্থির। এমন অবস্থায় কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের মুখে হাসির ঝিলিক এনে দিয়েছে আগাম জাতের ধান। অল্প সময়ে পেকে যাওয়া এই জাত স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘অভাবী ধান’ হিসেবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বল্প জীবনকালের অভাবী ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষেরা। কৃষকদের সোনালি স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে আগাম জাতের এ ধান।
ছাওলা ও তাম্বুলপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সবুজের মধ্যে স্বল্প মেয়াদি সোনালি রঙের ধানখেত। কোথাও পেকে গেছে, কোথাও পাকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অনেক খেতের ধান কেটে নিয়ে গেছেন কৃষকেরা। বাকি খেতে সোনালি বর্ণ ধারণ করা ধান কয়েক দিনের মধ্যে কাটা যাবে।
ছাওলার শিবদেব গ্রামের কৃষক মোখলেসুর রহমান বলেন, অভাবের মাস আশ্বিন-কার্তিকে হাতে কাজ ছিল না। বাজারে চালের দাম বেশি। এখন আগাম জাতের ধানে স্বস্তি মিলেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছায় প্রতি বছর আগাম জাতের ধান চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে এই ধান রোপণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতি একরে ৭৫ থেকে ৮৫ মণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে খড়। প্রতি আঁটি কাঁচা খড় বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়।
আগাম জাতের ধান বাজারে উঠতে শুরু করায় কিছুটা কমেছে চালের দাম। সেই সঙ্গে বাজারে নতুন ধানের দাম বেশ ভালো। শুকনা প্রতি মণ (৪০ কেজি) ধান বিক্রি করা হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতের চর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান অস্থির চালের বাজারে যখন হিমশিম খাচ্ছিলাম তখন এ ধান আমার অভাব ঘুচিয়েছে। সঙ্গে খড়ের দামও বেশ ভালো। গ্রামে এ ধানকে অভাবী ধান বলেই সবাই চেনে।’
উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের ধান কাটা শ্রমিক আবদুল হান্নান, বাচ্চা মিয়া ও আবদুর রাজ্জাক জানান, বছরের এ সময় কাজ থাকে না। সব ধান পাকতে আরও এক মাসের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু মাঝে আগাম জাতের ধান পাকায় একটু সুবিধা হয়েছে। মাঝেমধ্যে কাজ মিলছে। প্রতি ২২ শতাংশ জমির ধান কাটা ও পরিবহনে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, স্বল্প মেয়াদি ধান কৃষকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা বেশ উপকার পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এ ধানের চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশে অভাব বলে কিছু থাকবে না। কৃষকেরা একই জমিতে স্বল্প মেয়াদি বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাতে পারবেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪