Ajker Patrika

নফল রোজার সুবর্ণ সময় শীতকাল

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
নফল রোজার সুবর্ণ সময় শীতকাল

হাদিসে এসেছে, শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল। (আহমদ) তবে যে ঋতুতে গাছের পাতা ঝরে পড়ে, সবুজ বন-বনানি শুকিয়ে উজাড় হয়ে যায়, তা বসন্তকাল হয় কী করে? অন্য হাদিসে এই প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘শীতকালকে স্বাগত জানাই। এ ঋতুতে রহমত নাজিল হয়। এর রাত তাহাজ্জুদ আদায়কারীর জন্য দীর্ঘ, আর দিন রোজা পালনকারীর জন্য ছোট।’ অন্য হাদিসে এসেছে, ‘শীতকালীন রোজা স্নিগ্ধ গনিমত।’ (তাবরানি) তাই শীতকালে যথাসাধ্য নফল রোজা রেখে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করে তোলা আমাদের কর্তব্য।

এখানে হাদিসের আলোকে শীতকালে নফল রোজা রাখার কয়েকটি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।

এক দিন বিরতি দিয়ে রোজা রাখা: আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) এভাবে রোজা রাখতেন। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন রোজা রাখতেন না।’ (ইবনে হিব্বান)

সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে মানুষের আমল উপস্থাপন করা হয়। আর আমি চাই, আমার আমলগুলো এমন অবস্থায় উপস্থাপন করা হোক, যে অবস্থায় আমি রোজাদার।’ (মুসলিম) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার প্রতি অধিক যত্নশীল ছিলেন।’ (তিরমিজি)

আইয়ামে বিজের রোজা রাখা: প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রাতগুলো চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত থাকে, তাই দিনগুলোকে আইয়ামে বিজ বা শুভ্র দিন বলা হয়। সাহাবি মিনহাল (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আইয়ামে বিজে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং বলতেন, ‘এ তিনটি দিন নিয়মিত রোজা রাখলে বছরব্যাপী রোজা রাখার সওয়াব হয়।’ (বুখারি)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত