Ajker Patrika

দস্তয়েভ্স্কির নারীরা

সম্পাদকীয়
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৬
দস্তয়েভ্স্কির নারীরা

এই তো ১১ নভেম্বর যে বিশাল মানুষটির জন্ম-দ্বিশতবার্ষিকী পালন করা হলো, তিনি ফেওদর মিখাইলোভিচ দস্তয়েভ্স্কি। তাঁর জীবনে আসা নারীদের কথা বলব আজ। তখন মারিয়া ইসায়েভা ছিলেন দস্তয়েভ্স্কির স্ত্রী। সে সময়েই দস্তয়েভ্স্কির প্রেমে পড়েন আপোলিনারিয়া (পালিনা) সুসলোভা। দস্তয়েভ্স্কির তখন চল্লিশ। চিঠিতে পালিনা লিখেছিলেন, বউকে ছেড়ে তিনি যেন পালিনাকে বিয়ে করেন। যে স্ত্রীর সঙ্গে সাত বছর ঘর করেছেন, তাঁর কাছ থেকে সরে আসার কথা তখন ভাবতেই পারেননি দস্তয়েভ্স্কি।

কিন্তু এর বেশ কিছুদিন পর দস্তয়েভ্স্কি পালিনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন বলে স্থির করেন। পালিনাকে দেখার জন্য প্যারিসে যান, কিন্তু জানতে পারেন, তাঁকে লুকিয়ে পালিনা স্প্যানিশ একজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাঁরা দুজন মিলে জার্মানি যান। বাদেন-বাদেনে পৌঁছে দস্তয়েভ্স্কি জুয়া খেলে প্রচুর অর্থের অপচয় করেন ক্যাসিনোতে। পালিনা দস্তয়েভ্স্কিকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এর ফল হয় এ রকম: প্যারিসে ফিরে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।

প্রথম স্ত্রী মারিয়ার মৃত্যুর পর দস্তয়েভ্স্কি পালিনার পাণিপ্রার্থনা করেন। পালিনা মুখের ওপর ‘না’ বলে দেন। পালিনার কাছ থেকে দস্তয়েভ্স্কি শেষ চিঠি পান ১৮৮৭ সালে।

দস্তয়েভ্স্কির জীবনে আন্না স্নিৎকিনা এসেছিলেন আশীর্বাদ হয়ে। জীবনের যত ভুল, দস্তয়েভস্কিকে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন আন্না। আন্নার সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা দস্তয়েভ্স্কিকে দিয়েছিল নির্ভরতা। এরপর তিনি আর কোনো দিন অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা ভাবেননি। দস্তয়েভ্স্কি যখন মারা যান, তখন আন্নার বয়স মাত্র ৩৭ বছর। সে বয়সে মানুষ নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আন্না তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন দস্তয়েভ্স্কির জন্য। তিনি দস্তয়েভ্স্কি রচনাবলি প্রকাশ করেন। তাঁর সব চিঠি জোগাড় করেন, ছোট ছোট লেখা জোগাড় করেন, বন্ধুদের দিয়ে স্মৃতিকথা লেখান এবং নিজেও ফেওদর মিখাইলোভিচ দস্তয়েভ্স্কিকে নিয়ে স্মৃতিকথা লেখেন, যা বিশ্বসাহিত্যের অনন্য সম্পদ।

সূত্র: নিউজএনএনডটরু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত