Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইলিশ শিকার

শহিদুল ইসলাম, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০২
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইলিশ শিকার

নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে থেমে নেই ইলিশ শিকার। মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পদ্মা-যমুনা অংশে এই মাছ শিকার এবং বিক্রির যেন ধুম পড়েছে। প্রশাসনের অভিযান সত্ত্বেও তা রোধ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় লোকজন জানায়, শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার প্রায় ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত পদ্মা-যমুনা বক্ষে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অবৈধ কারেন্ট জালের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ইলিশ শিকার চলছে। এ কাজে প্রকৃত জেলেরা নীরব থাকলেও মৌসুমি জেলেরা তৎপর রয়েছেন। ইলিশ কিনতে আগ্রহী একশ্রেণির লোক নদীপাড়ে নিয়মিত ভিড় জমাচ্ছেন। শিবালয়ের আলোকদিয়া চরে প্রতি কেজি ইলিশ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

শিবালয় উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরুর পর এক সপ্তাহে শিবালয়ে ২২টি পৃথক অভিযান চালানো হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, প্রায় তিন মণ ইলিশ, কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। তবে গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো জেলে আটক হয়নি।

স্থানীয়দের অনেকেই এবার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অনেকের ধারণা, জেলেদের সঙ্গে প্রশাসনের গোপন আঁতাত থাকায় লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল আলম বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার প্রায় তিন হাজার প্রকৃত জেলের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। শিকার রোধে নদীতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবলের অভাবে অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। অল্পসংখ্যক আনসার ও পুলিশ নিয়ে দুদিন আগে নদীতে অভিযান পরিচালনাকালে আলোকদিয়া চরাঞ্চলের শিকারিরা দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা হাতে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ওপর চড়াও হন। তাঁদের রুখতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র‍্যাব ও পুলিশ নিয়ে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করতে আজ (রোববার) বিশেষ বৈঠকে জরুরি সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত