ভোটের আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক

ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঘরের দেয়ালে দেয়ালে লাগানো হচ্ছে পোস্টার। ইউপি নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম ও মাইকিং প্রতিযোগিতা।

জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ৫৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩২৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী হিসেবে ১১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে উপজেলাটিতে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার সখীপুর, তারাবুনিয়া, চরভাগা, ছয়গাঁও, রামভদ্রপুরসহ বেশির ভাগ ইউনিয়নেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেয়ালে, টিনের বেড়ায়, ঘরে ঘরে নির্বাচনী পোস্টার লাগাচ্ছেন প্রার্থীর লোকজন। মহিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামাল সিকদার পোস্টারে তাঁর বাবা সাবেক চেয়ারম্যান নুর ইসলাম সিকদারের ছবি ব্যবহার করেছেন। যেটা নির্বাচন আচরণবিধিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিয়ম অনুযায়ী, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং কিংবা নির্বাচনী প্রচারের কথা থাকলেও সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বেপরোয়া শব্দে মাইকিং করা হচ্ছে এলাকাজুড়ে।

উপজেলার সখীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী মাইকিংয়ের কারণে পড়াশোনা, ঘুম কিছুই করতে পারি না। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।’

তাসনিমুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি কোনো ইউনিয়নেই মানা হচ্ছে না। যে যাঁর মতো দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছেন, মাইকিং করছেন, মিছিল ও মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। আমরা অশান্তির মধ্যে পড়ে গেছি।’

তবে এসব নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হননি প্রার্থীরা। প্রার্থীদের দাবি, তাঁদের অজান্তেই সমর্থকেরা এসব পোস্টার লাগাতে পারেন। 
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি কেউ যেন ভঙ্গ করতে না পারেন, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।’