Ajker Patrika

মাদ্রাসার জায়গায় অন্য ভবন আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ২৮
মাদ্রাসার জায়গায় অন্য ভবন   আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

প্রায় চার একর জমি নিয়ে নির্মিত হয় ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস। নামমাত্র দুটো ভবন ছাড়া সব মাঠ এবং ভূমি ইতিমধ্যেই দখল হয়ে গেছে। সর্বশেষ হলের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে অবস্থিত প্রধান হল সুপার এবং সহকারী হল সুপারের বাসভবন ভেঙে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

নিজ ক্যাম্পাসে অন্য প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের অভিযোগ এনে গত কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছিল আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আলিয়ার দুটি হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে অবস্থিত সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আল্লামা কাশগরী হলের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করেন অনাবাসিক ও আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হল সুপারের বাসভবনের ওপর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যানার লাগানোর চেষ্টাও করা হয়। শিক্ষার্থীরা এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রশাসন তাদের ওপর চড়াও হয়েছে। যে কারণে হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিয়েছে।

মাদ্রাসাটির ফাজিল (অনার্স) শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে এ মাদ্রাসায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের জন্য একটিমাত্র জরাজীর্ণ আবাসিক হল রয়েছে, যা মাত্র ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য যথেষ্ট। শরীরচর্চা কেন্দ্র, আধুনিক পাঠাগার, ছাত্র সংসদ কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষ পর্যন্ত নেই। এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়ন না করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’ রাকিবুল ইসলাম বরকত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যেখানে নিজেদেরই জমি সংকট, সেখানে অন্য কেউ কেন? আমরা হল ছাড়ব না।’

আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নোমান রুমী বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন শুধু ফাজিল পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার জন্য বলেছে। আমাদের আন্দোলন চলছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা কোনোভাবেই চাই না আমাদের ক্যাম্পাস দখল হোক, আমরা এ সমস্যার প্রতিকার চাই। ’

সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা আসার সম্ভাবনায় আমরা হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। তবে ফাজিল শিক্ষার্থীরা আবেদন সাপেক্ষে হলে থাকতে পারবে। বাকিদের বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত