Ajker Patrika

টানা ছুটিতে হোটেল পূর্ণ

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ২৯
টানা ছুটিতে হোটেল পূর্ণ

মহান বিজয় দিবস আজ বৃহস্পতিবার। এরপর শুক্র ও শনিবার সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। এতে টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন অনেকেই। এই ছুটিতে পর্যটকদের আগমনে বান্দরবান মুখর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বান্দরবানের সব হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। অনেকে হোটেলে সিট চেয়েও পাননি বলে জানা গেছে। এবার বান্দরবানে অন্তত এক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন পরিচালিত বান্দরবান সদরের তিনটি এবং থানচি, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির একটি করে মোট ছয়টি পর্যটনকেন্দ্রে বিজয় দিবসের দিন বিনা মূল্যে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসক। এতেও বান্দরবানে এবার বিপুল পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে একসঙ্গে লম্বা ছুটি পেলেন ভ্রমণপিপাসুরা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকেই ঘুরতে বের হবেন বলে মনের করছেন বান্দরবানের হোটেল-রিসোর্ট মালিকেরা। তাঁরা আশা করছেন, এই ছুটিতে বিপুল পর্যটকের আগমনে বান্দরবান মুখর হবে। এতে বেচাবিক্রি ও ঘুরে বেড়ানোর কারণে হোটেল-রিসোর্ট ও পরিবহন খাতে আর্থিক লেনদেন বাড়বে।

এদিকে বান্দরবানে পর্যটকদের বিপুল উপস্থিতির কথা বিবেচনা করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-রিসোর্ট ও পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলো। পর্যটকদের ভোগান্তি এড়াতে গতকাল বুধবার জেলার নোহা, জিপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, নির্ধারিত ভাড়ার বেশি কোনো ভাড়া আদায় করা যাবে না, করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মালিক সমিতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত ৭৮টি হোটেল-রিসোর্টের মধ্যে জেলা সদরে অবস্থিত ৫৮টি। এর বাইরে ছোট-বড় আরও হোটেল রয়েছে। ১৬, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর টানা তিন দিনের ছুটির কারণে ঝামেলা এড়াতে বান্দরবানে অনেক আগে থেকেই লোকজন অনলাইন ও মোবাইল ফোনে হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়ে রেখেছেন।

হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই লোকজন হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ পাওয়া নিশ্চিত করতে রুম বুকিং দিয়ে রেখেছেন। তাঁর মালিকানাধীন আরণ্যক হোটেলের সব কক্ষ ৮ ডিসেম্বরের আগেই বুকিং হয়ে গেছে।

একই কথা বলেন গার্ডেন সিটি হোটেলের মালিক মো. জাফর। তিনি বলেন, অধিকাংশ কক্ষই অনলাইনে অগ্রিম বুকিং দেওয়া হয়েছে। কেউ ফোন করে অগ্রিম টাকা পাঠিয়ে রুম বুকিয়ে দিয়েছেন।

মেঘলা এলাকার হিল প্যালেস হোটেলের ম্যানেজার মো. সুমন জানান, তাঁর হোটেলের সব কক্ষ ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। এরপরও অনেকে অনলাইনে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তাঁদের কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া যায়নি।

এদিকে করোনা ঝুঁকির কারণে আগত পর্যটকদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো শেষ হয়নি। শীত মৌসুমে ফের করোনার শঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মুখে মাস্ক পরিধান করা একান্ত প্রয়োজন।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের অবস্থান ও পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হোটেল-রিসোর্ট মালিকেরা জানিয়েছেন, হোটেলে প্রবেশমুখে ও অভ্যর্থনা কক্ষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান রাখা হয়েছে। তবে মুখে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কক্ষ বুকিংয়ের সময় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লতিফ সিদ্দিকী অবরুদ্ধ, নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের পর যা জানাল আইএইএর বিশেষজ্ঞ দল

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাবি শিক্ষক কার্জনসহ ১১ জন ডিবি হেফাজতে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

বড় ভাইসহ ডিবি হেফাজতে থাকা সবার সসম্মানে মুক্তি চাই: কাদের সিদ্দিকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত