সম্পাদকীয়
ভাষাপ্রীতির যে উৎসব বয়ে যায়, তা স্তিমিত হতে সময় লাগে না। আরও এক বছরের জন্য আমরা ভাষা নিয়ে মাতামাতিকে রেখে দিই লুকিয়ে।
যেকোনো জাতির জন্য ভাষা যে একটি খুব দরকারি বিষয়, সেটা সবাই জানে। কিন্তু নানা কারণে নিজের ভাষাকে ঠিকভাবে সম্মান জানানো হয় না। ভাষা দিবস নিয়ে আমরা গর্ব করি ঠিকই, কিন্তু এখনো যে উচ্চ আদালতে, উচ্চশিক্ষায় বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, তা নিয়ে লেখালেখি করলেও আদতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। করপোরেট যুগে প্রবেশ করে আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি, ইংরেজি না জানা মানুষ কীভাবে ব্রাত্য হয়ে যায়। নিজ ভাষা নিয়ে গর্ব করার ব্যাপারটা যেন দিবসকেন্দ্রিক একটা ব্যাপার হয়ে গেছে।
নিজের ভাষার সঙ্গে অন্তত আরও একটি ভাষার ওপর দখল থাকা ভালো। যে জাতি নিজেকে সম্মান করে, সে জাতি আগে নিজের ভাষা রপ্ত করে, তারপর একটি ভিনদেশি ভাষা আয়ত্ত করে নেয়। এই প্রশ্নে আমরা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেটা প্রত্যেককে ভাবতে বলব।
ভাষার অবস্থা নিয়ে দুয়েকটি কথা বলা জরুরি বলে মনে করছি। যোগাযোগের প্রকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে ভাষার জন্ম হয়েছে শতসহস্র বছর আগে। বলা হয়ে থাকে, কোনো একসময় একটিমাত্র ভাষার প্রচলন ছিল। মানুষ যত ছড়িয়েছে নানা দিকে, ততই সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ভাষা। বিজ্ঞানও বলতে পারে না, পৃথিবীতে আসলে এখন কতগুলো ভাষা রয়েছে। সাত হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভাষা মরণাপন্ন, সে কথা আমরা শুনে আসছি কয়েক বছর ধরে। পৃথিবীতে মোট কতগুলো ভাষা আছে, সেটা জানতে না পারলেও সরকারি ভাষার সংখ্যা আমরা বলতে পারি নির্দ্বিধায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে মোট ৯৫টি ভাষা পাওয়া যাচ্ছে, যা বিভিন্ন দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। মোট ৫৪টি দেশে ইংরেজি, ৩৫টি দেশে ফরাসি, ২৭টি দেশে আরবি ভাষার চল আছে। এমনকি একটি মৃত ভাষাও রয়েছে সরকারি ভাষা হিসেবে। ভ্যাটিকান রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা লাতিন।
এ সময় পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কথা বলে ৪০টি ভাষায়; অর্থাৎ বাকি ভাষাগুলোর ব্যবহার দিনে দিনে কমতে থাকবে এবং একসময় তা হারিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এক শ বছর পর হয়তো জীবিত ভাষা থাকবে ১০ থেকে ১৫টি। যে ভাষাগুলোয় বেশি মানুষ কথা বলে, সেগুলোর টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে ক্রমানুসারে বলা যায় ইংরেজি, চীনা, হিন্দি, স্প্যানিশ, আরবি, বাংলা, ফরাসি আর রুশ ভাষার কথা। বাংলার টেকার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু কীভাবে টিকবে, এই ভাষার শক্তিকে সমুন্নত করা হবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করবে এ দেশের ভাষার পরিস্থিতি।
ভাষাপ্রীতির যে উৎসব বয়ে যায়, তা স্তিমিত হতে সময় লাগে না। আরও এক বছরের জন্য আমরা ভাষা নিয়ে মাতামাতিকে রেখে দিই লুকিয়ে।
যেকোনো জাতির জন্য ভাষা যে একটি খুব দরকারি বিষয়, সেটা সবাই জানে। কিন্তু নানা কারণে নিজের ভাষাকে ঠিকভাবে সম্মান জানানো হয় না। ভাষা দিবস নিয়ে আমরা গর্ব করি ঠিকই, কিন্তু এখনো যে উচ্চ আদালতে, উচ্চশিক্ষায় বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, তা নিয়ে লেখালেখি করলেও আদতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। করপোরেট যুগে প্রবেশ করে আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি, ইংরেজি না জানা মানুষ কীভাবে ব্রাত্য হয়ে যায়। নিজ ভাষা নিয়ে গর্ব করার ব্যাপারটা যেন দিবসকেন্দ্রিক একটা ব্যাপার হয়ে গেছে।
নিজের ভাষার সঙ্গে অন্তত আরও একটি ভাষার ওপর দখল থাকা ভালো। যে জাতি নিজেকে সম্মান করে, সে জাতি আগে নিজের ভাষা রপ্ত করে, তারপর একটি ভিনদেশি ভাষা আয়ত্ত করে নেয়। এই প্রশ্নে আমরা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেটা প্রত্যেককে ভাবতে বলব।
ভাষার অবস্থা নিয়ে দুয়েকটি কথা বলা জরুরি বলে মনে করছি। যোগাযোগের প্রকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে ভাষার জন্ম হয়েছে শতসহস্র বছর আগে। বলা হয়ে থাকে, কোনো একসময় একটিমাত্র ভাষার প্রচলন ছিল। মানুষ যত ছড়িয়েছে নানা দিকে, ততই সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ভাষা। বিজ্ঞানও বলতে পারে না, পৃথিবীতে আসলে এখন কতগুলো ভাষা রয়েছে। সাত হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভাষা মরণাপন্ন, সে কথা আমরা শুনে আসছি কয়েক বছর ধরে। পৃথিবীতে মোট কতগুলো ভাষা আছে, সেটা জানতে না পারলেও সরকারি ভাষার সংখ্যা আমরা বলতে পারি নির্দ্বিধায়। রাষ্ট্রীয়ভাবে মোট ৯৫টি ভাষা পাওয়া যাচ্ছে, যা বিভিন্ন দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। মোট ৫৪টি দেশে ইংরেজি, ৩৫টি দেশে ফরাসি, ২৭টি দেশে আরবি ভাষার চল আছে। এমনকি একটি মৃত ভাষাও রয়েছে সরকারি ভাষা হিসেবে। ভ্যাটিকান রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা লাতিন।
এ সময় পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কথা বলে ৪০টি ভাষায়; অর্থাৎ বাকি ভাষাগুলোর ব্যবহার দিনে দিনে কমতে থাকবে এবং একসময় তা হারিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এক শ বছর পর হয়তো জীবিত ভাষা থাকবে ১০ থেকে ১৫টি। যে ভাষাগুলোয় বেশি মানুষ কথা বলে, সেগুলোর টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে ক্রমানুসারে বলা যায় ইংরেজি, চীনা, হিন্দি, স্প্যানিশ, আরবি, বাংলা, ফরাসি আর রুশ ভাষার কথা। বাংলার টেকার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু কীভাবে টিকবে, এই ভাষার শক্তিকে সমুন্নত করা হবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করবে এ দেশের ভাষার পরিস্থিতি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪