তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ পীরগাছায় চলতি বছর ফসলটির বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের হাসি ছড়িয়ে পড়েছে হাটে। বাজারে দাম ভালো পেয়ে খুশি উপজেলার কৃষকেরা।
রংপুর বিভাগ থেকে বিদেশে আলু রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে পীরগাছা। এ বছর প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান সম্প্রতি উপজেলার বেলতলায় বিদেশে আলু রপ্তানির উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে পীরগাছায় ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। এখান থেকে ২০২০ সালে ৪২৫ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৬৫০ মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
পীরগাছায় চলতি বছর ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি হবে।
উপজেলা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রপ্তানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা, যা গত বছর সাত থেকে আট টাকা ছিল।
বিরাহীম গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছর আমি পাঁচ হেক্টর জমিতে রপ্তানিযোগ্য বারি আলু-৯ চাষ করেছি। ফলন বাম্পার হয়েছে। দাম বেশ ভালো। আশা করছি ভালো লাভ হবে।
ছালমা আক্তার নামে একজন জানান, তিনি কৃষি অফিস থেকে কান্দাল ফসল চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি দুই হেক্টর জমিতে এর চাষ করেছেন। বর্তমানে রপ্তানিযোগ্য আলুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
উপজেলার দেউতি এলাকার নুরনবী মিয়া বলেন, ‘পাঁচ হেক্টর জমিতে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষ করেছি। একরে প্রায় ৩০০ মণ আলু উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর ২৮ মেট্রিক টন আলু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসোয়ারা এগ্রোর কাছে বিক্রি করেছি। তবে নানা অজুহাতে রপ্তানিকারকেরা আলুর দাম কম দিচ্ছেন।’
পীরগাছায় রপ্তানিযোগ্য আলুর চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, ‘বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষি শস্যে ভরপুর পীরগাছা উপজেলা। তার মধ্যে আলু অন্যতম। শুধু খাবার আলু উৎপাদনে নির্ভর না করে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষাবাদ করতে হবে। এ জন্য কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম পেয়ে কৃষকেরা বেশ খুশি। আমরাও চাই কৃষকেরা যেন আলু চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারেন।’
আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ পীরগাছায় চলতি বছর ফসলটির বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের হাসি ছড়িয়ে পড়েছে হাটে। বাজারে দাম ভালো পেয়ে খুশি উপজেলার কৃষকেরা।
রংপুর বিভাগ থেকে বিদেশে আলু রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে পীরগাছা। এ বছর প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান সম্প্রতি উপজেলার বেলতলায় বিদেশে আলু রপ্তানির উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে পীরগাছায় ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৯ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। এখান থেকে ২০২০ সালে ৪২৫ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৬৫০ মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
পীরগাছায় চলতি বছর ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন আলু বিদেশে রপ্তানি হবে।
উপজেলা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রপ্তানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা, যা গত বছর সাত থেকে আট টাকা ছিল।
বিরাহীম গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছর আমি পাঁচ হেক্টর জমিতে রপ্তানিযোগ্য বারি আলু-৯ চাষ করেছি। ফলন বাম্পার হয়েছে। দাম বেশ ভালো। আশা করছি ভালো লাভ হবে।
ছালমা আক্তার নামে একজন জানান, তিনি কৃষি অফিস থেকে কান্দাল ফসল চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি দুই হেক্টর জমিতে এর চাষ করেছেন। বর্তমানে রপ্তানিযোগ্য আলুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
উপজেলার দেউতি এলাকার নুরনবী মিয়া বলেন, ‘পাঁচ হেক্টর জমিতে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষ করেছি। একরে প্রায় ৩০০ মণ আলু উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর ২৮ মেট্রিক টন আলু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসোয়ারা এগ্রোর কাছে বিক্রি করেছি। তবে নানা অজুহাতে রপ্তানিকারকেরা আলুর দাম কম দিচ্ছেন।’
পীরগাছায় রপ্তানিযোগ্য আলুর চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, ‘বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষি শস্যে ভরপুর পীরগাছা উপজেলা। তার মধ্যে আলু অন্যতম। শুধু খাবার আলু উৎপাদনে নির্ভর না করে রপ্তানিযোগ্য আলু চাষাবাদ করতে হবে। এ জন্য কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম পেয়ে কৃষকেরা বেশ খুশি। আমরাও চাই কৃষকেরা যেন আলু চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪