সম্পাদকীয়
ফ্রানৎস কাফকা ছিলেন বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক। এ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই তাঁদের লেখায় কাফকার সরাসরি প্রভাব আছে বলে স্বীকার করেছেন।
কাফকার জন্ম ১৮৮৩ সালের ৩ জুলাই প্রাগের বোহেমিয়ার (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র) একটি ইহুদি পরিবারে। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু ডয়েচ ক্যানাবেনশুল জার্মান বয়েজ এলিমেন্টারি স্কুলে। এরপর ১৯০১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ভর্তি হন প্রাগের জার্মান চার্লস-ফার্দিনান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। কিন্তু এর মাত্র দুই সপ্তাহ পর ভর্তি হন আইন বিভাগে।
আইন পাস করার পর ইতালিয়ান একটা বিমা কোম্পানিতে যোগ দেন। কাজের চাপের কারণে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য এক বিমা কোম্পানিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি চাকরির পাশাপাশি লেখালেখি শুরু করেন। ১৯১২ সালে প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর একটি ছোটগল্পের সংকলন।
একাধিকবার প্রেমে পড়েছেন কাফকা। কিন্তু কোনোটিই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবং বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। ৩৪ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাঁর জীবনটা আর স্বাভাবিক থাকেনি। জীবনের অন্তিম সময়ের কয়েক দিন আগে নিজের একটি লেখার বড় অংশ নিজেই পুড়িয়ে ফেলেন। বাকি যা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, তা বন্ধু ম্যাক্স ব্রডকে পুড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে এক চিঠি লিখে যান তিনি।
সেই চিঠিতে তিনি লেখেন তার সব পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে দিতে। কিন্তু ব্রড তা করেননি। কাফকা বেঁচে থাকতে তাঁর খুব কম রচনাই প্রকাশিত হয়েছিল। মৃত্যুর পরই সিংহভাগ প্রকাশিত হয় তাঁর সেই বন্ধুর উদ্যোগে। সাহিত্যকর্মই তাঁর লেখক সত্তাকে চিরজীবী করেছে।
এখন পর্যন্ত তাঁর লেখার ওপর অনুপ্রাণিত হয়ে আড়াই লাখের বেশি ছোটগল্প এবং ৫০ হাজারের বেশি উপন্যাস লেখা হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো: দ্য মেটামরফোসিস, দ্য জাজমেন্ট, দ্য ট্রায়াল, কন্টেমপ্লেশন প্রভৃতি।
চিরকুমার এই শক্তিশালী লেখকের মৃত্যু হয় মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯২৪ সালের ৩ জুন।
ফ্রানৎস কাফকা ছিলেন বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখক। এ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ী ১০৯ জন লেখকের মধ্যে ৩২ জনই তাঁদের লেখায় কাফকার সরাসরি প্রভাব আছে বলে স্বীকার করেছেন।
কাফকার জন্ম ১৮৮৩ সালের ৩ জুলাই প্রাগের বোহেমিয়ার (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র) একটি ইহুদি পরিবারে। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু ডয়েচ ক্যানাবেনশুল জার্মান বয়েজ এলিমেন্টারি স্কুলে। এরপর ১৯০১ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ভর্তি হন প্রাগের জার্মান চার্লস-ফার্দিনান্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। কিন্তু এর মাত্র দুই সপ্তাহ পর ভর্তি হন আইন বিভাগে।
আইন পাস করার পর ইতালিয়ান একটা বিমা কোম্পানিতে যোগ দেন। কাজের চাপের কারণে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য এক বিমা কোম্পানিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি চাকরির পাশাপাশি লেখালেখি শুরু করেন। ১৯১২ সালে প্রথম প্রকাশ পায় তাঁর একটি ছোটগল্পের সংকলন।
একাধিকবার প্রেমে পড়েছেন কাফকা। কিন্তু কোনোটিই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবং বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। ৩৪ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তাঁর জীবনটা আর স্বাভাবিক থাকেনি। জীবনের অন্তিম সময়ের কয়েক দিন আগে নিজের একটি লেখার বড় অংশ নিজেই পুড়িয়ে ফেলেন। বাকি যা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, তা বন্ধু ম্যাক্স ব্রডকে পুড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে এক চিঠি লিখে যান তিনি।
সেই চিঠিতে তিনি লেখেন তার সব পাণ্ডুলিপি পুড়িয়ে দিতে। কিন্তু ব্রড তা করেননি। কাফকা বেঁচে থাকতে তাঁর খুব কম রচনাই প্রকাশিত হয়েছিল। মৃত্যুর পরই সিংহভাগ প্রকাশিত হয় তাঁর সেই বন্ধুর উদ্যোগে। সাহিত্যকর্মই তাঁর লেখক সত্তাকে চিরজীবী করেছে।
এখন পর্যন্ত তাঁর লেখার ওপর অনুপ্রাণিত হয়ে আড়াই লাখের বেশি ছোটগল্প এবং ৫০ হাজারের বেশি উপন্যাস লেখা হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো: দ্য মেটামরফোসিস, দ্য জাজমেন্ট, দ্য ট্রায়াল, কন্টেমপ্লেশন প্রভৃতি।
চিরকুমার এই শক্তিশালী লেখকের মৃত্যু হয় মাত্র ৪০ বছর বয়সে, ১৯২৪ সালের ৩ জুন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫