রজত কান্তি রায়, ঢাকা
শিল্পকলা সরগরম!
সত্যজিৎকে ধার করে আমরা এভাবেই লিখলাম। শিল্পকলা একাডেমির সাততলা ভবনটির নিচ থেকে ওপর এখন শিল্পের সমুদ্র! কে শিল্পী, কে ভাস্কর আর কেইবা সমালোচক, বোঝা দায়। কারণ, কারও শরীরে সেসবের কোনো চিহ্ন নেই। কোনটা কোন মিডিয়ামের শিল্পকর্ম, সেসব না বুঝলেও চলে। শুধু ছন্দ বুঝে এগিয়ে গেলেই উপভোগ করা যায় মাঘের এ দৃশ্যকাব্য।
নিরাপত্তাবলয় পেরিয়ে শিল্পকলা ভবনে ঢুকে হাতের ডান দিক থেকে শুরু ঢাকা আর্ট সামিটের প্রদর্শনী। এরপর ধীরে ধীরে প্রদর্শনীর গতি উঠে গেছে ওপরের বিভিন্ন তলায়। ঠিক যেমন শিকড় ছড়িয়ে বৃক্ষ মাটি ভেদ করে ওঠে মহিরুহ হয়ে। ৭ নম্বর গ্যালারিতে গিয়ে শেষ হয়েছে প্রদর্শনী। প্রতিটি তলার প্রতিটি গ্যালারি সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্নভাবে। তবে এবার ঢাকা আর্ট সামিটের মূল ভাব বা থিম ‘বন্যা’।
ঢুকেই দেখা যাবে শিল্পী ম্যাট ক্যাপসন একটি শিশুকে ছেড়ে দিয়েছেন স্ক্রিনে। শিশুটি নগ্ন। ধীরে ধীরে বুঝবেন সে বড় হচ্ছে, তার বয়স তখন হবে চার। পুরো কাজটি লেজার মেশিনে করা। এরপর বেরিয়েই দেখা যাবে জয়দেব রোয়াজার শিল্পকর্ম। জয়দেব আমাদের দেশের শিল্পী। কী দেখাতে চেয়েছেন তিনি? পড়ার চেয়ে একদিন দেখে আসাই ভালো হবে। এর ওপরের তলায় আছে দুটি বড় ইনস্টলেশন। আফ্রিকান কলসের মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে যে ইনস্টলেশনে, সেটি শিল্পী সুমাইয়া ভালির। তিনি লন্ডনপ্রবাসী শিল্পী। অন্যটি এক ভারতীয় শিল্পীর। বড় বড় কলাগাছ, রঙিন কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে তৈরি করা বিশাল ইনস্টলেশনটিতে নারীদের কথা বলা হয়েছে মূলত। বলা হয়েছে বিভিন্ন রিচুয়ালের কথা।
এর পাশেই পাবেন প্রচুর ছবি, বিভিন্ন শিল্পীর, বিভিন্ন মিডিয়ামে আঁকা। ঘুরতে ঘুরতে চলে যেতে হবে তৃতীয় তলায়। এখানেও ইনস্টলেশন আর ছবি আছে। এখানে আছে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ। সেগুলো জাতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের ঐতিহ্য তুলে ধরছে। এটি অনন্য প্রয়াস এবারের আর্ট সামিটের।
এর ওপরে আছে আমাদের মাস্টার শিল্পীদের কাজ। এখানে দেখা পাওয়া যাবে শিল্পী রফিকুন নবীর টোকাইয়ের কিংবা এস এম সুলতানের কৃষকদের। একটু ওপরে উঠলেই পাওয়া যাবে শিল্পী শাওন আকন্দের কচ্ছপ ও জামদানি। এই ইনস্টলেশনটির নাম ‘ধীরে বন্ধু ধীরে’।
মাঘ মাস। কিন্তু শীত উবে গেছে বেশ। শিল্পকলা একাডেমি এখন সরগরম—শিল্পে-কথায়-মানুষে। বইমেলার গলা জড়িয়ে শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণজুড়ে বসেছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ সংস্করণ, তিন বছর পর। ঢাকা আর্ট সামিট মানে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের নিরীক্ষাধর্মী কাজের সমাহার। চিত্রকলা হোক বা ভাস্কর্য কিংবা ইনস্টলেশন অথবা ভিডিও আর্ট, নিরীক্ষা থাকবে। এবারও এর ব্যতিক্রম নেই। বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন শিল্পী ও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ রয়েছে এবারের সামিটে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ ঢাকা আর্ট সামিটকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘সবচেয়ে বড়’ শিল্প মেলা হিসেবে অবিহিত করেছেন।
ঢাকা আর্ট সামিট শিল্পচর্চার একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্ল্যাটফর্ম। ফলে এখানে শিল্পীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় কিউরেটর, শিল্প সমালোচক, স্থপতি কিংবা শিল্পবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। এ সময় ঢাকায় আসেন প্রচুর শিল্প সংগ্রাহক। তাঁরাও এর অংশ। গত শুক্রবার উদ্বোধন করা হয় ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ আসরের। এটি চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত।
শিল্পকলা সরগরম!
সত্যজিৎকে ধার করে আমরা এভাবেই লিখলাম। শিল্পকলা একাডেমির সাততলা ভবনটির নিচ থেকে ওপর এখন শিল্পের সমুদ্র! কে শিল্পী, কে ভাস্কর আর কেইবা সমালোচক, বোঝা দায়। কারণ, কারও শরীরে সেসবের কোনো চিহ্ন নেই। কোনটা কোন মিডিয়ামের শিল্পকর্ম, সেসব না বুঝলেও চলে। শুধু ছন্দ বুঝে এগিয়ে গেলেই উপভোগ করা যায় মাঘের এ দৃশ্যকাব্য।
নিরাপত্তাবলয় পেরিয়ে শিল্পকলা ভবনে ঢুকে হাতের ডান দিক থেকে শুরু ঢাকা আর্ট সামিটের প্রদর্শনী। এরপর ধীরে ধীরে প্রদর্শনীর গতি উঠে গেছে ওপরের বিভিন্ন তলায়। ঠিক যেমন শিকড় ছড়িয়ে বৃক্ষ মাটি ভেদ করে ওঠে মহিরুহ হয়ে। ৭ নম্বর গ্যালারিতে গিয়ে শেষ হয়েছে প্রদর্শনী। প্রতিটি তলার প্রতিটি গ্যালারি সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্নভাবে। তবে এবার ঢাকা আর্ট সামিটের মূল ভাব বা থিম ‘বন্যা’।
ঢুকেই দেখা যাবে শিল্পী ম্যাট ক্যাপসন একটি শিশুকে ছেড়ে দিয়েছেন স্ক্রিনে। শিশুটি নগ্ন। ধীরে ধীরে বুঝবেন সে বড় হচ্ছে, তার বয়স তখন হবে চার। পুরো কাজটি লেজার মেশিনে করা। এরপর বেরিয়েই দেখা যাবে জয়দেব রোয়াজার শিল্পকর্ম। জয়দেব আমাদের দেশের শিল্পী। কী দেখাতে চেয়েছেন তিনি? পড়ার চেয়ে একদিন দেখে আসাই ভালো হবে। এর ওপরের তলায় আছে দুটি বড় ইনস্টলেশন। আফ্রিকান কলসের মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে যে ইনস্টলেশনে, সেটি শিল্পী সুমাইয়া ভালির। তিনি লন্ডনপ্রবাসী শিল্পী। অন্যটি এক ভারতীয় শিল্পীর। বড় বড় কলাগাছ, রঙিন কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে তৈরি করা বিশাল ইনস্টলেশনটিতে নারীদের কথা বলা হয়েছে মূলত। বলা হয়েছে বিভিন্ন রিচুয়ালের কথা।
এর পাশেই পাবেন প্রচুর ছবি, বিভিন্ন শিল্পীর, বিভিন্ন মিডিয়ামে আঁকা। ঘুরতে ঘুরতে চলে যেতে হবে তৃতীয় তলায়। এখানেও ইনস্টলেশন আর ছবি আছে। এখানে আছে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ। সেগুলো জাতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের ঐতিহ্য তুলে ধরছে। এটি অনন্য প্রয়াস এবারের আর্ট সামিটের।
এর ওপরে আছে আমাদের মাস্টার শিল্পীদের কাজ। এখানে দেখা পাওয়া যাবে শিল্পী রফিকুন নবীর টোকাইয়ের কিংবা এস এম সুলতানের কৃষকদের। একটু ওপরে উঠলেই পাওয়া যাবে শিল্পী শাওন আকন্দের কচ্ছপ ও জামদানি। এই ইনস্টলেশনটির নাম ‘ধীরে বন্ধু ধীরে’।
মাঘ মাস। কিন্তু শীত উবে গেছে বেশ। শিল্পকলা একাডেমি এখন সরগরম—শিল্পে-কথায়-মানুষে। বইমেলার গলা জড়িয়ে শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণজুড়ে বসেছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ সংস্করণ, তিন বছর পর। ঢাকা আর্ট সামিট মানে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের নিরীক্ষাধর্মী কাজের সমাহার। চিত্রকলা হোক বা ভাস্কর্য কিংবা ইনস্টলেশন অথবা ভিডিও আর্ট, নিরীক্ষা থাকবে। এবারও এর ব্যতিক্রম নেই। বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন শিল্পী ও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ রয়েছে এবারের সামিটে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ ঢাকা আর্ট সামিটকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘সবচেয়ে বড়’ শিল্প মেলা হিসেবে অবিহিত করেছেন।
ঢাকা আর্ট সামিট শিল্পচর্চার একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্ল্যাটফর্ম। ফলে এখানে শিল্পীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় কিউরেটর, শিল্প সমালোচক, স্থপতি কিংবা শিল্পবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। এ সময় ঢাকায় আসেন প্রচুর শিল্প সংগ্রাহক। তাঁরাও এর অংশ। গত শুক্রবার উদ্বোধন করা হয় ঢাকা আর্ট সামিটের ষষ্ঠ আসরের। এটি চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫