Ajker Patrika

রোগী কল্যাণ সমিতির কাজ সীমিত পরিসরে

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৯
রোগী কল্যাণ সমিতির কাজ সীমিত পরিসরে

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সদর হাসপাতাল এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) ও হাসপাতাল দুটিতেই সমাজসেবা অধিদপ্তরের রোগী কল্যাণ সমিতি রয়েছে। লোকবল সংকটে সমিতি দুটির কার্যক্রম চলছে সীমিত পরিসরে।

এর মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। আর কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সমিতিতে কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আক্তার উদ্দিন প্রধান। তবে এখানে একজন স্টাফ রয়েছেন, যাঁকে সরকারি শিশু পরিবার থেকে সংযুক্তিতে আনা হয়েছে। এদিকে কুমেক হাসপাতালের সমিতির কল্যাণ ফান্ড ওই সমিতিতে থাকা কয়েকজন চিকিৎসক পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তা ছাড়া রোগী কল্যাণের টাকা পেতে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। তাই সহজেই এ সমিতি থেকে সেবা নিতে আসেন না অনেকেই।

কুমিল্লা সদর হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ সমিতি থেকে গত অক্টোবর মাসে চার জনকে, সেপ্টেম্বর মাসে ১২ জনকে ওষুধ কিনতে সহযোগিতা করা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে ১৫ জন আবেদন করেছেন।

কুমিল্লা সদর হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আক্তার উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘সমিতির বিষয়ে অনেক রোগী জানেন না। তাই রোগীরা এখানে আসেন না। আমরা প্রতিদিন হাসপাতাল ঘুরে রোগীর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের খুঁজে বের করি। আমরা শুধু তাঁদের আবেদন ফরম দিই। এই আবেদনে ওয়ার্ড ডাক্তার, আবাসিক চিকিৎসকসহ পাঁচটি স্বাক্ষর দেওয়ার পর আমরা তাঁদের সহযোগিতা করি। তবে এ স্বাক্ষরগুলো নিতে রোগীর অনেক সময় লেগে যায়। আর কুমেক হাসপাতালে সমিতির কোনো কর্মকর্তা না থাকায় আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তবে ওই সমিতিতে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসক রোগীর বিষয়গুলো দেখেন।’

কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এএসএম জোবায়েদ বলেন, ‘আমাদের অধিদপ্তর থেকে এ বছর সদর হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির জন্য সাড়ে ৭ লাখ টাকা ও কুমেক হাসপাতালের সমিতির জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন অনুদান সমন্বয় করে রোগীদের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে।’

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি আমরা দেখব, যাতে করে রোগীদের কোনো সমস্যা না হয়। নতুন নিয়োগ হলে এ সমস্যা থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত