নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মনিরামপুরে কৃষি কার্যালয়ের ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট, রড ও ভেতরে রক্ষিত মালামাল সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ—তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ বা অনুমতি না নিয়েই গত রোববার ও সোমবারে পৌর মেয়র ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনার কারণ জানতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো চিঠির জবাব দেননি মেয়র। এ নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিপূরণ চেয়ে কৃষি অফিস পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর পৌরসভা চত্বরলাগোয়া কৃষি অধিদপ্তরের নিজস্ব সাড়ে আট শতক জমিতে চার কক্ষের একটি বাসভবন ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে সেখানে পৌর এলাকায় দায়িত্বরত দুজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসও) থাকতেন। পরে কৃষি অফিস কক্ষগুলোকে নিজেদের সরঞ্জাম রাখার কাজে ব্যবহার করত। সেখানে কয়েকটি পুরোনো মোটরসাইকেল, পাওয়ারটিলার ও কৃষি অফিসের যাবতীয় সম্পত্তির দলিলপত্র রাখা ছিল।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে ভবনটি দূরে হওয়ায় ভাঙার সময় টের পাইনি। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জানতে পারি। তখন গিয়ে দেখি সব গুঁড়িয়ে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ভবনের কোনো চিহ্নই সেখানে নেই। ভবনটির ভেতরে আমাদের পুরোনো তিনটি মোটরসাইকেল, একটা কাঠের আলমারি, একটি পাওয়ারটিলার, একটি বাইসাইকেল ও ১৯২৭ সালের জমির পরচা রাখা ছিল। আমাদের না জানিয়েই সব মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কোনো কিছুই আমরা এখনো পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার এসিল্যান্ডকে নিয়ে জমি মাপিয়ে পিলার পুঁতে দিয়েছি। ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে সব দেখে এসেছেন। আমরা এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ওই দিনই পৌর মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। চার দিন পার হয়ে গেলেও মেয়র কোনো জবাব দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর কাউন্সিলর বলেন, ‘বেশ আগে ওখানে কৃষি কর্মকর্তাদের বসবাস করতে দেখেছি। পরে দেখেছি, তালা মারা কক্ষগুলো খালি পড়ে আছে। সরকারি জমি বলে পৌরসভার সীমানা বাড়াতে দুদিন ধরে ঘরগুলো ভাঙা হয়েছিল। তবে এ নিয়ে মেয়র আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসেননি। ঘর ভাঙার বিষয়ে কোনো রেজুলেশনও হয়নি।’
এ কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম, সরকারি ঘর ভাঙলে কোনো সমস্যা হবে না। পরে দেখলাম এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তখন আর ওদিকে যাইনি।’
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আমি সদ্য এ পৌরসভায় যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে মেয়র আমাকে কিছু জানাননি। কৃষি অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁদের জমি মেপে আলাদা করে দিয়েছি। কৃষি অফিস সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর মেয়রের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। পরামর্শ বা অনুমতি ছাড়াই সরকারি একটি অফিস ভেঙে দিয়ে মেয়র ঠিক করেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি মূলত ভুল বোঝাবুঝি। কৃষি অফিসের ওই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এদিকে পাশেই পৌর কর্তৃপক্ষের একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষের ওই ভবনটি নির্মাণের সময় জায়গা মাপতে গিয়ে ভুল হওয়ায় এমনটা হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা ইচ্ছা করে করিনি। বিষয়টির সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সমাধান প্রক্রিয়াধীন।’
মনিরামপুরে কৃষি কার্যালয়ের ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট, রড ও ভেতরে রক্ষিত মালামাল সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ—তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ বা অনুমতি না নিয়েই গত রোববার ও সোমবারে পৌর মেয়র ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনার কারণ জানতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো চিঠির জবাব দেননি মেয়র। এ নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিপূরণ চেয়ে কৃষি অফিস পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর পৌরসভা চত্বরলাগোয়া কৃষি অধিদপ্তরের নিজস্ব সাড়ে আট শতক জমিতে চার কক্ষের একটি বাসভবন ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে সেখানে পৌর এলাকায় দায়িত্বরত দুজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসও) থাকতেন। পরে কৃষি অফিস কক্ষগুলোকে নিজেদের সরঞ্জাম রাখার কাজে ব্যবহার করত। সেখানে কয়েকটি পুরোনো মোটরসাইকেল, পাওয়ারটিলার ও কৃষি অফিসের যাবতীয় সম্পত্তির দলিলপত্র রাখা ছিল।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে ভবনটি দূরে হওয়ায় ভাঙার সময় টের পাইনি। গত মঙ্গলবার বিষয়টি জানতে পারি। তখন গিয়ে দেখি সব গুঁড়িয়ে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ভবনের কোনো চিহ্নই সেখানে নেই। ভবনটির ভেতরে আমাদের পুরোনো তিনটি মোটরসাইকেল, একটা কাঠের আলমারি, একটি পাওয়ারটিলার, একটি বাইসাইকেল ও ১৯২৭ সালের জমির পরচা রাখা ছিল। আমাদের না জানিয়েই সব মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কোনো কিছুই আমরা এখনো পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার এসিল্যান্ডকে নিয়ে জমি মাপিয়ে পিলার পুঁতে দিয়েছি। ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে সব দেখে এসেছেন। আমরা এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ওই দিনই পৌর মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। চার দিন পার হয়ে গেলেও মেয়র কোনো জবাব দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর কাউন্সিলর বলেন, ‘বেশ আগে ওখানে কৃষি কর্মকর্তাদের বসবাস করতে দেখেছি। পরে দেখেছি, তালা মারা কক্ষগুলো খালি পড়ে আছে। সরকারি জমি বলে পৌরসভার সীমানা বাড়াতে দুদিন ধরে ঘরগুলো ভাঙা হয়েছিল। তবে এ নিয়ে মেয়র আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় বসেননি। ঘর ভাঙার বিষয়ে কোনো রেজুলেশনও হয়নি।’
এ কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম, সরকারি ঘর ভাঙলে কোনো সমস্যা হবে না। পরে দেখলাম এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তখন আর ওদিকে যাইনি।’
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আমি সদ্য এ পৌরসভায় যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে মেয়র আমাকে কিছু জানাননি। কৃষি অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁদের জমি মেপে আলাদা করে দিয়েছি। কৃষি অফিস সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর মেয়রের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। পরামর্শ বা অনুমতি ছাড়াই সরকারি একটি অফিস ভেঙে দিয়ে মেয়র ঠিক করেননি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি মূলত ভুল বোঝাবুঝি। কৃষি অফিসের ওই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এদিকে পাশেই পৌর কর্তৃপক্ষের একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষের ওই ভবনটি নির্মাণের সময় জায়গা মাপতে গিয়ে ভুল হওয়ায় এমনটা হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা ইচ্ছা করে করিনি। বিষয়টির সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সমাধান প্রক্রিয়াধীন।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫