Ajker Patrika

যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ২৬
যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে ২৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে আমতলীর বিআরটিসি বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। দ্রুত কাউন্টার চালু করে টিকিট বিক্রির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে বরিশাল–কুয়াকাটা মহাসড়কে চলাচলরত বিআরটিসি বাসের আমতলী কাউন্টারে অলি উল্লাহ ও ফরিদ ম্যালাকারকে নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ দেয় বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। ওই সময় থেকে তাঁরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করে টিকিট বিক্রি করে আসছেন।

গত ৪ নভেম্বর জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা ও করিমুল হাসান নামের দুজন নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি দাবি করে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ২৩ দিন ধরে ওই কাউন্টারে টিকিট বিক্রি এবং বাসে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। ওই কাউন্টার থেকে যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন বিআরটিসি বাসে চলাচলরত যাত্রীরা।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদ ম্যালাকার ও খোকন মৃধার মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ওই দুই গ্রুপের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

ফরিদ ম্যালাকার দাবি করেন, ২০১৯ সালে ১৬ এপ্রিল বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। ওই সময় থেকে তিনি কাউন্টার পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু গত ৪ নভেম্বর খোকন মৃধা তাঁর কাউন্টার দাবি করে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেন। খোকন মৃধা দাবি করেন, ২০১৯ সালের ৪ জুলাই বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ তাঁকে আমতলীতে নিঃস্বার্থ প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তিনি বিআরটিসির নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি। কিন্তু ফরিদ ম্যালাকার জোর করে এটা দখল করে আছেন।

কাউন্টার বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে গত ৫ নভেম্বর ফরিদ ম্যালাকার বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার বরিশাল ডিপো ম্যানেজারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

গত ৯ নভেম্বর বরিশাল ডিপো ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে বরিশাল ডিপো থেকে গত ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ফরিদ ম্যালাকারকে এবং একই বছরের ২ জুলাই খোকন মৃধাকে নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়। আবার একই দিনেই খোকন মৃধার নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ বাতিল করে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ৪ জুলাই আবারও খোকন মৃধাকে কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই খোকন মৃধাকে নিঃস্বার্থ কাউন্টার প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া পত্রে বিভিন্ন অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।

এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিআরটিসি ডিপো ম্যানেজারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। দ্রুত সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

যাত্রী মো. সাগর, সোহেল, জব্বার ও মহসিন বলেন, কাউন্টারে বাস আসছে না। টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘বরিশাল ডিপো ম্যানেজারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনরায় দরপত্র আহ্বান না করা পর্যন্ত কাউন্টার বন্ধ থাকবে। তাই কাউন্টার বন্ধ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত