প্রায় ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দুই অভিনেতা। একজন নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্মাতা কায়েস চৌধুরী। অন্যজন অভিনেতা শামীম ভিস্তি। গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক কায়েস চৌধুরী ও শামীম ভিস্তির। ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাশাপাশি বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল দুজনার। শুটিং থেকে শুরু করে ব্যক্তি জীবনেও তাঁদের সে সম্পর্ক অটুট ছিল। নাট্যকার ও অভিনেতা কায়েস চৌধুরী কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ডায়ালাইসিস করাতে যান তিনি। এরপর বাসায় ফেরেন। বাসায় ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান। অন্যদিকে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শামীম ভিস্তি। শুক্রবার ভোর ৪টায় মারা যান তিনি।
কায়েস চৌধুরীর সঙ্গে দারুণ সব মুহূর্তের স্থিরচিত্র পাওয়া যায় শামীম ভিস্তির ফেসবুক ঘাটলে। সবগুলো ছবিতেই কায়েস চৌধুরীকে ‘গুরু’ বলে সম্বোধন করেছেন শামীম। সহকর্মী এই দুই অভিনেতার মধ্যে গুরু-শিষ্যের যে দারুণ সম্পর্ক এবং একই সঙ্গে না ফেরার দেশে যাওয়ার ঘটনাটি ছুঁয়ে গেছে আরেক অভিনেতা রওনক হাসানকে। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘কায়েস ভাইকে এতই ভালোবাসতেন যে তাঁর চলে যাওয়ার সংবাদ শুনে নিজেই স্ট্রোক করে বসেন শামীম ভিস্তি এবং কায়েস ভাইয়ের সাথে মিলিত হতে তিনিও অনন্ত যাত্রায় শামিল হলেন।’
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘হঠাৎ করেই চলে গেলেন শামীম ভিস্তি। পরিচালক কায়েস চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকবার বমিও করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।’
আহসান হাবিব নাসিম জানান, শুক্রবার জুমার পর কায়েস চৌধুরীর জানাজা হয়েছে ধানমন্ডি ১২ নম্বরের একটি মসজিদে। শামীম ভিস্তির জানাজা হয়েছে মিরপুরে। দুই অভিনেতাকেই শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নির্মাতা-অভিনেতা কায়েস চৌধুরী নেই—এটা মেনে নিতে পারছেন না নাট্যজগতের সতীর্থ, সহকর্মীরা। প্রিয় মানুষ হারানোর বেদনা অনুভব করছেন সবাই।
নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জল বলেন, ‘আমি যখন আমার প্রথম টেলিভিশন নাটক “যান্ত্রিক ফড়িং এক” নির্মাণ করি, সেখানে কায়েস ভাই অভিনয় করেন। জীবনের প্রথম নাটক হিসেবে অগোছালো ছিল আমার সেই শুটিং। কিন্তু কায়েস ভাই সারা রাত আন্তরিকতা নিয়ে কাজটা করেছিলেন।’
অভিনেত্রী রুনা খান বলেন, ‘কায়েস চৌধুরী পরিচালিত ‘গেড়দালী’ ছিল আমার প্রথম অভিনীত টিভি নাটক। ২০০২-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি। আরেক গুণীজন সৈয়দ আলী আহসান সিডনীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দীর্ঘক্ষণ শুটিং বন্ধ রেখেছিলেন সেদিন। সময় কত দ্রুত চলে যায়। তিনিও আমাদের ছেড়ে কেমন চুপেচাপে চলে গেলেন।’
অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, ‘বিটিভিতে ক্রিকেট খেলাবিষয়ক “না” নামের একটি জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করতে গিয়ে আমাদের ভাই ভাই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় বড় ভাই (কায়েস চৌধুরী)। আমার আরও দুই ভাই সেজ ভাই সমু চৌধুরী ও ছোট ভাই সতীর্থ রহমান রুবেল। চমৎকার ভ্রাতৃত্বের এক বন্ধনে আমরা ছিলাম মিডিয়ায়। আমাদের সেই চার ভাই থেকে চলে গেলেন বড় ভাই।’
প্রায় ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দুই অভিনেতা। একজন নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্মাতা কায়েস চৌধুরী। অন্যজন অভিনেতা শামীম ভিস্তি। গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক কায়েস চৌধুরী ও শামীম ভিস্তির। ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাশাপাশি বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল দুজনার। শুটিং থেকে শুরু করে ব্যক্তি জীবনেও তাঁদের সে সম্পর্ক অটুট ছিল। নাট্যকার ও অভিনেতা কায়েস চৌধুরী কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ডায়ালাইসিস করাতে যান তিনি। এরপর বাসায় ফেরেন। বাসায় ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান। অন্যদিকে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শামীম ভিস্তি। শুক্রবার ভোর ৪টায় মারা যান তিনি।
কায়েস চৌধুরীর সঙ্গে দারুণ সব মুহূর্তের স্থিরচিত্র পাওয়া যায় শামীম ভিস্তির ফেসবুক ঘাটলে। সবগুলো ছবিতেই কায়েস চৌধুরীকে ‘গুরু’ বলে সম্বোধন করেছেন শামীম। সহকর্মী এই দুই অভিনেতার মধ্যে গুরু-শিষ্যের যে দারুণ সম্পর্ক এবং একই সঙ্গে না ফেরার দেশে যাওয়ার ঘটনাটি ছুঁয়ে গেছে আরেক অভিনেতা রওনক হাসানকে। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘কায়েস ভাইকে এতই ভালোবাসতেন যে তাঁর চলে যাওয়ার সংবাদ শুনে নিজেই স্ট্রোক করে বসেন শামীম ভিস্তি এবং কায়েস ভাইয়ের সাথে মিলিত হতে তিনিও অনন্ত যাত্রায় শামিল হলেন।’
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘হঠাৎ করেই চলে গেলেন শামীম ভিস্তি। পরিচালক কায়েস চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকবার বমিও করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।’
আহসান হাবিব নাসিম জানান, শুক্রবার জুমার পর কায়েস চৌধুরীর জানাজা হয়েছে ধানমন্ডি ১২ নম্বরের একটি মসজিদে। শামীম ভিস্তির জানাজা হয়েছে মিরপুরে। দুই অভিনেতাকেই শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নির্মাতা-অভিনেতা কায়েস চৌধুরী নেই—এটা মেনে নিতে পারছেন না নাট্যজগতের সতীর্থ, সহকর্মীরা। প্রিয় মানুষ হারানোর বেদনা অনুভব করছেন সবাই।
নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জল বলেন, ‘আমি যখন আমার প্রথম টেলিভিশন নাটক “যান্ত্রিক ফড়িং এক” নির্মাণ করি, সেখানে কায়েস ভাই অভিনয় করেন। জীবনের প্রথম নাটক হিসেবে অগোছালো ছিল আমার সেই শুটিং। কিন্তু কায়েস ভাই সারা রাত আন্তরিকতা নিয়ে কাজটা করেছিলেন।’
অভিনেত্রী রুনা খান বলেন, ‘কায়েস চৌধুরী পরিচালিত ‘গেড়দালী’ ছিল আমার প্রথম অভিনীত টিভি নাটক। ২০০২-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি। আরেক গুণীজন সৈয়দ আলী আহসান সিডনীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দীর্ঘক্ষণ শুটিং বন্ধ রেখেছিলেন সেদিন। সময় কত দ্রুত চলে যায়। তিনিও আমাদের ছেড়ে কেমন চুপেচাপে চলে গেলেন।’
অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, ‘বিটিভিতে ক্রিকেট খেলাবিষয়ক “না” নামের একটি জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করতে গিয়ে আমাদের ভাই ভাই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় বড় ভাই (কায়েস চৌধুরী)। আমার আরও দুই ভাই সেজ ভাই সমু চৌধুরী ও ছোট ভাই সতীর্থ রহমান রুবেল। চমৎকার ভ্রাতৃত্বের এক বন্ধনে আমরা ছিলাম মিডিয়ায়। আমাদের সেই চার ভাই থেকে চলে গেলেন বড় ভাই।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫