Ajker Patrika

সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ১১
সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার সৈয়দপুরের বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলাটি করেন শহরের বাঙালিপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা গাউসুল আযম ফারুকী। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের (সিআইডি) মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের নির্দেশনা দেন। এই মামলায় মেয়রের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হাসানুজ্জমান আজমকেও আসামি করা হয়। প্রতারণার এই ঘটনাটি ঘটে আকতার জাহান বেবি মেয়র নির্বাচিত হওয়ারও আগে।

প্রতিক্রিয়ায় মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাকে হয়রানি ও সমাজে হেয় করার জন্যই এই মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি মিথ্যা এবং সাজানো মামলা।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের শেষের দিকে গাউসুল আযম ফারুকী তার নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের লিফট স্থাপনের নকশা অনুমোদনের জন্য বিবাদী রাফিকা আকতার জাহান বেবির সহায়তা চান। এই সময় পৌর মেয়র পদে ছিলেন তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা। তাই ওই অনুমোদন আদায়ে সংশয় ছিল বাদীর। এ কারণে বেবির শরণাপন্ন হয়েছিলেন ফারুকী। বেবি এইসময় ফারুকীর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। বাদী গত বছরের ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখায় নিজের হিসাব নম্বর (৪২১১-৫৭৮১৪০-০০০) থেকে চেকের মাধ্যমে এই টাকা প্রদান করেন। মামলার অপর বিবাদী হাসানুজ্জামান আজম ২৩ ডিসেম্বর চেকটি নগদায়নের ব্যবস্থা করেন।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে রাফিকা আকতার জাহান বেবির পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু তত দিনেও বাদীর নকশা অনুমোদন পায়নি পৌরসভার দপ্তর থেকে। এরপর বাদী তার নকশা অনুমোদনের জন্য গত ২২ আগস্ট নতুন মেয়রের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করেন। এ সময় মামলার এক নম্বর বিবাদী নকশা অনুমোদনের কাজের জন্য আবার এক লাখ টাকা দিতে বলেন। বাদী গাউসুল আযম ফারুকী তিন দিন আগে মেয়রের কাছে নকশা অনুমোদনের বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাইলে বিবাদী আবারও এক লাখ দিতে বলেন। একই সঙ্গে বিবাদী আগে এক লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। ফলে ফারুকী বাধ্য হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

দীর্ঘ সময়েও নকশা অনুমোদন না হওয়ায় ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সেলিম জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, লিফটের নকশা অনুমোদনের কাগজপত্র গাউসুল আযম ফারুকী দাখিল করেছেন এক মাস আগে। সেটা এখন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ফারুকীর ভবনের জমির জটিলতা বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা ছিল। এর আগের মেয়রের বিরুদ্ধেও তিনি এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত