Ajker Patrika

ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক স্বাস্থ্য বিভাগ

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০১
ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক স্বাস্থ্য বিভাগ

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় সতর্ক খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ। এ জন্য হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ওমিক্রন শনাক্তে খুলনায় নেই কোনো ব্যবস্থা।

জানা গেছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে সরকারি শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ছিল না করোনা ইউনিটসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। যে কারণে সুচিকিৎসা দিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল চিকিৎসক-নার্সসহ হাসপাতাল কর্মীদের। পরবর্তী সময়ে খুলনার তিনটি হাসপাতালে সব মিলিয়ে করোনা ইউনিটসহ ৩২৫টি শয্যা করা হয়।

করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতাল এবং আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে চলতি মাস থেকে আবারও বিভিন্ন স্থানে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। আবার সেই সঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আগেভাগেই সতর্ক অবস্থানে খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রবিউল হাসান বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। বর্তমানে বেশির ভাগ শয্যাই খালি থাকে। তবে ওমিক্রনের শঙ্কা থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, হাসপাতালে ৪৬টি শয্যা নিয়ে করোনা ইউনিট খোলা হয়েছিল। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। তবে ওমিক্রনের শঙ্কায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইউনিটটি আবার চালু করা হবে। অন্যদিকে খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ওমিক্রনের শঙ্কায় ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

তবে করোনা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকেরা বলছেন, সতর্ক থাকলেও ওমিক্রন শনাক্তের ব্যবস্থা নেই খুলনায়। যে কারণে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও তাঁকে প্রাথমিক পর্যায়ে সুচিকিৎসা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে চিকিৎসকদের। এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম তুষার আলম বলেন, চিকিৎসকেরা সতর্ক আছেন। কিন্তু ওমিক্রন শনাক্তের ব্যবস্থা নেই। তাই চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হবে চিকিৎসকদের। তিনি খুলনায় ওমিক্রন শনাক্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানান।

কিছুদিন ধরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সারা দেশে। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা কমে গেছে। সামাজিক দূরত্ব যেমন কেউ মানছেন না, তেমনি মাস্কের ব্যবহার কমে গেছে। আর তাই তো প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সবারই বিপদ। তাই সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এ ছাড়া ওমিক্রন প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করতে এবং টিকাদান কর্মসূচি আরও জোরদার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া আগামীকাল রাত আটটার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে বলেও তিনি জানান। খুলনায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৮২০ জন। মারা গেছেন ৮০৮ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

কোটি টাকা ‘ভর্তুকি’র জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ যা পেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত