রাজশাহী প্রতিনিধি
কলেজছাত্রী সাফিয়া সুলতানা ছোট বোনকে সঙ্গী করে এসেছেন সাংস্কৃতিক উৎসবে। মূল মঞ্চে যখন সুরের ফোয়ারা ছুটছে তখন সাফিয়ার চোখ সারিবদ্ধ স্টলগুলোর দিকে। মঞ্চের পরিবেশন ছাড়াও স্টলগুলোয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। এর মধ্যে একটি স্টলে উপচে পড়া ভিড়। স্টলটির নামটিও কেমন ঘোরলাগা- ফাউন্টেইন পেন কালচার বা এফপিসি।
স্টলের মুখেই দেখা মিলবে সারিবদ্ধ কলমের। পুরোনো দিনের এসব কলমের কোনোটা লাল, কোনোটা নীল, কোনোটা আবার কাচের মতো স্বচ্ছ। ছোট, বড় একেকটা কলম কী যেন এক অদ্ভুত সম্মোহনীতে টেনে নিচ্ছে দর্শনার্থীদের। হাতে তুলে নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়ে তরুণদের চোখে-মুখে বিস্ময়। শিশুদের মুখে সরল অভিব্যক্তি। বলপেনে লিখে স্কুল-কলেজ পার করা কয়েকজনও টেনেটুনে দেখলেন সুচালো নিব। সবার প্রশ্ন একটাই- কী হয় এতে?
স্টলের সদস্যরা ধৈর্য ধরে বলতে থাকেন- ঝরনা কলম বা ফাউন্টেইন পেন এমন এক বিশেষ ধরনের কলম যাতে তরল কালি বিশেষ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত থাকে। বিশেষ প্রকোষ্ঠটির সঙ্গে একটি সরু পথ দিয়ে কলমের নিবটি যুক্ত থাকে এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ওই পথ ধরে আসা কালি দিয়ে লেখা সম্ভব হয়। একগাদা উৎসুক মুখের ভেতর থেকে প্রশ্ন উড়ে আসে, কীভাবে কালি তুলতে হয়?
এফপিসির প্রতিনিধি হাতেকলমে দেখিয়ে দিচ্ছেন ঝরনা কলমে কালি জমা করা আর লেখার প্রক্রিয়া।
প্রদর্শনীর এই অংশে থাকা কোনো কিছুই বিক্রির জন্য নয় বরং উপহারস্বরূপ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এই পর্ব পার করে যারা স্টলের অন্যপাশে চোখ ফেরাচ্ছেন, তাদের জন্য আছে কালি-কলম আর কাগজ কেনার সুযোগ। এ ছাড়া মেরামত বা সারাইখানায় দেওয়া হচ্ছে কলমের সব ধরনের সমাধান। দীর্ঘদিন কালি-কলম ব্যবহার করছেন এমন প্রৌঢ় শৌখিনেরও দেখা মিলল এ ফাউন্টেইন পেন কালচার স্টলে। কেউ এসেছেন পরিবারের নবীনতম সদস্যের হাত ধরে, কেউ একাই হাজির।
ফাউন্টেইন পেন কালচারেরসহ প্রতিষ্ঠাতা আহাদ লিও আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনাকালে সামাজিক মাধ্যমে কার্যক্রম সীমিত থাকায় দেড় বছর ধরে মেলার আয়োজন করা যাচ্ছিল না। বিজয়ের মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষকালব্যাপী উৎসবের আয়োজন করায় হঠাৎ সুযোগ এসে গেল। প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের জন্য স্টল বরাদ্দ দেওয়া হলে সেখানে সুযোগ পায় এফপিসি।
বাংলাদেশে তৈরি বেলা, ইগল, ওরিয়েন্টের মতো কোম্পানির কলম যেমন আছে, তেমনি আছে পার্কার, শেফার, ওয়াটারম্যান, পেলিক্যান আর ল্যামির মতো পশ্চিমা কলম। আধুনিক আর ভিন্টেজ পেনের এক অসীম সমারোহ, যার একাংশ প্রদর্শন করা হচ্ছে মেলায়। সঙ্গে আছে দুর্লভ কালি ও কাগজের সংগ্রহ। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের পেনসিলও দেখা যাচ্ছে এই সাংস্কৃতিক মেলায়।
এখানে প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় মেলার বাকি দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী আয়োজকেরা। দুটি ধাপে মেলা চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পাসের শাবাশ বাংলাদেশ মাঠে বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত মেলায় এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলেজছাত্রী সাফিয়া সুলতানা ছোট বোনকে সঙ্গী করে এসেছেন সাংস্কৃতিক উৎসবে। মূল মঞ্চে যখন সুরের ফোয়ারা ছুটছে তখন সাফিয়ার চোখ সারিবদ্ধ স্টলগুলোর দিকে। মঞ্চের পরিবেশন ছাড়াও স্টলগুলোয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। এর মধ্যে একটি স্টলে উপচে পড়া ভিড়। স্টলটির নামটিও কেমন ঘোরলাগা- ফাউন্টেইন পেন কালচার বা এফপিসি।
স্টলের মুখেই দেখা মিলবে সারিবদ্ধ কলমের। পুরোনো দিনের এসব কলমের কোনোটা লাল, কোনোটা নীল, কোনোটা আবার কাচের মতো স্বচ্ছ। ছোট, বড় একেকটা কলম কী যেন এক অদ্ভুত সম্মোহনীতে টেনে নিচ্ছে দর্শনার্থীদের। হাতে তুলে নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়ে তরুণদের চোখে-মুখে বিস্ময়। শিশুদের মুখে সরল অভিব্যক্তি। বলপেনে লিখে স্কুল-কলেজ পার করা কয়েকজনও টেনেটুনে দেখলেন সুচালো নিব। সবার প্রশ্ন একটাই- কী হয় এতে?
স্টলের সদস্যরা ধৈর্য ধরে বলতে থাকেন- ঝরনা কলম বা ফাউন্টেইন পেন এমন এক বিশেষ ধরনের কলম যাতে তরল কালি বিশেষ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত থাকে। বিশেষ প্রকোষ্ঠটির সঙ্গে একটি সরু পথ দিয়ে কলমের নিবটি যুক্ত থাকে এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ওই পথ ধরে আসা কালি দিয়ে লেখা সম্ভব হয়। একগাদা উৎসুক মুখের ভেতর থেকে প্রশ্ন উড়ে আসে, কীভাবে কালি তুলতে হয়?
এফপিসির প্রতিনিধি হাতেকলমে দেখিয়ে দিচ্ছেন ঝরনা কলমে কালি জমা করা আর লেখার প্রক্রিয়া।
প্রদর্শনীর এই অংশে থাকা কোনো কিছুই বিক্রির জন্য নয় বরং উপহারস্বরূপ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এই পর্ব পার করে যারা স্টলের অন্যপাশে চোখ ফেরাচ্ছেন, তাদের জন্য আছে কালি-কলম আর কাগজ কেনার সুযোগ। এ ছাড়া মেরামত বা সারাইখানায় দেওয়া হচ্ছে কলমের সব ধরনের সমাধান। দীর্ঘদিন কালি-কলম ব্যবহার করছেন এমন প্রৌঢ় শৌখিনেরও দেখা মিলল এ ফাউন্টেইন পেন কালচার স্টলে। কেউ এসেছেন পরিবারের নবীনতম সদস্যের হাত ধরে, কেউ একাই হাজির।
ফাউন্টেইন পেন কালচারেরসহ প্রতিষ্ঠাতা আহাদ লিও আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনাকালে সামাজিক মাধ্যমে কার্যক্রম সীমিত থাকায় দেড় বছর ধরে মেলার আয়োজন করা যাচ্ছিল না। বিজয়ের মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষকালব্যাপী উৎসবের আয়োজন করায় হঠাৎ সুযোগ এসে গেল। প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের জন্য স্টল বরাদ্দ দেওয়া হলে সেখানে সুযোগ পায় এফপিসি।
বাংলাদেশে তৈরি বেলা, ইগল, ওরিয়েন্টের মতো কোম্পানির কলম যেমন আছে, তেমনি আছে পার্কার, শেফার, ওয়াটারম্যান, পেলিক্যান আর ল্যামির মতো পশ্চিমা কলম। আধুনিক আর ভিন্টেজ পেনের এক অসীম সমারোহ, যার একাংশ প্রদর্শন করা হচ্ছে মেলায়। সঙ্গে আছে দুর্লভ কালি ও কাগজের সংগ্রহ। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের পেনসিলও দেখা যাচ্ছে এই সাংস্কৃতিক মেলায়।
এখানে প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় মেলার বাকি দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী আয়োজকেরা। দুটি ধাপে মেলা চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্যাম্পাসের শাবাশ বাংলাদেশ মাঠে বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত মেলায় এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫