সম্পাদকীয়
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তার আপাত অবসান হয়েছে। রাজধানীতে সহিংসতার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা-ও হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই দিনটি কেটেছে। তবে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মানুষের ক্ষতি হয়, মানুষ বিপন্ন বোধ করে—এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে সরকারপক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। আবার বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো উসকানিমূলক আচরণ করা হয়নি। সরকার ও বিরোধী দল পরস্পর সাংঘর্ষিক মনোভাব পোষণ না করে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগোলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব সময়ই শান্ত থাকার কথা। কিন্তু সাধারণত রাজনীতিতে শান্ত অবস্থা কেন যেন আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতার পছন্দের নয়। নেতারা পরিস্থিতি গরম করে রাখতে পছন্দ করেন কেন, তা বোধগম্য নয়।
নেতারা চাইলে যে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করা সম্ভব, সেটা তো ১০ ডিসেম্বর প্রমাণিত হলো। তাহলে দু-তিন সপ্তাহ ধরে অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানো হলো কেন? বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল মূলত জনগণের কাছে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিকভাবে সংহত করা। দশটি সমাবেশ করেই যে একটি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব নয়, এই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান নিশ্চয়ই বিএনপির নেতাদের আছে। তারপরও ‘১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে’—এমন অপরিণামদর্শী বক্তব্য বিএনপির একজন নেতা দিয়ে পরিস্থিতি তাতিয়ে তুলে নতুন কী অর্জন করল দলটি, তা এখন ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখা উচিত। মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলাই রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্বের কথা আমাদের নেতারা ভুলে গিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ান, মানুষকে বিপথগামী করেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা এড়িয়ে না চললে রাজনৈতিক নেতারা পথ হাঁটবেন, ক্লান্ত হবেন কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
সরকার ও সরকারি দলের কাছ থেকেও মানুষ এমন আচরণ আশা করে না, যা বিভেদ বাড়াতে সাহায্য করে। সরকারের ভুলত্রুটির সমালোচনা বিরোধীরা করবেই। সরকারের সব কাজের প্রশংসা বিরোধী দলের করার কথা নয়। কিন্তু সরকার যদি সমালোচনার বদলে শুধু প্রশংসা শুনতে চায়, তাহলে চলবে কেন? বিরোধীপক্ষ থেকে অনেক সময় অনেক হালকা কথা বলা হয়, এটাকে কোনো দেশেই গুরুতর বিষয় বলে ধরা হয় না। বিরোধী দলের কেউ একজন কিছু একটা বললেই সরকারের সবাইকে একসঙ্গে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতে হবে কেন? কারও কোনো আজগুবি কথাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের বরং নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধনে তৎপর হওয়া উচিত।
গণতন্ত্রের মূল কথাই তো বহুমতের সহাবস্থান। বাঁশের লাঠি, ক্রিকেট স্টাম্প হাতে নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেওয়ার গণতন্ত্র নয়, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করে তোলার দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তার আপাত অবসান হয়েছে। রাজধানীতে সহিংসতার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা-ও হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই দিনটি কেটেছে। তবে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মানুষের ক্ষতি হয়, মানুষ বিপন্ন বোধ করে—এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে সরকারপক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি। আবার বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো উসকানিমূলক আচরণ করা হয়নি। সরকার ও বিরোধী দল পরস্পর সাংঘর্ষিক মনোভাব পোষণ না করে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগোলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব সময়ই শান্ত থাকার কথা। কিন্তু সাধারণত রাজনীতিতে শান্ত অবস্থা কেন যেন আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতার পছন্দের নয়। নেতারা পরিস্থিতি গরম করে রাখতে পছন্দ করেন কেন, তা বোধগম্য নয়।
নেতারা চাইলে যে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করা সম্ভব, সেটা তো ১০ ডিসেম্বর প্রমাণিত হলো। তাহলে দু-তিন সপ্তাহ ধরে অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানো হলো কেন? বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল মূলত জনগণের কাছে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিকভাবে সংহত করা। দশটি সমাবেশ করেই যে একটি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব নয়, এই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান নিশ্চয়ই বিএনপির নেতাদের আছে। তারপরও ‘১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে’—এমন অপরিণামদর্শী বক্তব্য বিএনপির একজন নেতা দিয়ে পরিস্থিতি তাতিয়ে তুলে নতুন কী অর্জন করল দলটি, তা এখন ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখা উচিত। মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলাই রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্বের কথা আমাদের নেতারা ভুলে গিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ান, মানুষকে বিপথগামী করেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা এড়িয়ে না চললে রাজনৈতিক নেতারা পথ হাঁটবেন, ক্লান্ত হবেন কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
সরকার ও সরকারি দলের কাছ থেকেও মানুষ এমন আচরণ আশা করে না, যা বিভেদ বাড়াতে সাহায্য করে। সরকারের ভুলত্রুটির সমালোচনা বিরোধীরা করবেই। সরকারের সব কাজের প্রশংসা বিরোধী দলের করার কথা নয়। কিন্তু সরকার যদি সমালোচনার বদলে শুধু প্রশংসা শুনতে চায়, তাহলে চলবে কেন? বিরোধীপক্ষ থেকে অনেক সময় অনেক হালকা কথা বলা হয়, এটাকে কোনো দেশেই গুরুতর বিষয় বলে ধরা হয় না। বিরোধী দলের কেউ একজন কিছু একটা বললেই সরকারের সবাইকে একসঙ্গে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতে হবে কেন? কারও কোনো আজগুবি কথাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের বরং নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধনে তৎপর হওয়া উচিত।
গণতন্ত্রের মূল কথাই তো বহুমতের সহাবস্থান। বাঁশের লাঠি, ক্রিকেট স্টাম্প হাতে নিয়ে রাস্তায় মহড়া দেওয়ার গণতন্ত্র নয়, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করে তোলার দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫