Ajker Patrika

বিয়ের সুন্নত ওয়ালিমা

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, ১১: ৩৪
বিয়ের সুন্নত ওয়ালিমা

বিয়ে উপলক্ষে পাত্রের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো আপ্যায়ন করার নামই ওয়ালিমা। বিয়ের পরদিন বা পরবর্তী সময়ে সুবিধামতো তা আদায় করা যায়। তবে তিন দিনের মধ্যে করাই উত্তম। যেকোনো ধরনের খাবার দিয়েই ওয়ালিমা সম্পন্ন করা যায়। ওয়ালিমা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি (সা.) নিজে ওয়ালিমা করেছেন এবং সাহাবিদেরও করতে উৎসাহ দিয়েছেন। জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিনই মহানবী (সা.) ওয়ালিমা করেছিলেন। (বুখারি)

হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়েহলুদ রঙের চিহ্ন দেখে মহানবী (সা.) জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এটা কী?’ তিনি বললেন, ‘আমি এক খেজুর আঁটি পরিমাণ স্বর্ণ দিয়ে এক নারীকে বিয়ে করেছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিয়েতে বরকত দিন। একটি ছাগল দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করো।’ (বুখারি)

তবে ওয়ালিমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উঁচুমানের খাবারের ব্যবস্থা করা জরুরি নয়। বরং সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট। যে ওয়ালিমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত দেওয়া হয়, দ্বীনদার ও গরিব-মিসকিনদের দাওয়াত দেওয়া হয় না, সেই ওয়ালিমাকে হাদিসে নিকৃষ্টতম ওয়ালিমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (আবু দাউদ)

পাত্রের জন্যই ওয়ালিমা করা সুন্নত। আজকাল মেয়ের বাড়িতে যে ভোজের আয়োজন করা হয়, তা শরিয়তসম্মত নয়। বিশেষ করে শর্তারোপ করে বরযাত্রীর নামে বরের সঙ্গে অধিকসংখ্যক লোক নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়িতে মেহমান হয়ে কনের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ইসলাম অনুমোদন করে না। কারও ওপর জোর প্রয়োগ করে কোনো খাবার গ্রহণ করা জুলুমের শামিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত