বাইক কেনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মামলা

নাটোরের লালপুরে মোটরসাইকেল কেনাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আহত যুবকের বড় ভাই মোটরসাইকেল মেকার ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি বাদী হয়ে এই অভিযোগ করেন।

আহত ব্যক্তির নাম কবির উদ্দিন। তিনি উপজেলার চকবাদকয়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকপাড়া সেন্টার বাজারে রবিউল ইসলামের দোকানে রাজশাহীর বাঘার দক্ষিণ মিলিক বাঘা গ্রামের লিটন আলী একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কেনার জন্য আসেন। দামদরে না মেলায় সেটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এতে লিটন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রবিউলকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর দোকানে হামলা করেন। দোকানে রবিউলকে না পেয়ে তাঁর ছোট ভাই কবির উদ্দিনকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয় দোকানদারেরা তাঁদের প্রতিহত করেন। লালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

গত শুক্রবার কবির উদ্দিন বাঘা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর শিশুসন্তানকে দেখতে গেলে বাঘা মাজার শরীফ গেটে একা পেয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেন এবং মাথায় গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে চলে যান। স্থানীয় দোকানদারেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, লোহার রড ও হাতুড়ির আঘাতে রোগীর ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লিটন আলী ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

বাঘা থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালপুর থানার ওসি মো. ফজলুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল বাঘা থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।