Ajker Patrika

আর্থিক সংকটে স্কুল বন্ধ ভিন্ন পেশায় শিক্ষকেরা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০: ১৫
আর্থিক সংকটে স্কুল বন্ধ ভিন্ন পেশায় শিক্ষকেরা

করোনা মহামারিতে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নাটোরের লালপুরের ৪১টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুল আর্থিক সংকটে পড়েছে। এর মধ্যে সাতটির অধিক বিদ্যালয় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় জীবন বাঁচাতে শিক্ষকেরা বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। বন্ধের সময়ের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, আর্থিক সংকট ও শিক্ষার্থী সমস্যায় উপজেলার শিশু বিদ্যানিকেতন, একতা, নর্থ বেঙ্গল, আনোয়ারা ফাউন্ডেশন, রয়েল, প্রচেষ্টা, স্কলার হিলসহ বেশ কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রচেষ্টা কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ এস এম আশিকুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভাড়া পরিশোধ সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বেগম রোকেয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনা সব পাল্টে দিয়েছে। ঘরমালিকেরা ভাড়ার টাকা ছাড় দেননি। ভাড়া পরিশোধে নিঃস্ব অবস্থায় দিন যাপন করছেন। শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আনোয়ারা ফাউন্ডেশন মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ মো. আব্দুল করিম বলেন, করোনাকালীন আর্থিক সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

লালপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজিব হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছে। তবে সংখ্যায় অনেক কম। অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেছে। বিদ্যালয়ের পাওনা বকেয়া ফি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক সংকটে বিদ্যালয় পরিচালনা ও শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। করোনাকালে প্রতিষ্ঠানের আয় ও সরকারি কোনো সহযোগিতা না থাকায় সাতটির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে গেছে।

লালপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুজ্জামান লিটন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আয় বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষক ও কর্মচারীরা অন্য পেশায় চলে গেছেন।

লালপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, জরিপ অনুযায়ী এ উপজেলায় ৪১টি কেজি স্কুল রয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১১২টি। বেশ কয়েকটি কেজি স্কুল বন্ধ হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

লালপুরের ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, সোনালী ব্যাংকের সহায়তায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৫০ জন শিক্ষককে সহযোগিতা করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের বিষয়ে অবগত নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত