মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প। বর্তমানে অনেকটাই বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পটি। স্থানীয় তাঁতিদের অভিযোগ গ্যাসের ব্যবহার না থাকা, বিদ্যুৎ ও কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধি এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তবে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হতো এই এলাকার তাঁতের চাদর, বিছানার চাদর, তোয়ালে ও গামছা। এক সময়ে এখানকার পাট্টা বিছানার চাদরের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তবে প্রিন্ট চাদরের কারণে অনেকটায় তা হারানো স্মৃতি।
যদুবয়রার গামছা কারিগর আব্দুল গফুর বলেন, ‘এক সময় উপজেলার তাঁত পল্লিগুলো তাঁতের খট খট শব্দে রাত-দিন মুখর থাকত। আজ সেখানে নীরবতা।
উপজেলা তাঁত বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এক সময় কুমারখালী, খোকসা, কুষ্টিয়া, মিরপুর, রাজবাড়ী, পাংশা, লাঙ্গলবাঁধ এলাকায় প্রায় ৮০ হাজারেরও অধিক তাঁতি ছিলেন। এর মধ্যে খট খটি তাঁত ১৪ হাজার, হস্ত চালিত পিটলুম তাঁত ৪৪ হাজার ও বিদ্যুৎ চালিত ২০ হাজার তাঁত ছিল। এসব তাঁতে ২ কোটি ৮৮ লাখ লুঙ্গি, ১৫ লাখ বিছানার চাদর, ৭২ লাখ গামছা-তোয়ালে উৎপাদন হতো। সে সময় এ জেলায় বস্ত্র শিল্পের বার্ষিক আয় ছিল ৩ শত কোটি টাকার ওপরে। দেশের মোটা কাপড়ের চাহিদার ৬৩ ভাগ পূরণ করত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর তাঁতিরা। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই তাঁত কাপড়ের ছিল ব্যাপক চাহিদা। বর্তমানে এ চাহিদা কমে ৩৫ ভাগে নেমে এসেছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও আশানুরূপ তাঁত বস্ত্রের দাম না বাড়ায় কুষ্টিয়ার ১ লাখ ১৪ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৫০ হাজার তাঁত শ্রমিক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখনো পুরোনো পেশা হিসাবে এ পেশায় টিকে আছে কয়েক হাজার তাঁতি।
কুমারখালী তাঁত বোর্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই শিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নতুন করে ভাবতে হবে ‘ঐতিহ্য ফেরাতে অচিরেই সরকারি উদ্যোগে একটি বিপণন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প। বর্তমানে অনেকটাই বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পটি। স্থানীয় তাঁতিদের অভিযোগ গ্যাসের ব্যবহার না থাকা, বিদ্যুৎ ও কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধি এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তবে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হতো এই এলাকার তাঁতের চাদর, বিছানার চাদর, তোয়ালে ও গামছা। এক সময়ে এখানকার পাট্টা বিছানার চাদরের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তবে প্রিন্ট চাদরের কারণে অনেকটায় তা হারানো স্মৃতি।
যদুবয়রার গামছা কারিগর আব্দুল গফুর বলেন, ‘এক সময় উপজেলার তাঁত পল্লিগুলো তাঁতের খট খট শব্দে রাত-দিন মুখর থাকত। আজ সেখানে নীরবতা।
উপজেলা তাঁত বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এক সময় কুমারখালী, খোকসা, কুষ্টিয়া, মিরপুর, রাজবাড়ী, পাংশা, লাঙ্গলবাঁধ এলাকায় প্রায় ৮০ হাজারেরও অধিক তাঁতি ছিলেন। এর মধ্যে খট খটি তাঁত ১৪ হাজার, হস্ত চালিত পিটলুম তাঁত ৪৪ হাজার ও বিদ্যুৎ চালিত ২০ হাজার তাঁত ছিল। এসব তাঁতে ২ কোটি ৮৮ লাখ লুঙ্গি, ১৫ লাখ বিছানার চাদর, ৭২ লাখ গামছা-তোয়ালে উৎপাদন হতো। সে সময় এ জেলায় বস্ত্র শিল্পের বার্ষিক আয় ছিল ৩ শত কোটি টাকার ওপরে। দেশের মোটা কাপড়ের চাহিদার ৬৩ ভাগ পূরণ করত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর তাঁতিরা। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই তাঁত কাপড়ের ছিল ব্যাপক চাহিদা। বর্তমানে এ চাহিদা কমে ৩৫ ভাগে নেমে এসেছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও আশানুরূপ তাঁত বস্ত্রের দাম না বাড়ায় কুষ্টিয়ার ১ লাখ ১৪ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৫০ হাজার তাঁত শ্রমিক পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখনো পুরোনো পেশা হিসাবে এ পেশায় টিকে আছে কয়েক হাজার তাঁতি।
কুমারখালী তাঁত বোর্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই শিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নতুন করে ভাবতে হবে ‘ঐতিহ্য ফেরাতে অচিরেই সরকারি উদ্যোগে একটি বিপণন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪